Tag Archives: Singur

Hooghly News: হয় চাষ, নয় শিল্প! সিঙ্গুরের জমিতে আবারও সংঘটিত হচ্ছে আন্দোলন

হুগলি: একসময়ের জমি আন্দোলনের গড় ছিল হুগলির সিঙ্গুর। টাটা কারখানার অধিগৃহিত জমি ফেরতের জন্য তীব্র আন্দোলন করেছিল জমি বাঁচাও কমিটি। তবে চাষের জমি ফেরত পেলেও তা আর চাষযোগ্য নেই। তাই ফেরত জমি চাষযোগ্য করে তুলতে কিংবা পতিত জমিতে শিল্প করার দাবিতে গণসাক্ষর অভিযানে নামছেন সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনকারী কৃষকদের একাংশ । তৈরি হয়েছে সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটি। ছাপানো হয়েছে আবেদন পত্র। আগামী ৩০শে আগষ্ট থেকে ক্যাম্প করে চাষীদের থেকে এই মর্মে আবেদনপত্র সংগ্ৰহ করবে কমিটি।

কমিটির সদস্যদের দাবি, সিঙ্গুরের অধিকাংশ জমিকে চাষযোগ্য করে দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের জমি চাষযোগ্য করে দিক সরকার তা না হলে সেখানে শিল্প স্থাপন করা হোক। যদিও পাল্টা সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্নার দাবি, সিঙ্গুরের ৯০ শতাংশ জমি চাষযোগ্য হয়েছে। মিথ্যা বলছেন মন্ত্রী, পাল্টা কটাক্ষ করেছে সিপিআইএম।

২০০৬ সালে সিঙ্গুরেটাটা মোটর গাড়ি কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে কৃষিজমি আন্দোলন। সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি, বাজেমেলিয়া, খাসেরভেড়ি, সিংহের ভেড়ি, গোপালনগর এই পাঁচটি মৌজার হাজার হাজার চাষি আন্দোলনে যুক্ত হয়ে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেন। রাজ্যের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলনের রাস ধরে নিতে সক্ষম হয়। ফলে আন্দোলন তীব্র থেকে আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে। কৃষকদের আন্দোলনের ফলে কারখানার কাজ প্রায় সমাপ্ত হয়েও ফিরে যেতে বাধ্য হয় টাটারা। ২০১৬ সালে ৩১শে অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করে প্রায় ১০০০একর জমি চাষযোগ্য করে তিন মাসের মধ্যে চাষিদের ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। এরপর কারখানা ভেঙ্গে সিঙ্গুরের জমি চাষিদের ফিরিয়ে দেয় তৃণমূল সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রায় ৮বছর পরে আবারো সেই জমি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন সিঙ্গুরের আন্দোলনকারী কৃষকদেরই একাংশ।

যে জমি তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে তার বেশিরভাগই চাষযোগ্য করে দেওয়া হয়নি। বন জঙ্গলে ভর্তি এখনওপড়ে রয়েছে পাথর, কংক্রিটের আস্তরণ, ফলে ফেরত পাওয়া জমি এখনো চাষের অযোগ্য। তাই তাদের দাবি, সেই জমি চাষ যোগ্য করে দিতে হবে সরকারকে। জমি চিহ্নিত করে বুঝিয়ে দিতে হবে কৃষকদের, করতে হবে জল নিকাশীর উপযুক্ত ব্যবস্থা, আর যদি জমি চাষের উপযুক্ত না করে তোলা যায় তাহলে সেই জমিতে শিল্প হোক। চাষিদের আশা মানবিক মুখ্যমন্ত্রী তাদের কথা বুঝবেন।

Buddhadeb Bhattacharjee Death: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের দিনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দুই কান্ডারির গলায় ভিন্ন সুর!

