আমাদের জাতীয় পতাকার বিবর্তন ও ইতিহাস

Indian National Flag: ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তন ও ইতিহাস বিষয়ে প্রদর্শনী হাওড়ায়

হাওড়া: ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাসের প্রদর্শনী চলছে হাওড়ার গান্ধী গ্লোবাল চ্যাপ্টারের তরফ থেকে। দেশ ও জাতীয় পতাকার প্রতি মানুষের আরও বেশি প্রেম জাগাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ | বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জাতীয় পতাকার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতেই এই ভাবনা বলেই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ১৫ অগাস্ট দেশের স্বাধীনতা উদযাপন করবে আপামর ভারতবাসী, উত্তোলিত হবে জাতীয় পতাকা| ভারতের জাতীয় পতাকার এই বর্তমান নকশাটি গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাইয়ের সাংবিধানিক সভায় | এই পর্যায়ের আসার আগে বহুবার পাল্টেছে জাতীয় পতাকার নকশা |

আরও পড়ুনঃ সোনাঝুড়ি হাট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! চালু নতুন নিয়ম, এবার সপ্তাহে কদিন খোলা থাকবে হাট?

ভারতের জাতীয় পতাকার যাত্রা শুরু হয় কলকাতার পার্সিবাগান স্কোয়ারে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে| ভারতীয় উপমহাদেশের স্বদেশী ও বয়কট সংগ্রামের সময় এটি ঘটেছিল | সে সময়ে পতাকাটিতে লাল, হলুদ এবং সবুজের তিনটি অনুভূমিক স্ট্রাইপ রয়েছে। যেখানে হিন্দি ভাষায় বন্দে মাতরম শব্দগুলি খোদাই করা হয়েছে | ১৯০৭ সালে বার্লিনে ভারতের জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী হয়। এই পতাকায় ছিল তিনটি রঙ। এরপর ১৯১৬ সালে আরও একটা ভারতীয় পতাকার নকশা দেখতে পাওয়া যায়| ১৯২০ সালে জাতীয় পতাকার অভাব অনুভব করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। ওই বছরই গান্ধীজির কাছে জাতীয় পতাকার একটা নকশা প্রস্তাব করেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। সেই পতাকায় ভেঙ্কাইয়াকে সাদা রঙ ও চরকা অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন গান্ধীজি। চরকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় পতাকাটি তৈরি হয় খদ্দর কাপড়ের। ১৯৩১ সালে ফের জাতীয় পতাকার নকশা পাল্টান পি. ভেঙ্কাইয়া।

১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই স্বাধীন ভারতের একটি জাতীয় পতাকা তৈরি প্রস্তাব দেন পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু | প্রস্তাব হয় সেই পতাকায় ওপরে থাকবে গেরুয়া রঙ | মাঝে সাদা এবং তলায় গাঢ় সবুজ রঙ সমান পরিমাণে থাকবে| মাঝখানের সাদা রঙের মধ্যে থাকবে অশোকের ধর্মচক্র | জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দেশের যুব সমাজের কাছে তুলে ধরতে পেরে দারুন আনন্দিত সংগ্রাহক ইন্দ্রনাথ বারুই। এ প্রসঙ্গে ইন্দ্রনাথ বাড়ুই জানান, শৈশব থেকে নানা দুষ্প্রাপ্য জিনিস সংগ্রহের প্রতির নেশা। তার মধ্যে অন্যতম হল ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তন ও ইতিহাস চর্চা। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল এই প্রদর্শন। এই প্রদর্শনের প্রধান উদ্দেশ‍্য মানুষের মনে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগ্রত করা, এমন টাই জানালেন হাওড়ার গান্ধী গ্লোবাল চ্যাপ্টারের সম্পাদক সৌম্য |

রাকেশ মাইতি