জলপাইগুড়ি: উত্তপ্ত বাংলাদেশ। তার প্রভাবে দু’দেশের পর্যটন ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কায় চিন্তিত ব্যবসায়ীদের একাংশ।সামনেই পুজোর মরশুম। পুজো মানেই পুজোর ছুটিতে রোজকার গতে বাঁধা জীবন ছেড়ে খানিক ডানা মেলে ওড়া! এই সময়টাই দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর একটা মোক্ষম সময় বলা যায়। আর তাতেই পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফোটে।
সারাবছর পর্যটকদের ভিড় সেভাবে না থাকলেও তুলনামূলক পুজোর সময় পর্যটকদের ভিড়ে দম ফেলার সময় থাকে না পর্যটন ব্যবসায়ীদের। ক’টাদিন খানিক নাভিশ্বাস উঠলেও ব্যবসা ভাল হওয়ায় তা পুষিয়ে যায়। এই সময়টাতেই খানিক ভাল অর্থ উপার্জন হয় ভারত-বাংলাদেশ-সহ অন্যান্য দেশ কিংবা রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
কিন্তু এ বছর যেন একের পর এক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে দেশের পর্যটন। পর্যটকদের মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকদের সংখ্যা নেহাত কম থাকে না। তবে বাংলাদেশের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি হওয়ায় বাতিল হচ্ছে ভারতে ঘুরতে আসার প্ল্যান করা বাংলাদেশী নাগরিকদের একের পর এক বুকিং। নতুন করে এখনই ভ্রমণে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না বাংলাদেশী নাগরিকরা।
অন্যদিকে, একই ছবি ভারত কিংবা অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশ ঘুরতে যেতে চাওয়া নাগরিকদেরও। তাহলে কি পুজোর মুখে ধাক্কা খেতে পারে গোটা পর্যটনশিল্প? এমনটাই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীর একাংশ।প্রসঙ্গত, রাজ্য থেকে ভিন রাজ্য কিংবা বিদেশের নাগরিকদের কাছে উত্তরের শৈল শহর থেকে শুরু করে জঙ্গল সবার কাছেই জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থল। পাশাপাশি, বহু পর্যটক বাংলাদেশেও ঘুরতে যান বছরের নানা সময়ে। তবে, পুজোর মরশুম সবসময়ই ভ্রমণ মরশুম হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে। কিন্তু এবার সেখানেই দেখা দিচ্ছে মন্দা।
সুরজিৎ দে