রাহী হালদার, হুগলি: একসময়ের দাপুটে নেতা, সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।  ২৩ শে শ্রাবণ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে আজ তাঁর গলায় অন্য সুর। কারখানা হলেই ভাল হত-এমনই বলছেন সিঙ্গুরের প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। যদিও এ কথা মানতে নারাজ কার্যত সিঙ্গুরের বর্তমান কান্ডারি তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্না।

বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর মৃত্যুর দিনেই যেন আবারও স্মৃতিচারণের পাতায় উঠে এসেছে সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামের নাম। ভূমি আন্দোলনের গড় সিঙ্গুর সেই সিঙ্গুরের তৎকালীন ভূমি আন্দোলনের অন্যতম দুই নেতার গলায় দুই ভিন্ন সুর। সিঙ্গুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা এক সময় সিঙ্গুরে কৃষি জমি আন্দোলনের নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিঙ্গুরের জমি নীতি ভুল ছিল। তাঁর সততা, নিষ্ঠা আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করি। সিঙ্গুর নিয়ে বুদ্ধদেববাবু, প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন ও  প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি যে সমঝোতায় এসেছিলেন, তাঁর দল সেটা যদি মেনে নিত, তাহলে সিঙ্গুরে শিল্প হত। আর কারখানা হয়নি বলে সিঙ্গুরে ক্ষোভ, দুঃখ, যন্ত্রণার চিহ্ন রয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন : মেঘলা আকাশের নীচে পড়ে রইল তাঁর প্রিয় কলকাতা, নন্দন চত্বর ও বইমেলা, এক ২৩ শ্রাবণের সকালে চিরঘুমে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

সিঙ্গুরের কৃষি আন্দোলনের আরও এক কান্ডারি হলেন বেচারাম মান্না। বর্তমানে রাজ্যের কৃষি ও বিপণন মন্ত্রী তিনি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে বেচারাম মান্না  বলেন, বুদ্ধবাবুর ব্যক্তিত্বকে তাঁরা শ্রদ্ধা করেন। তাঁর রাজপাট করার কৌশলকে তাঁরা শ্রদ্ধা জানান। তবে সিঙ্গুরের মানুষের উপর যে নীতি গ্রহণ করেছিল বাম সরকার, তার বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গর্জে উঠেছিল সিঙ্গুরের মানুষজনবলে মনে করেন তিনি। তাঁর আরও সংযোজন, আজও মানুষজন ২০০৬ এর সেই আন্দোলন মনে রেখেছে। যেভাবে বিরোধ শুরু হয়েছিল সেই বিরোধিতায় রয়েছে আজও সিঙ্গুরের মানুষ। মন্ত্রী আরও বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করলেও তাঁর নীতির বিরোধিতা তাঁরা আগেও করে এসেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন।

Buddhadeb Bhattacharya Death: কী হতে পারত, আর কী হল না! বুদ্ধদেবের প্রয়াণেও সিঙ্গুরের বাতাসে সেই একটিই প্রশ্ন

হুগলি: শ্রাবণের ধারা ঝরে পড়ছে বিস্তীর্ণ খোলা মাঠে। শ্রাবণের বর্ষণের শেষে সেখানেই মাথা তুলে দাঁড়াবে শরতের কাশফুল। তবে যে বিস্তীর্ণ মাঠে কঙ্কালসার দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে টাটার স্বপ্নের কারখানা সে আরমাথা তুলে দাঁড়াতে পারিনি। অচিরেই মিশে গেছে ইতিহাসের পাতায়। যে ইতিহাস জন্ম দিয়েছিল বাংলার বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানো ঘাসফুলকে। আর সেই মাটিতেই মিশে রয়েছে শত সহস্র কাস্তে হাতুড়ির স্বপ্ন, স্বপ্ন শিল্পায়ন বিপ্লবের। সাল টা ২০০৬ ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ’।

এই একটি স্লোগানে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল বিধানসভা থেকে বিরোধী শিবির। ব্যাপক জনসমর্থনে ২৩৫ টি আসনে জয়লাভ করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। আবারও মুখ্যমন্ত্রী হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শিল্পায়ন করার জন্য এগিয়ে আসে টাটা গোষ্ঠী। কথা ছিল সিঙ্গুরের কারখানায় তৈরি হওয়া গাড়ি চলবে গোটা বিশ্বব্যাপী।

আরও পড়ুন: আপনিও কি খুব অলস, বলুন তো পৃথিবীর সবচেয়ে অলস প্রাণী কোনটি? শুনে কিন্তু সত্যিই অবাক হয়ে যাবেন

