হিলি সীমান্ত

Bangladesh India: কাজ ছিল আলো জ্বালানোর, সেই ‘তাঁরা’ই পড়লেন অন্ধকারে! ভয়াবহ অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ ছাড়লেন ‘ওঁরা’

দক্ষিণ দিনাজপুর: অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এখন ওপার বাংলায়। চরম আতঙ্কে আর উদ্বেগে রয়েছেন বাংলাদেশে কর্মরত নাগরিকেরা। ঘন ঘন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করছেন। অনেকে আবার অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেও দেশে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন। অনেকে আবার বাড়ি না ফিরতে পেরে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

এই সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান শেষে বাংলাদেশ সেনার সহযোগিতায় দেশে ফিরলেন বেসরকারি সংস্থার ১৯ জন কর্মী। এদিন দুপুরে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে হিলি সীমান্ত পার করে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। চোখে মুখে যেন আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। দেশে ফিরে তাঁদের এক কথায় বক্তব্য, “মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছি মনে হচ্ছে”।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অসুবিধায় পড়লে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা কী করবেন? বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের, জানুন

বিগত তিন দিন রান্না করা খাবার খেতে পারিনি। রাতের পর রাত জেগেছি যে কোন মুহূর্তে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে কেটেছে। এবিষয়ে বাংলাদেশে কর্মরত কর্মীর বক্তব্য, “বিগত দু বছরে তাদের অভিজ্ঞতা কোনদিনই খারাপ ছিল না বরং এই দু বছরে প্রচুর কিছু পরিবর্তন হতে দেখেছেন বাংলাদেশে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন তাদের চোখে পড়েছে। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রচন্ড উত্তেজনাপূর্ণ। মহিলারা বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না, এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে জীবন যাপন করছে বলে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা জানালেন। কিন্তু হঠাৎ করে এই ধরনের ঘটনা তাদেরকেও অবাক করেছে।”

আরও পড়ুন: আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হলে প্রথম কোন লক্ষণে বুঝবেন? বড় ক্ষতির আগে অবশ্য়ই জানুন

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের হাই টেনশন বিদ্যুৎ সংযোগের কাজে নিযুক্ত ছিলেন ২২ জন ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে একজোটে কাজ করছিলেন। মোট তিন বছরের প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। দুবছরেরও বেশি সময় তাঁরা বাংলাদেশে কাটিয়েছেন। এদিন ২২ জনের মধ্যে ১৯ জন কে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। বাকি তিনজনকে কিছুদিনের মধ্যে নিয়ে আসবে দেশে বলে জানা যায়। বিএসএফ (BSF) এবং বিজিবি (BGB) দুই পক্ষের সহযোগিতায় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ১৯ জন ভারতে প্রবেশ করে।

সুস্মিতা গোস্বামী