কলকাতা: বাংলাদেশে ইদের আগে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করবে ভারত। সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই কলকাতার বাজারে পেঁয়াজ আসা অনেক কমে গিয়েছে। যার ফলে নাসিকের পেঁয়াজ কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে গিয়েছে।
বাংলার পেঁয়াজ অর্থাৎ সুকসাগর পেঁয়াজ এলে কিছুটা সামাল দেওয়া যেতে পারে অবস্থা। তবে আবার পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের রফতানি ব্যবসায়ীরা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে পাঠাতে পারবে। অবিলম্বে রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে। বাংলাদেশ ছাড়া আর যেসব দেশে পেঁয়াজ রফতানি করবে ভারত, সেই দেশগুলো হল, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন ও মরিশাস। পেঁয়াজ রফতানির ওপর থেকে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঢাকা: এত বড়! সত্যি! হ্যাঁ, বাস্তবে এত বড়ই মাছের দেখা মিলল। বাংলাদেশের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের আড়তে পদ্মা নদী থেকে ধরা একটি কাতল মাছ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। মাছটির ওজন ছিল ২৬ কেজি ৭০০ গ্রাম।
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের মালিক সম্রাট শাজাহান শেখ মাছটি কুমারখালি হেলথকেয়ার কোম্পানির মালিকের কাছে বিক্রি করেন।
জানা গিয়েছে, পদ্মা নদীর মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থেকে শুক্রবার রাতে জেলে বলরাম হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের মৎস্য আড়তের মালিক শাজাহান শেখ ২ হাজার টাকা কেজি দরে ৫২ হাজার টাকা দিয়ে জেলে বলরাম হালদার থেকে কিনে নেয়।
মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ বলেন, ”সকালে বলরাম হালদার ২৬ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট নিয়ে আসলে ২ হাজার টাকা কেজি দরে ৫২ হাজার টাকায় মাছ কিনেছিলাম। পরে ২ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে ৫৬ হাজার টাকায় কুমারখালি হেলথকেয়ার কোম্পানির মালিকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। মাছটি বিক্রি করে আমার ভালই লাভ হয়েছে।”
ঢাকা :কার্যত অশান্তির আবহেই রবিবার বাংলাদেশে শুরু হয়েছে দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন। মোট ২৯৯টি সংসদীয় কেন্দ্রে (প্রার্থীর মৃত্যুতে নওগাঁ-২ বাদে) চলছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। এরইমধ্যে খোদ শিল্পমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে উঠল ‘জাল ভোট’ দেওয়ার অভিযোগ! স্থানীয় সংবাদ সংস্থার খবর সূত্রে জানা যাচ্ছে ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদি-৪ আসনের একটি পোলিং বুথে। ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করেছে কমিশন। অভিযোগ, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মাজিদ হুমায়ূনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ দলবল নিয়ে প্রবেশ করেন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। অভিযোগ, নিজেই ১২টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেন তিনি।
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। সেই মতো সকাল সকাল ভোটারদের লাইন দেখা যায় বুথে বুথে। এবারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লক্ষ, ৩৩ হাজার ১৫৭। পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ১৬৯। আর মহিলা ভোটার রয়েছেন ৫ কোটি ৮৭ লক্ষ ৪০ হাজার ১৪০ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৪৮। নির্বাচন কমিশনে মোট রেজিস্টার্ড দলের সংখ্যা ৪৪। নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ২৮টি রাজনৈতিক দল। বিএনপি-সহ বাকি দল এবং আরও কিছু বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করেছে।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হিংসা বাড়ছে বাংলাদেশে। রবিবার চট্টগ্রামে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ভোটবিরোধী মিছিলে নামে বিএনপি। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান খালেদা জিয়ার দলের কর্মীরা। এই ঘটনায় জখম হন ১৫ জন। সংঘর্ষের পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, মুন্সিগঞ্জে ভোটকেন্দ্রর পাশেই আওয়ামি লিগের প্রার্থী মৃণালকান্তি দাসের এক সমর্থককে কুপিয়ে খুন করারও। নির্বাচন প্রক্রিয়া রুখে দেওয়ার ডাক আগেই দিয়েছে বিএনপি-জামাত-সহ সমমনা দলগুলি। নির্বিঘ্নে ভোটপর্ব শেষ করতে মরিয়া প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন।
ঢাকা:নানাসময়ে নানারকম বিতর্ক তাঁকে তাড়া করে বেরিয়েছে৷ এ বার নোবেলজয়ী বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসকে একটি মামলায় জেলে পাঠাল বাংলাদেশের আদালত৷ শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা সেই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতির অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসকে ছ’মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত৷ সেই সঙ্গে মোট পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে৷ মামলার আরেকটি ধারায় তাদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের প্রত্যেককে মোট ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।
সোমবার ঢাকার তিন নম্বর শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে বিচারক বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্খনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে৷ আদালতে এই অভিযুক্তদের উপস্থিতিতেই এই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে৷ এই মামলা অনেকদিনের৷ এই নিয়ে আগ্রহ ছিল গোটা বিশ্বের৷ সেই কারণে প্রবল ভিড়ও ছিল এজলাসে৷
তবে সাজা ঘোষণা হয়ে গেলেও এখনই জেলে যেতে হচ্ছে না ইউনুসকে৷ আদালতে তাদের আইনজীবীরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার শর্তে জামিন চাইলে পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ আগামী একমাসের মধ্যে তাদের শ্রম আপিলেট ট্রাইবুনালে আপিল করতে হবে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি আদালতে এসেছিল৷