Tag Archives: West Bardhaman

West Bardhaman News : রাতে নেমেছিলেন কাজ করতে, সকালে খনি থেকে বেরিয়ে এল দেহ! সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ইসিএলে

অন্ডাল, পশ্চিম বর্ধমান : নিয়ম মত রাত্রে ডিউটির জন্য নেমেছিলেন খনির নিচে। কিন্তু কে জানত এত বড় বিপদ ওত পেতে বসে আছে। ডিউটির সময় তখন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কিন্তু রাত্রে খনির নিচে ডিউটি করতে যাওয়া রঞ্জিত বাউরীকে বের করে আনা হল আশঙ্কাজনক অবস্থায়। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।

ইসিএলের জামবাদ কোলিয়ারির ৪ নম্বর পিট। সেখানেই রাত্রে খনির নিচে নিজের শিফটে কাজ করতে নেমেছিলেন রঞ্জিতবাবু। সারারাত কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু এদিন বুধবার সকাল সাতটা পনেরো মিনিট নাগাদ সেই খনিতে ঘটে দুর্ঘটনা। তার ফলে গুরুতরভাবে আহত হন রঞ্জিতবাবু। তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে উপরে নিয়ে আসা হয়। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহত শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন : গ্রামে কখনও হয় না রাজনৈতিক প্রচার, তবুও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিলেন বাসিন্দারা সকলেই

প্রসঙ্গত, ইসিএলের কুনস্তুরিয়া খনিতে চলতি মাসের ৮ তারিখে দুর্ঘটনা হয়। সেখানেও কর্তব্যরত এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে আবার খনির নিচে কর্তব্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিক। যে দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে তার। আর এই ঘটনার পরে ইসিএলের শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যাপারে উদাসীন। পরপর দুটি দুর্ঘটনায় খনি শ্রমিকদের মৃত্যু তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

আরও পড়ুন : ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বন্দি জনমত! চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

যদিও এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে বারবার এই দুর্ঘটনার ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত খনি শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি, শ্রমিকদের সুরক্ষার দিকে এবার আরও বেশি নজর দিতে হবে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পাশাপাশি মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News : দশম, দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষায় নম্বরের মেলা, নজরকাড়া সাফল্য দুর্গাপুরের এই স্কুলের 

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : বিগত এক দশকে দুর্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি হয়েছে অনেকটা। একাধিক নামিদামি স্কুল, কলেজ পথ চলা শুরু করেছে শহরের বুকে। কিন্তু শহরে যতগুলি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পুরানো ডিএভি মডেল স্কুল। ১৯৭৫ সালে এই স্কুল হাতেগোনা কিছু পড়ুয়াদের নিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল। যেখানে এখন বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা কয়েক হাজার। আর সেই বিদ্যালয়ের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীরা রাখলেন নিজেদের সাফল্যের ছাপ। শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ এবছরও বজায় রাখল দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুল।

এই বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফল হয়েছে নজর কাড়া। নম্বরের ভিত্তিতে ৯৭% নম্বর পেয়ে এই বিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রিয়া জৈন। দ্বাদশ শ্রেণীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন প্রায় ৫৬৫ জন। যাদের মধ্যে ১০৩ জন পেয়েছেন ৯০% এর উপর নম্বর পেয়েছেন। ৩৫ জন পড়ুয়া বিভিন্ন বিষয়ে পেয়েছেন ১০০ শতাংশ নম্বর। দ্বাদশ শ্রেণীতে বিদ্যালয়ে গড় পাসের হার ৭৭ ৭৭.৯৯ শতাংশ। এমনটাই জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের এক আধিকারিক। এই বিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রিতে ১০০% নম্বর পেয়েছেন দুজন। বায়োলজিতে ১০০% নম্বর পেয়েছেন একজন পড়ুয়া। পেইন্টিংয়ে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ১৯ জন পরীক্ষার্থী। অ্যাকাউন্টান্সিতে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন তিনজন পড়ুয়া। এছাড়া বিজনেস স্টাডিজে দু’জন এবং হেলথ কেয়ারে একজন পরীক্ষার্থী ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন।

