জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সে প্রথম বার নয়া উদ্যোগ মৌসুমী ফেস্টিভ্যাল! বর্ষায় প্রকৃতির নিজস্ব রঙে সেজে ওঠে ডুয়ার্সের রানি। সেই আকর্ষণে বহু পর্যটক এই সময় ভিড় করে ডুয়ার্সে। তবে ডুয়ার্সের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়াতে নয়া উদ্যোগ নিল ডুয়ার্সবাসী। শুরু হল ডুয়ার্সে প্রথমবার “মৌসুমী ফেস্টিভ্যাল”। লাটাগুড়ি জঙ্গল সংলগ্ন একটি হোমস্টেতে এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়।
এই প্রথমবার খুব স্বল্প দিনের জন্য আয়োজন করা হলেও এরপর থেকে প্রত্যেক বছর ধুমধাম করে আয়োজন করা হবে বলেই আশাবাদী ডুয়ার্সবাসীর একাংশ। এবার প্রশ্ন, কি এই মৌসুমী ফেস্টিভ্যাল? বর্ষায় প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে মেতে উঠে। চারদিকে সবুজ নির্মল পরিবেশ আমাদের আকৃষ্ট করে বারবার। বর্ষার এই অপরুপ সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে আরও নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলতেই ডুয়ার্সবাসীর এই ধরনের উদ্যোগ বলে জানা যায়।
এই উৎসবে ডুয়ার্স তথা উত্তরবঙ্গের সংস্কৃতি, গান, খাওয়া দাওয়া, গল্প, নানা গ্রাম দর্শন,মিউজিয়াম দর্শনে মেতে উঠেছে ডুয়ার্সের বাসিন্দা থেকে শুরু করে আগত পর্যটকেরা।লাটাগুড়িতে আয়োজিত হওয়া এই উৎসবে আগত অতিথিরা থাকা খাওয়ার পাশাপাশি গান-বাজনা, ডুয়ার্সের গল্প, ডুয়ার্সের বিভিন্ন স্বাদের খাবার উপভোগ করছেন মন খুলে। এমনকি, গ্রামের পথে হেঁটে হেঁটে আর্ট অ্যান্ড কালচারাল সেন্টারে গিয়ে ঘুরেও আসছেন পর্যটকরা।
খাবারের মধ্যে পাতে ছিল সুস্বাদু ইলিশ ভর্তা থেকে তিস্তার তাজা বোরলি মাছ, ডুয়ার্সের জনপ্রিয় খাবার থেকে শুরু করে পাঁঠা-মুরগির মাংসের নানা পদ । পাশাপাশি, সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠান, লোকসংগীত শিল্পীদের গানের আসর পর্যটকদের মনের এক কোণে মধুর মুহূর্ত হিসেবে থেকে যাবে আজীবন। মৌসুমী ফেস্টিভ্যালির মধ্য দিয়ে ডুয়ার্সকে এত কাছ থেকে জানার সুযোগ পেয়ে খুশি পর্যটকেরাও।
সুরজিৎ দে