টাটা গোষ্ঠীকে ১২০০ একর জমি দিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। কারখানা তৈরি শুরু হয়। শুধু টাটা নয়, একাধিক অনুসারী শিল্প সেখানে আসতে শুরু করে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর এসইজেড প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে শুরু করে৷

তার পরে যা ঘটেছে, তা এনে দিয়েছে বাংলার রাজনীতিতে এক আমূল পরিবর্তন। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে ১৩ বছর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে আজও সিঙ্গুরের আকাশে বাতাসে সেই একটাই প্রশ্ন ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে, কী হতে পারত আর কী হল না।

— রাহী হালদার

Road Construction Clash: রাস্তা তৈরি নিয়ে বিবাদে জড়াল শাসকদলের দুই পক্ষ, সিঙ্গুরে চ্যালা কাঠ নিয়ে তাড়া করারর ভিডিও ভাইরাল

হুগলি: গ্রামের রাস্তা তৈরি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ। আর তাতেঈ মহিলাকে রাস্তায় ফেলে চলল বেদম মারধর। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। গোটা ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে হুগলির সিঙ্গুরে।

রাস্তা তৈরি নিয়ে বিবাদের জেরে মারামারির এই ঘটনায় যিনি মার খেয়েছেন আর যারা মেরেছে সকলেই শাসক দলের পঞ্চায়েতের সদস্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণপাড়ায় একটি রাস্তা তৈরি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। গ্রামের সাঁতরা পরিবারের বাড়ির গা ঘেঁসে প্রায় পাঁচ ফুট চওড়া ও ৪০০ ফুট লম্বা একটি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। তাতে বাধা দেয় ওই পরিবার।বাড়ির গা ঘেঁসে থাকা ড্রেনের উপর দিয়ে রাস্তা করায় আপত্তি জানায় তারা।

আর‌ও পড়ুন: আজও প্রদীপের টিমটিমে আলোই ভরসা! বিদ্যুতের অভাবে এই গ্রামে পড়াশোনা লাটে উঠেছে

পাল্টা পঞ্চায়েত অভিযোগ করে, তাদের জায়গা দখল করে আছে পরিবারটি। সোমবার রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করতে গেলে ঝামেলা বাঁধে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় বেরাবেরি পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমা সর্দার সহ স্থানীয় তৃণমূল সদস্যরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনন্দ মোহন ঘোষ’ও। তাঁদের সঙ্গে বচসা চলার সময় আনন্দ মোহন ঘোষকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর কাটারি নিয়ে তাড়া করা হয়। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।পাশাপাশি আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।সেখানে দেখা যাচ্ছে যুবতী সীমা সাঁতরাকে রাস্তায় ফেলে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে চ্যালা কাঠ দিয়ে মারা হচ্ছে! মারধোর করা হয় ওই যুবতীর বাবা কাশীনাথ সাঁতরাকেও।

দুজনই আহত অবস্থায় শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি আছেন। প্রভাত সাঁতরার অভিযোগ, কোর্টে মামলা হয়েছিল।পুলিশ সময় দিয়েছিল রবিবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তারা সমস্যা মেটাবে বলে। তার আগেই জোর করে পঞ্চায়েত রাস্তা তৈরীর চেষ্টা করে। সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় যদিও কোন‌ও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

রাহী হালদার

ব্যবসায়ীর মাথা ফাটিয়ে লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে চম্পট! জালে পড়ল দুষ্কৃতীরা

রানা কর্মকার, সিঙ্গুর: ৭ দিনের মধ্যেই কাজ হাসিল। গয়নার দোকানে চুরির ঘটনায় ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিঙ্গুর থানার পুলিশ। ধৃত ৪ জনকে বৃহস্পতিবার চন্দননগর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তাদের মধ্যে রয়েছে আজহার মোল্লা, বাড়ি গোঘাট। বর্ধমানের জামালপুরের বাসিন্দা শেখ সুরজ। খানাকুলের প্রভাষ গায়েন এবং আরামবাগের বাসিন্দা শেখ আশিক।