আরও পড়ুন : ফ্লাইওভারের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ল ডাম্পার! খলনায়ক টায়ার…

অন্যদিকে এই বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর অর্থাৎ এসএসইতে গড় পাশের হার ৮০ শতাংশের বেশি। বিদ্যালয় ৩৯১ জন পড়ুয়া দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় বসেছিলেন। যার মাধ্যমে ৯৮.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে এই বিদ্যালয়ের প্রথম স্থান অধিকার করেছেন উমঙ্গ। দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পরীক্ষার্থী পেয়েছেন ৯৮.৪ শতাংশ নম্বর। অন্যদিকে তৃতীয় স্থান অধিকারী পড়ুয়া পেয়েছেন ৯৮ শতাংশ নম্বর। দশম শ্রেণীতে বিদ্যালয়ের গড় পাশের হার ৮১.৯১ শতাংশ। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ৮৬ জন বিভিন্ন বিষয়ে এক শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ডিএভি মডেল স্কুলে দশম শ্রেণীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মত বিষয় পড়ানো হয়। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের ২১ জন পড়ুয়া ১০০% নম্বর পেয়ে নজর কেড়েছেন শহরের।

আরও পড়ুন : ভোট দেওয়ার অন‍্য ছবি! বাড়ি বসে ভোট দিতে মন চায় না, বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও বুথে পৌঁছলেন অনিল

দুর্গাপুর ডিএভি মডেল স্কুলের প্রিন্সিপাল পাপিয়া মুখার্জি সফল পড়ুয়াদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পড়ুয়ারা নিজেদের প্রচেষ্টায় নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করেছেন। একই সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীদের লাগাতার প্রয়াস বিদ্যালয়ের এই উজ্জ্বল সাফল্যকে ধরে রেখেছে। একই সঙ্গে তিনি পড়ুয়াদের পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকদেরও। পাশাপাশি, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য পড়ুয়াদের পাশাপাশি তিনি অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, যেভাবে ধীরে ধীরে শহরের শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক সাফল্যের মুকুট এসে জুড়ে ডিএভি মডেল স্কুলের মাথায়, তা আগামী দিনে আরও উজ্জ্বল হবে। পড়ুয়া, অভিভাবকদের, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীদের সমগ্র সহযোগিতায় এই সাফল্য বারবার আসে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Elections 2024: এককালে সকলের থেকে দূরে থাকতেন, আজ ‘তাঁরা’ গণতন্ত্রের উৎসবের শামিল, ওঁরা কারা জানেন?

পুরুলিয়া: রাজ্যে চলছে চতুর্থ দফার নির্বাচন। ভোর থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন বুথগুলিতে। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরেও চলছে নির্বাচন। সমস্ত জায়গায় রয়েছে কড়া নজরদারি। ‌দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব দিগন্ত। দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের ২১১ নম্বর বুথে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। বর্তমানে ১৬৮ জন ভোটার রয়েছেন এই বুথে। ‌এককালে এই বুথের বেশির ভোটারই ছিল কুষ্ঠ আক্রান্ত। ‌গ্রামের শেষ প্রান্তে ছিল এই কেন্দ্র। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা করিয়ে অনেকেই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। এখন হাতে গুনে ১২-১৫ জন রোগী রয়েছেন এলাকায়। আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জীবন।

এ প্রসঙ্গে এলাকার ভোটাররা বলেন, এককালে তাঁদের এই এলাকার নাম ছিল কুষ্ঠ কলোনী। এই নাম থাকার কারণে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হত তাদের সন্তানদের। সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হত। বর্তমানে এলাকার নাম কুষ্ঠ কলোনী পরিবর্তন করে নব দিগন্ত দেওয়ায় তাদের অনেক ক্ষেত্রে উপকার হচ্ছে। তারা অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আর এ বছর তাদের এই বুথ মডেল বুথ করায় তারা ভীষণই খুশি। ‌

আরও পড়ুনঃ থমথমে বোলপুর! ‘তাঁর’ অনুপস্থিতিতে ফিকে ভোট! কী বলছে অনুব্রতর পাড়া-বুথ? জানুন

