অন্ডাল, পশ্চিম বর্ধমান : নিয়ম মত রাত্রে ডিউটির জন্য নেমেছিলেন খনির নিচে। কিন্তু কে জানত এত বড় বিপদ ওত পেতে বসে আছে। ডিউটির সময় তখন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কিন্তু রাত্রে খনির নিচে ডিউটি করতে যাওয়া রঞ্জিত বাউরীকে বের করে আনা হল আশঙ্কাজনক অবস্থায়। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
ইসিএলের জামবাদ কোলিয়ারির ৪ নম্বর পিট। সেখানেই রাত্রে খনির নিচে নিজের শিফটে কাজ করতে নেমেছিলেন রঞ্জিতবাবু। সারারাত কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু এদিন বুধবার সকাল সাতটা পনেরো মিনিট নাগাদ সেই খনিতে ঘটে দুর্ঘটনা। তার ফলে গুরুতরভাবে আহত হন রঞ্জিতবাবু। তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে উপরে নিয়ে আসা হয়। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহত শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন : গ্রামে কখনও হয় না রাজনৈতিক প্রচার, তবুও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিলেন বাসিন্দারা সকলেই
প্রসঙ্গত, ইসিএলের কুনস্তুরিয়া খনিতে চলতি মাসের ৮ তারিখে দুর্ঘটনা হয়। সেখানেও কর্তব্যরত এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে আবার খনির নিচে কর্তব্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিক। যে দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে তার। আর এই ঘটনার পরে ইসিএলের শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যাপারে উদাসীন। পরপর দুটি দুর্ঘটনায় খনি শ্রমিকদের মৃত্যু তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন : ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বন্দি জনমত! চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী
যদিও এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে বারবার এই দুর্ঘটনার ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত খনি শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি, শ্রমিকদের সুরক্ষার দিকে এবার আরও বেশি নজর দিতে হবে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পাশাপাশি মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।
নয়ন ঘোষ