ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশজুড়ে চলা সংঘাতের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে ওইদিন গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে মানুষ। সারা দেশের থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। নির্বিচারে মৃত্যু ঘটে মানুষের। বাংলাদেশ জুড়ে অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কোনও লক্ষণ নেই৷ বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাসিনার দল আওয়ামি লিগের কমপক্ষে ২৯ জন নেতা-কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, বুধবার খালেদা পুত্র তথা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঢাকায় বক্তব্য রাখতে চলেছেন। তিনি কী বার্তা দেন, এখন সব নজর সেই দিকেই।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় বাইশে শ্রাবণ পালন, রবীন্দ্র-স্মরণে সকলেরই এক চাওয়া, ‘শান্তি ফিরুক ওপারে’!
মঙ্গলবারও বিক্ষোভকারীদের হামলায় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল বাংলাদেশের যশোর জেলায়৷ সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ যশোরে আওয়ামি লিগের এক নেতার হোটেলে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা৷ অগ্নিকাণ্ডের জেরে হোটেলের ভিতরে আটকে গিয়ে জীবন্ত দগ্ধ হন অন্তত ২৪ জন৷ মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ওই হোটেলের আবাসিক ছিলেন৷ এই ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার একজন নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷
স্থানীয় সাংবাদিক এবং সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থাগুলি দাবি করেছে, যশোরে আওয়ামি লিগ নেতা শাহিন চাকলাদারের হোটেলে বিকেল চারটে নাগাদ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ রাত ৮টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ হোটেলের পানশালা সহ বিভিন্ন অংশ থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়৷
শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি সম্পত্তির উপরে হামলা চালিয়েছে৷ বিশেষত আওয়ামি লিগের নেতা, মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি, অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে৷ সাতক্ষীরায় আওয়ামি লিগের এক নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পাঁচ জনকে খুন করা হয়৷ গোটা সাতক্ষীরা জেলা জুড়েই সংঘর্ষে সবমিলিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