গত ২৫ জুন সিঙ্গুর থানার বড়া এলাকায় ইট দিয়ে মেরে এক সোনার ব্যবসায়ীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল তারা, এমনই অভিযোগ। হুগলীর গ্রামীন পুলিশ শাখার ডিএসপি অগ্নিশ্বর চৌধুরী জানান, ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দুস্কৃতীরা ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দুই লক্ষ টাকার সোনা এবং রূপোর গয়না নিয়ে বাইকে চেপে পালিয়ে গিয়েছিল।

এরপর পুলিশ সিসিটিভি ও মোবাইলের সূত্র ধরে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে।
ডিএসপি অগ্নিশ্বর চৌধুরী, সার্কেল ইন্সপেক্টর প্রশান্ত চ্যাটার্জী সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে দিঘা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আগেও ডাকাতি, লুঠপাট, ছিনতাই এর অভিযোগ রয়েছে।”

আরও পড়ুন-তীর্থে বিপদ! অমরনাথ যাত্রা শেষে চলন্ত বাস থেকে লাফ ১০ যাত্রীর

জেলায় জেলায় একের পর এক গয়নার দোকানে লুঠের ঘটনা শিরোনামে আসছে। ছদ্মবেশে সোনার দোকানে ঢুকে কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে গয়না নিয়ে চম্পট দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি এধরনের ঘটনা নজরে আসে হুগলির চণ্ডীতলায়। ক্রেতা সেজে মাদুলি কিনতে দোকানে ঢুকে গয়নার বাক্স নিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। হুগলির চণ্ডীতলার বরতাজপুরের এক সোনার দোকানের সেই ঘটনা ঘিরেও চাঞ্চল্য ছড়ায়। সিসিটিভি ফুটেজে গয়নার বাক্স হাতানোর দৃশ্য ধরা পড়েছিল। সেখান থেকেই তদন্ত করে পুলিশ। তার পরেই সিঙ্গুরের দোকানে লুঠ। দুই থানাই দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করে হেফাজতে নিতে সক্ষম হল।

 

Hooghly News: সরকারি দফতরে হঠাৎ বিস্ফোণ, ছিটকে এল আগুনের গোলা! সিঙুরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, আহত ৫

হুগলি: সিঙ্গুরের দলুইগাছা এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে বিস্ফোরণ, যার জেরে আগুন লাগল সরকারি দফতরে ! পুড়ে ছাই কয়েকটি ঘর। একটি বড় বিল্ডিংয়ের একাংশও পুড়ে গেছে। অফিস চত্বরে রাখা একাধিক গাড়ি ভস্মীভূত। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকল।

জানা গিয়েছে, অফিসে মজুত করা ক্লোরিন থেকে আগুন লাগে। ঘটনায় আহত ৫জন কর্মচারী ।

আরও পড়ুন: সাদা টি শার্ট, হাতে সংবিধান! শপথ নিয়ে রাহুল বললেন…

সূত্রের খবর, সিঙ্গুরের দলুইগাছা এলাকায় চন্দননগর মহকুমার অধীন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। অফিসের পাশাপাশি মহকুমার জল পরীক্ষাগারও আছে এখানে। কর্মচারীরা জানাচ্ছেন, দুপুরে হঠাৎ বিস্ফোরণের মতো শব্দ হয়৷ এর পরই তাঁরা দেখেন, চারপাশ থেকে আগুনের গোলা ছুটে আসছে৷ মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে আগুন লেগে। আতঙ্কে সবাই ছোটাছুটি করতে থাকেন।

অগ্নিকাণ্ডের জেরে পুড়ে গিয়েছে অফিস চত্বরে জল পরিশোধনে ব্যবহৃত ক্লোরিন মজুত করার একাধিক ঘর। পুড়ে ছাই দুটি চারচাকা, দুটি মোটর বাইক। আগুনের গোলা ছিটকে গিয়ে লাগে কয়েক মিটার দূরে প্রধান অফিস বিল্ডিংয়েও। যার জেরে ভেঙে যায় সমস্ত কাঁচ, পুড়ে গিয়েছে একাধিক যন্ত্রপাতি, ক্ষতিগ্ৰস্থ পরীক্ষাগার । ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন কর্মরত কর্মচারীরা।

