মা মনসা

Manasa Puja 2024: অর্ধেক সাপ, অর্ধেক নারী, বৃষ্টিভেজা শ্রাবণসকালে নেমে এলেন যেন ‘জীবন্ত মা মনসা’

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: জীবন্ত মা মনসা। নেমে এলেন বাঁকুড়ায়। দেখুন অর্ধেকটা সাপ অর্ধেকটা মানুষ। মূর্তিটা দেখে মনে হচ্ছে যেন মা জীবিত রয়েছেন? আসলে এই মূর্তি জীবন্ত মূর্তি। এই মা মনসা জীবন্ত মা মনসা। আসলে একজন মেয়েকে মা মনসা সাজানো হল বাঁকুড়াতে। ভাববেন না জিনিসটা খেলার ছলে হয়েছে। রীতিমত৫-৬ জন মেকআপ আর্টিস্ট মিলে, প্রফেশনালি একটি মেয়েকে ১৫ ঘন্টার কঠিন পরিশ্রমের পর মা মনসার রূপ দিতে পেরেছে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা একইভাবে হাঁটু গেড়ে বসে রয়েছেন জীবন্ত মা মনসা। বলছেন না কথা! খাচ্ছেন না কিছুই। চোখ দুটিও নকল। আসলে গোটা দেহের উপর মাটির প্রলেপ দিয়ে তার উপরে রং করে শুকিয়ে তৈরি করা হয়েছে মা মনসাকে, যার অর্ধেকটা সাপ অর্ধেকটা দেবী। প্রায় ১৫ ঘণ্টা চোখ বন্ধ করে রয়েছেন মডেলটি।

বাঁকুড়ার স্কুলডাঙ্গার বাসিন্দা চৈতালি বিশ্বাস পেশায় মেকআপ আর্টিস্ট। মেকআপ করার পাশাপাশি মেকআপ করা শেখানও তিনি। নিজের ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে জীবন্ত মা মনসা তৈরি করলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল একটি ফটোশুট করা। প্রতিবছরই বিভিন্ন উৎসবের আগে নতুনত্ব মেকআপ করে মডেল তৈরি করে তাক লাগান বাঁকুড়ার এই গৃহবধূ তথা মেকআপ আর্টিস্ট। বাঁকুড়া পুরুলিয়ার মনসা পুজো এক অন্য মাত্রা পায়। সেই কারণেই মনসা পুজো উপলক্ষে, জীবন্ত মা মনসা বানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সহযোগিতা করেছেন প্রায় পাঁচ জন ছাত্রী। ১৫ ঘণ্টার অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মিলেছে সুফল।

চৈতালি বিশ্বাস বলেন, ” প্রথমে খড় আর মাটি দিয়ে একটা প্রলেপ তৈরি করা হয়েছে, যে প্রলেপ দিয়ে কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যবহার করে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর মাটির প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নকল চোখ। তারপর রং করে শুকিয়ে নেওয়া হয়েছে ড্রায়ার দিয়ে। এভাবেই তৈরি হয়েছে জীবন্ত মা মনসা।”

আরও পড়ুন : টাকা খরচ করে একগাদা অ্যান্টাসিড বাদ! এই ৫ ঘরোয়া টোটকায় মুক্তি পান গ্যাস, অম্বল, বদহজম থেকে

প্রায় ১৫ ঘণ্টা একইভাবে বসে থেকে যে তনয়া মা মনসা সেজেছেন তাঁর নাম হল নিশা। নিশা বলেন, প্রায় ১৫ ঘণ্টা বসে আছি। প্রথম যখন চৈতালি দি বিষয়টি বলেন তখন এক্সাইটেড লেগেছিল। সেই কারণেই পরিশ্রম করছি যাতে ফটোশুটটা করা যায়। আমার খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। ভবিষ্যতে এরকম সুযোগ পেলে আবারও করব আমি।