কুষ্ঠ রোগ, যার নাম শুনলেই আপন মানুষও পর হয়ে যেত। পরিবার পরিজনের কাছে বোঝা হয়ে উঠত এই রোগে আক্রান্তরা। ‌ভীষণ দুর্বিসহ হয়ে উঠত জীবন। সিংহভাগ সমস্য দূর হলেও মানুষের মনে আজও কুষ্ঠ রোগ নিয়ে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা থেকে গিয়েছে। কুষ্ঠ রোগীদের সঙ্গে আপনজনরাই অস্পৃশ্যের মত আচরণ করে। দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব দিগন্ত এলাকার মানুষেরাও জীবন যুদ্ধে অনেকখানি লড়াই করে ফিরে এসেছেন জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে। ‌ আনন্দের সঙ্গে আজ তারাও ভোট দান করলেন।

শমিষ্ঠা ব্যানার্জি

Lok Sabha Election 2024 : কারোর বয়স ১০০ ছুঁইছুঁই, কেউ বিশেষভাবে সক্ষম! কাঁকসার ২৮ জন বিশেষ ভোটারের ভোটদান

কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : আগামী সোমবার চতুর্থ দফায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন।২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে ওইদিন। ভোটকে কেন্দ্র করে রীতিমতউৎসবের মেজাজে সেজে উঠছে জেলা। কিন্তু কিছু ভোটার এমনও ছিলেন, যারা বুথে গিয়ে নিজেদের ভোটদানে সক্ষম ছিলেন না। কাঁকসায় এমন ভোটারের সংখ্যা সবমিলিয়ে প্রায় ২৮ জন।

বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাঁকসা এলাকায় বয়স্ক ভোটার রয়েছেন অনেকেই। তাছাড়াও বেশ কয়েকজন বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারও রয়েছেন। বয়স্ক ভোটারদের আশঙ্কা ছিল, তারা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারবেন না। তাছাড়া ভোট গ্রহণ কেন্দ্র পর্যন্ত যাওয়াও তাদের কাছে এক একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সহায় হয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার ফলে নির্বিঘ্নে ওই বিশেষ ভোটাররা সকলেই নিজেদের জনমত লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম বন্দি করতে সফল হয়েছেন।

আরও পড়ুন : শেষবেলায় জমে উঠছে আসানসোলে প্রচার! আলুওয়ালিয়ার পাশে সুকান্ত, শত্রুঘ্নর হয়ে কৌশানি

মূলত নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকেই বিশেষ ভোটারদের ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যে ছবি আগেই দেখা গিয়েছে আসানসোলে। কিন্তু কাঁকসা এলাকায় এমন বিশেষ ভোটারের সংখ্যা ছিল ২৮ জন। যে সমস্ত ভোটারদের বয়স ৮৫ বছরের বেশি। এমন অনেক ভোটার রয়েছেন, যাদের বয়স ১০০’র গণ্ডি ছুঁইছুঁই। বয়সের ভারে তারা বেশিরভাগ সময়ে শুয়ে বসেই কাটিয়ে দেন। ফলে তাদের কাছে ভোট দিতে যাওয়া যে চ্যালেঞ্জ ছিল, সেটা বলার অপেক্ষা থাকে না। তার জন্যই বিশেষ ভোট দানের ব্যবস্থা করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।

আরও পড়ুন : ‘দিলীপদা’ জিতলে ভাগ্য ফিরবে শিল্পাঞ্চলের! শাহি সভায় ‘মোদি গ্যারান্টি’ অমিতের মুখে

যে সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আগামী সোমবার লোকসভা নির্বাচন রয়েছে, সেই সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতেই ভোটদানের ব্যবস্থা করেছিল কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে গিয়ে ভোট কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে ভোট করিয়েছেন। যার ফলে এই সমস্ত বয়স্ক ভোটার, যারা বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারতেন না, তারাও ভোট দিতে পেরেছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নিজের গুরুত্বপূর্ণ ভোট নিজে দিতে পেরে তারা ভীষণভাবে খুশি। কমিশনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই সমস্ত ভোটের পরিবারের সদস্যরাও।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News : দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান আসানসোল, দুর্গাপুরে! কথা রাখল বৃষ্টি, এল স্বস্তি