ছিটকে আসা আগুনের গোলা থেকে আহত হয়েছেন ৫ জন কর্মচারী। তাঁদের স্থানীয় বেসরকারি নাসিং হোমে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার করানো হয়। এদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় কলাকাতায় পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইজ্ঞিন এসে ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে।

অফিসের কর্মচারী রণজিৎ ভৌমিক জানান, অফিসে কাজ করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়, তারপর চারিদিক থেকে আগুন ছুটে আসে । আমরা ছুটে কোনওরকমে বের হয়ে আসি। দুটো গাড়ি পুড়ে গিয়েছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও বিধায়ক করবী মান্না। মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, মহকুমার এই জনস্বাস্থ্য কারিগরি অফিসে জলে মেশানোর জন্য ক্লোরিন রাখা ছিল। সেই ঘরে কোনও কারণে আগুন লাগে। সেটা থেকেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। ৫০ মিটার পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়ে । ভয়ঙ্করভাবে অফিস ও পরীক্ষাগার ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়েছে।

রাহী হালদার

সিঙ্গুরে ৩৫ বছর পর বামেদের থেকে সমবায় সমিতি ছিনিয়ে নিল তৃণমূল! দেখুন ভিডিও

২০১১-র পালাবদলের পরেও হুগলির সিঙ্গুরের গোবিন্দপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি দখলে রেখেছিল বামেরা৷ লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর এবার সিঙ্গুরের সেই সমবায় সমিতিও দখল করে নিল তৃণমূল৷ রবিবার সমবায় সমিতির ভোটে ৩৫-০ ব্যবধানে জয় পায় তৃণমূল৷ ফলে ৩৫ বছর পর ওই সমবায় সমিতি হাতছাড়া হল বামেদের৷ জয়ের পর সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা৷

Lok Sabha elections 2024: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর ফের মহিলাদের জন্য বিরাট চমক তৃণমূলের! শুরু হল সিঙ্গুর থেকে

রানা কর্মকার, সিঙ্গুর: মহিলা ভোটারদের মন জয় করতে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা৷ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে৷ এবার ভোট প্রচারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা রাখার জন্য মহিলাদের হাতে পৌঁছে যাবে মানিপার্স৷ এই মানিপার্স আসলে মহিলাদের পাঠানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নববর্ষের উপহার বলেই প্রচারে নেমেছে তৃণমূল৷

এ দিনই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের রতনপুর এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের হাতে এই বিশেষ ব্যাগ তুলে দেন তৃণমূল কর্মীরা৷ সূত্রের খবর, গোটা রাজ্যেই ভোট প্রচারে মহিলাদের হাতে এই পার্স তুলে দেওয়ার কৌশল নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে৷ প্লাস্টিকের তৈরি ওই পার্সের গায়ে লেখা, আপনার জন্য নববর্ষের উপহার, দিদি বাড়ালো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার৷

আরও পড়ুন: রইল পড়ে ভোটের প্রচার! চিকিৎসক প্রার্থী যা করলেন, ভোটের ময়দানে বিরল ছবি

তৃণমূলের নতুন এই প্রচার কৌশল থেকেই স্পষ্ট, এবারেও লোকসভা নির্বাচনে মহিলা ভোটকেই পাখির চোথ করেছে তৃণমূল৷ মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো উপহার বলে মহিলাদের হাতে হাতে এই ছোট্ট উপহার পৌঁছে দিলে তার প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বেই বলে বিশ্বাস তৃণমূল নেতাদের৷

হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল-বিজেপির সম্মানের লড়াই৷ সিঙ্গুর আন্দোলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতা দখলের ভিত তৈরি করেছিলেন, অথচ হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে গত বছর লোকসভা নির্বাচনে হারের মুখ দেখতে হয় শাসক দলকে৷ ফলে এবার হুগলি পুনরুদ্ধারে মরিয়া তৃণমূল৷ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিপক্ষে তৃণমূলের বাজি এবার অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

রাজ্যে যে আসনগুলির লড়াইয়ে সবার নজর রয়েছে, তার মধ্যে প্রথম দিকেই থাকবে হুগলি৷ দুই তারকা প্রার্থীর কে শেষ হাসি হাসেন হুগলিতে, সেটাই এখন দেখার৷