কচুর শাক বা কচুর লতি খেতে সকলেই ভালবাসেন। বাবা ঠাকুমার আমল থেকেই চলে আসছে এই সব রান্নার প্রবণতা। শহরের বাইরে গ্রামাঞ্চলে খুব জনপ্রিয় হল এই শাক। এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে এই শাকের উপকারিতা রয়েছে৷ এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী বলে বিবেচিত হয়৷
তবে অনেকেই আছেন কচু শাক খেলে পাতাটা ফেলে দেন৷ কিন্তু এটার উপকার জানলে আপনিও চমকে যাবেন৷ কচুর পাতাও স্বাদে ভরপুর। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এই পাতাগুলো খুবই পুষ্টিকর। এই পাতা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না অনেক রোগ থেকে শরীরকেও রক্ষা করে।
আয়রন, ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সহ অনেক পুষ্টি উপাদান এই পাতায় রয়েছে, যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি খেলে পেট সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধ করা যায় এবং এই পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
প্রবীণ আয়ুর্বেদিক ডাক্তার বিনয় খুল্লার বলেছেন যে কচু পাতায় ওমেগা-৩-সহ প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস। কচু পাতা খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনার রক্তচাপ বেশি থাকে তবে আপনি আপনার ডায়েটে এই পাতা অনায়াসেই রাখতে পারেন।
ডা. খুল্লার বলেন, এই পাতা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এক কাপ কচু পাতা খেলে প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়। এটি কার্যকরভাবে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারে। বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে এবং সার্বিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই পাতাগুলো খুবই কার্যকরী।
চিকিৎসক খুল্লার বলেন, কচু পাতা খাওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কচু পাতা কখনই কাঁচা খাওয়া উচিত নয়, অন্যথায় স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এই পাতা সব সময় সেদ্ধ করে বা ভাল করে রান্না করে খাওয়া উচিত।
কখনও কখনও কাঁচা কচু পাতা বিষাক্ত প্রমাণিত হতে পারে, তাই সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এই পাতাগুলো ভালভাবে পরিষ্কার করে, ধুয়ে ভাল করে সিদ্ধ করে বা রান্না করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
কচু পাতা বেশি তেলে ভাজলেও খাওয়া উচিত নয়, তা না হলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। কোনও রোগ থাকলে বা খাবারে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে কচু পাতা খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিন।
Post navigation
Just another WordPress site