আসানসোল ও দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম সহ্য করতে হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিকে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রত্যেকদিন তৈরি হয়েছে তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড। তাপপ্রবাহের লাল সর্তকতা জারি করেছিল হাওয়া অফিস। এমন অবস্থায় জেলার মানুষ তাকিয়ে ছিলেন বৃষ্টির দিকে। যদিও রবিবারের পর থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সোমবার আসানসোলে হালকা মেঘের দেখা পাওয়া গেলেও, বৃষ্টি হয়নি। দুর্গাপুরে বৃষ্টি হয়েছিল নামমাত্র। স্বাভাবিকভাবেই সেই বৃষ্টিনা আনতে পারেনিস্বস্তি, না খুশি হননি মানুষ।

তবে অবশেষে কথা রেখেছে বৃষ্টি। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়েছে আসানসোল, দুর্গাপুর, পানাগড়ে। যা স্বভাবতই এনে দিয়েছে স্বস্তির আবহাওয়া। দীর্ঘ অপেক্ষার বৃষ্টির দেখা পেয়ে খুশি জেলার মানুষ। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এক ধাক্কায় অনেকটা নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। গত সোমবার আশা জাগিয়েও বৃষ্টি না হওয়ায়, মানুষজন রীতিমতহতাশ হয়েছিলেন। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে যেভাবে বৃষ্টির দেখা জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া গিয়েছে, তাতে ততটাই খুশি হয়েছেন মানুষ। সকলেই একযোগে বলছেন, এই বৃষ্টির অপেক্ষা এক মাস ধরে করতে হয়েছে। অবশেষে এসেছে সেই স্বস্তির বৃষ্টি।

আরও পড়ুন : সে কী ভয়ানক কাণ্ড, পানাগড় স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন পুরুষ ও মহিলা, কেন ঘটল এরকম ঘটনা

তবে এই বৃষ্টির মধ্যে চিন্তা বেড়েছে জেলার মানুষের। কারণ একদিকে যেমন বৃষ্টি হয়েছে, তেমনভাবেই শোনা গিয়েছে তীব্র মেঘের গর্জন। যা বারবার বজ্রপাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের অনেকেই বলছেন, বজ্রপাতের সম্ভাবনা চলতি বছরে বেশি রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষকে সাবধানে থাকতে বলছেন তারা।

আরও পড়ুন : মোটা টাকার সম্পত্তি রয়েছে তৃণমূলের এই প্রার্থীর! স্ত্রী-র সম্পত্তিও জানলে আঁতকে উঠবেন

বিশেষ করে মেঘের গর্জনের সময় বাইরে না থাকতে বলছেন তারা। তাছাড়াও গাছের নিচে আশ্রয় নিতে বারণ করছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যেভাবে মঙ্গলবার মেঘের গর্জন জেলার মানুষ শুনেছেন, তাতে কিছুটা হলেও চিন্তা বেড়েছে সকলের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে সেই চিন্তার মাঝেই ভারী বৃষ্টিপাত এনে দিয়েছে স্বস্তি।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Elections 2024: দুই কারখানা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ দিলীপের, ডিএসপি উচ্ছেদ প্রসঙ্গে আশার বাণী

পশ্চিম বর্ধমান : আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকদিন সময়। আগামী ১৩ মে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। তার আগে নিজের এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। রবিবাসরীয় সকালে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন দুর্গাপুরের রাতুলিয়া শিল্পতালুক এলাকায়। সেখানে গিয়ে কেমিক্যাল কারখানা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।

এদিন দিলীপ ঘোষ রাতুড়িয়া শিল্পতালুক এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করেছেন। চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন দলের কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে। তারপরেই তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, রাজ্য সরকারের অধীনস্থ এই কেমিক্যাল কারখানার বর্তমান অবস্থা রুগ্ন। অথচ এই কারখানা চালানোর জন্য কত ভাল ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে আবাসন। কিন্তু সেই আবাসনগুলি বর্তমানে ফাঁকা হয়ে রয়েছে। যদিও কারখানার এই রুগ্ন অবস্থা বাম আমল থেকে শুরু হয়েছে বলে খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

