কোচবিহার: কখনও রোদ, কখনও আবার বৃষ্টি। এই আবহাওয়ার কারণে পঁচে যাচ্ছে বাজারের বেশিরভাগ সবজি। এছাড়া সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা। এই কারণে বাজারের কমে গিয়েছে সবজির জোগান। দাম বেড়েছে প্রায় প্রত্যেকটি সবজির। তাই ইতিমধ্যেই পকেটে চাপ পড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা বাজারের এসে সবজি কিনতে দারুণ নাজেহাল হচ্ছেন। এই আবহাওয়ার পরিস্থিতি না কমলে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছেন সবজি বিক্রেতারা। দাম যদি আরও বেড়ে ওঠে তবে ক্রেতাদের পকেটের অবস্থা আরোও খারাপ হতে চলেছে।
বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বাবলু সরকার জানান, “আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার ফলে বাজারে জোগান কমেছে সমস্ত সবজির। তাই জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে প্রত্যেকটি সবজির। আর বাজারের সবজির দামের এই বৃদ্ধির ফলে প্রায় ক্রেতাশূন্য হয়ে রয়েছে বাজার। বর্তমানে পটলের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, ঢেঁড়সের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা, করলার দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, ঝিঙের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা, বরবটির দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা এবং লঙ্কার দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা।” প্রায় প্রতিটি সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে রীতিমত চাপ বেড়েছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা বাজারে এসে সামান্য পরিমাণে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছেন। বেশি জিনিস কেনার ইচ্ছে থাকলেও দামের জন্য পেরে উঠছেন না।
বাজার করতে আসা দুই ক্রেতা তপন বর্মন ও কালীদাস সরকার জানান,”বেগুনের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৫০ টাকা, কাকরোলের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৫০ টাকা, শশার কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৪০ টাকা এবং দেশি আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। তবে এতে বিক্রেতাদের শুধু দোষ দিয়ে লাভ নেই। তাঁরা মহাজনের কাছে থেকে যে দামে জিনিস কিনছেন। সেজন্য দাম বাড়ানো হচ্ছে। যদি আবহাওয়ার পরিস্থিতি পরিবর্তন না হয়। তবে এই দাম আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।” তবে এই দাম বৃদ্ধি অনেকটাই অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে সকলের। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি কবে শেষ হবে এখন সেই অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলে।
Sarthak Pandit