বিচার চেয়ে পথে আইনজীবীরা। ডানদিকে মধ্যরাতে প্রতিবাদ।

West Bardhaman News: ‘বিচার পেতে যেন দশ-পনেরো বছর না লাগে’, আরজি কর কাণ্ডে পথে আইনজীবীরা

পশ্চিম বর্ধমান: আর জি কর কান্ডে জড়িতদের দেওয়া হোক কঠোরতম শাস্তি। এই দাবিতে প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। কলকাতার গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলার অলিগলিতে চলছে প্রতিবাদ। প্রতিবাদের অন্য ছবি দেখা গেল দুর্গাপুরে। যেখানে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার দাবিতে পথে নামলেন আইনজীবীরা।

নির্ভয়া কান্ডের মত যাতে আরজি কর কাণ্ডে বিচার পেতে যেন ১০-১৫ বছর দীর্ঘ সময় না লাগে। সেই দাবি তুলে পদযাত্রা করলেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা। মহকুমা আদালত চত্বরে হয়েছে প্রতিবাদ। যেখানে মহিলা আইনজীবীদের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন পুরুষ আইনজীবীরাও।

অন্যদিকে, স্বাধীনতা দিবসের আগের রাত প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে গোটা জেলায। আসানসোল, দুর্গাপুর পানাগড় – সব জায়গায় পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহিলারা। প্রতিবাদী কোনও মহিলার হাতে দেখা গিয়েছে ত্রিশূল। যার মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে, আর জি কর কান্ডের মত ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্তরা কার্যত অসুর। তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য এই প্রতিবাদ। আবার মোমবাতি জ্বালিয়ে, কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করেছেন তারা।

মধ্যরাতে আসানসোল শহরের ভগৎ সিং মোড় এলাকায় প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন হাজার হাজার মহিলা। তাদের সঙ্গে পা মিলিয়ে বিচারের দাবি উঠে এসেছে পুরুষদের গলা থেকেও। বয়স, পেশার বিভেদ ভুলে সকলেই পা মিলিয়েছেন আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। তারা বলছেন, এখন মেয়েরা চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল সহ বহু উচ্চ পদে যাচ্ছেন। কিন্তু একজন চিকিৎসকের যেখানে নিরাপত্তা নেই, সেখানে মেয়েদের কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তাই আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে মহিলাদের নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করার দাবি উঠেছে। শহরের রাজপথ থেকে উচ্চস্বরে উঠে এসেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ দাবি।

আরও পড়ুনঃ GK: গাছও পায় সরকারি পেনশন! কোথায় বলুন তো? রয়েছে এদেশেই

দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ ময়দানে মধ্যরাতে রাস্তা দখলের কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত ছিল। সেখানেও শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিলারা এসে জমায়েত করেন। মোমবাতি হাতে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। স্মার্টফোনের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছেন সকলে। আবার দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। সব জায়গা থেকেই দাবি উঠেছে একই। আর জি কর কান্ডে অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক। বিচার প্রক্রিয়া হোক দ্রুত। যেন এমন অপরাধ করার আগে একজন অপরাধীর বুক কেঁপে ওঠে।

নয়ন ঘোষ