শুধু কেমিক্যাল কারখানা নয়, রাজ্য সরকারের অধীনস্থ দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড অর্থাৎ ডিপিএলের বর্তমান অবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে এই দিলীপ ঘোষের গলাতেই শোনা গিয়েছে আশার বাণী। দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ নিজেদের জায়গা ফিরে পাওয়ার জন্য যে উচ্ছেদ অভিযানের নোটিশ দিয়েছে, সেই প্রসঙ্গে বড় মন্তব্য করেছেন দিলীপ। বিজেপি প্রার্থী বলেছেন, এই বিষয়ে তারা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন। আগে ওই সমস্ত এলাকার মানুষজনের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তারপরেই উচ্ছেদ করা যাবে, তেমনটাই আবেদন জানিয়েছেন তারা।

তবে এই চা চক্র থেকে তিনি বিরোধীদের আক্রমণ শানাতেও ছাড়েন নি। একইসঙ্গে দিলীপ আশা প্রকাশ করেছেন, বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা এলাকায় তিনি নিজের পক্ষে জনমত পাবেন যথেষ্ট। উল্লেখ্য, মেদিনীপুরে নিজের ঘরের ময়দান ছেড়ে আসা দিলীপ ঘোষ বর্ধমানে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনও প্রচারে তার হাতে দেখা যাচ্ছে গদা, কখনও আবার তার হাতে দেখা যাচ্ছে হকি স্টিক। কখনও আবার তিনি সটান চলে যাচ্ছেন ধান ঝাড়াই করতে। একই জায়গায় বারবার প্রচারের সূচি রাখায়, দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাকে। সবমিলিয়ে ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রচারে গতি বাড়াচ্ছেন দিলীপ।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News : ‘এইভাবে কি বেঁচে থাকা যায় বলুন? নির্বাচনের আগে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কাতর আর্জি ওঁদের

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : বাড়ির ছোট সদস্য থেকে শুরু করে বয়স্ক, সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কারোর দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট, কারোর আবার ত্বকের সমস্যা। এক বছর আগেও পরিস্থিতি এতটা জটিল ছিল না। তখনই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আর এক বছর পরে সেই পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর। নির্বাচন পর্বের আগে তাদের আবেদন, দ্রুত ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।

দুর্গাপুর ফরিদপুরের লাউদোহা ব্লকের ঝাঁঝরা গ্রাম। সেখানেই বর্তমানে দূষণের জেরে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ঘরে – বাইরে সব জায়গায় কালির পুরু আস্তরণ। খাবার, জল ইত্যাদি কিছুক্ষণের জন্য আঢাকা অবস্থায় রাখলেই, সেখানে কালির আস্তরণ পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জলাশয়গুলির জল কার্যত কাল হয়ে গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে। আবার জল সংকট দেখা দিয়েছে এলাকায়। তীব্র এই দূষণকে সঙ্গী করে বেঁচে থাকা রীতিমত কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে গ্রামবাসীদের কাছে।

আরও পড়ুন : তীব্র গরমে এ কী কাণ্ড যুবকের! পিচের রাস্তায় ডিম ঢেলে অমলেট, শেষমেশ তৈরি হল কি

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, একবছর আগেই এই দূষণ নিয়ে প্রতিবাদ তারা জানিয়েছিলেন। সে সময় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা এসেছিলেন বলে দাবি। তখন দ্রুত বিদেশ থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের মেশিন আনার জন্য আশ্বাস দিয়েছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার বাস্তবায়ন আর হয়নি। পরিবর্তে এক বছরে ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে দূষণ। কারখানা থেকে দূষণের ফলে এলাকার বাসিন্দারা ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন।

আরও পড়ুন : কোটি টাকার ‘মালিক’ দিলীপ ঘোষ! হলফনামা জমা দিতেই চমকে ওঠা তথ্য প্রকাশ্যে

গ্রামবাসীরা বলছেন, তারা কখনও কারখানা বন্ধ করার পক্ষে নন। কারণ এই কারখানা অনেকের কর্মসংস্থান জুগিয়েছে। অনেকে কাজকর্ম করে খেতে পারছেন। কিন্তু কারখানা চলতে গিয়ে যদি গোটা গ্রামের মানুষজন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তারা কোথায় যাবেন? তারা কিভাবে বেঁচে থাকবেন?

