একদিকের রেজ্জক একদিকে বুদ্ধ

Buddhadeb Bhattacharjee Death: ‘মতবিরোধ ছিল প্রচুর, কিন্তু আজ কিছু ভাল লাগছে না’, বুদ্ধ-প্রয়াণে শোক অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লার

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একসময় এই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গেই বিস্তর মতবিরোধ হয়েছিল তৎকালীন বাম নেতা তথা ‘চাষার ব্যাটা’ রেজ্জাক মোল্লার। সিঙ্গুরে জমি আন্দোলন যখন তীব্র, বামেদের সংগঠন ভাঙতে শুরু করেছে তখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে রেজ্জাক মোল্লা বলেছিলেন, ” হেলে ধরতে পারে না কেউটে ধরতে এসেছে।”

তবে মতবিরোধ হলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যে ভাল মানুষ ছিলেন তা আজও স্বীকার করেন রেজ্জাক মোল্লা। বর্তমানে তিনি ভীষণ অসুস্থ, শয্যাশায়ী। তবুও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবর পেয়ে যথেষ্ট মর্মাহত। তিনি বলেন, “আমার থেকে এক বছরের ছোট ছিলেন। আমি ওঁর আমলে ১০ বছর ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী ছিলাম। অনেক ক্ষেত্রে মতবিরোধ হলেও সুসম্পর্ক ছিল। উনি খুব ভাল ও সৎ মানুষ ছিলেন”।

আরও পড়ুন: বুদ্ধ-বিদায়ে শোক! প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঋণী বাঁকুড়ার এই কলেজ, কেন জানেন?

নিজের অসুস্থ শরীর নিয়েও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরের বাঁকড়ির বাড়ি থেকে এমন মন্তব্য করেন রেজ্জাক মোল্লা। ১৯৭২ সালে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। ওই সময়ে বুদ্ধবাবু ভোটে দাঁড়াননি। ১৯৭৭ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ দিন রোগশয্যায় একটানা কথা বলতে পারছিলেন না রেজ্জাক। তবু মুখভঙ্গি দেখে বোঝা গেল, অনেক কিছু বলতে চান।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন ফলের বীজ পেটে চলে গেলে আপনি মরেও যেতে পারেন? অবশ্যই জেনে রাখুন

খানিক দম নিয়ে ফের বললেন, “ওঁর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে। তবে সব কথা মনে আসছে না। অত্যন্ত সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ ছিলেন। জ্যোতি বসু যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন আমি চাইলে যখন-তখন দেখা করতে পারতাম। কিন্তু বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সে সুযোগ ছিল না। তবে এমনিতেই আমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল। সালিম গোষ্ঠীর রাস্তা তৈরি নিয়ে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়।” সব কিছুর পরেও প্রাক্তন সহকর্মীর মৃত্যুতে তাঁর মন ভারাক্রান্ত, জানালেন রেজ্জাক। বললেন, “কিছু ভাল লাগছে না।”

সুমন সাহা