হুগলি: শ্রাবণের ধারা ঝরে পড়ছে বিস্তীর্ণ খোলা মাঠে। শ্রাবণের বর্ষণের শেষে সেখানেই মাথা তুলে দাঁড়াবে শরতের কাশফুল। তবে যে বিস্তীর্ণ মাঠে কঙ্কালসার দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে টাটার স্বপ্নের কারখানা সে আরমাথা তুলে দাঁড়াতে পারিনি। অচিরেই মিশে গেছে ইতিহাসের পাতায়। যে ইতিহাস জন্ম দিয়েছিল বাংলার বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানো ঘাসফুলকে। আর সেই মাটিতেই মিশে রয়েছে শত সহস্র কাস্তে হাতুড়ির স্বপ্ন, স্বপ্ন শিল্পায়ন বিপ্লবের। সাল টা ২০০৬ ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ’।
এই একটি স্লোগানে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল বিধানসভা থেকে বিরোধী শিবির। ব্যাপক জনসমর্থনে ২৩৫ টি আসনে জয়লাভ করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। আবারও মুখ্যমন্ত্রী হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শিল্পায়ন করার জন্য এগিয়ে আসে টাটা গোষ্ঠী। কথা ছিল সিঙ্গুরের কারখানায় তৈরি হওয়া গাড়ি চলবে গোটা বিশ্বব্যাপী।
আরও পড়ুন: আপনিও কি খুব অলস, বলুন তো পৃথিবীর সবচেয়ে অলস প্রাণী কোনটি? শুনে কিন্তু সত্যিই অবাক হয়ে যাবেন
টাটা গোষ্ঠীকে ১২০০ একর জমি দিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। কারখানা তৈরি শুরু হয়। শুধু টাটা নয়, একাধিক অনুসারী শিল্প সেখানে আসতে শুরু করে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর এসইজেড প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে শুরু করে৷
তার পরে যা ঘটেছে, তা এনে দিয়েছে বাংলার রাজনীতিতে এক আমূল পরিবর্তন। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে ১৩ বছর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে আজও সিঙ্গুরের আকাশে বাতাসে সেই একটাই প্রশ্ন ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে, কী হতে পারত আর কী হল না।
— রাহী হালদার