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তাই নির্বাচনের আগে তারা প্রতিশ্রুতি চান, যাতে অতিদ্রুত এই দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ করা হয়। কারণ তীব্র এই দূষণ সঙ্গী করে তাদের জীবনযাত্রা আরও কষ্টকর হয়ে উঠছে।

নয়ন ঘোষ

West Burdwan News : ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ড শহরে! ভরদুপুরের আগুনে পুড়ে ছাই একাধিক বাড়ি, দোকান

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : গত রবিবারের ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটেনি এখনও। তার মধ্যেই আবার নতুন করে ভয়াবহ আগুন আসানসোলে। এবার অগ্নিকাণ্ডের কবলে আসানসোলের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ড। ভর দুপুরে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল প্রায় ২৫ টি বাড়ি ও দোকান। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে। কিন্তু তার আগেই ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

ঠিক কি হয়েছিল? এই বিষয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি এখনও। তবে হঠাৎ করেই আগুন লাগার ঘটনা বুঝতে পারেন স্থানীয়রা। সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, আসানসোলের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের আপার রোডে এই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। যার ফলে প্রায় ২৫ টি ঝুপড়ি বাড়ি এবং দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এই আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, রান্না করার সময় কোনওভাবে অসাবধানতার জেরে এই আগুন লাগে। আর যেহেতু সেখানে বাড়িগুলি গায়ে গায়ে অবস্থিত, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, তাই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে খুব সহজে।

আরও পড়ুন : অন্ডাল-চেন্নাই বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে, সঙ্গে রয়েছে আরও সুখবর!

প্রসঙ্গত, গত রবিবার আসানসোলের ৯০ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ রানীগঞ্জের চিনাকুড়ি সার্কাস ময়দানের অস্থায়ী মার্কেটে আগুন লাগে। যার ফলে প্রায় ৪৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বহু ব্যবসায়ী সর্বস্বান্ত হয়েছেন। আর তার মধ্যেই আবার বড়সড় অগ্নিকাণ্ড শহরে। যার ফলে রীতিমতআতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন শহরের মানুষজন।

বারবার এমন বড় অগ্নিকাণ্ড কেন হচ্ছে, তা ভেবেই অস্থির হচ্ছেন সকলে। অন্যদিকে এদিনের আগুনেও বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হননি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কিন্তু বাড়ি, দোকান ইত্যাদি পুড়ে যাওয়ায় বহু ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তারা রয়েছেন আতঙ্কে।

নয়ন ঘোষ

Andal-Chennai Flight: অন্ডাল-চেন্নাই বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে, সঙ্গে রয়েছে আরও সুখবর!

নয়ন ঘোষ, দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান: অন্ডাল বিমানবন্দরে নিয়মিত উড়ান শুরু হয়েছে বিগত বেশ কয়েক বছর আগে। দিল্লি, মুম্বই-সহ বেশ কয়েকটি রুটে নিয়মিত যাতায়াত করছে বিমানগুলি। তবে এই সমস্ত উড়ানগুলি চালু হওয়ার পর থেকে অন্ডাল-চেন্নাই রুটের বিমান পরিষেবা সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল। কার্যত এই রুটের বিমান পরিষেবা এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রূপে ব্যবহার হচ্ছিল। জেলা-সহ রাজ্যের বহু মানুষ চিকিৎসার প্রয়োজনে যাচ্ছিলেন দক্ষিণের এই রাজ্যে। কিন্তু উড়ান সংস্থার বেশ কিছু সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অন্ডাল-চেন্নাই রুটের বিমান পরিষেবা। যার ফলে বহু যাত্রী বিপাকে পড়ছিলেন। যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল, এই রুটে বিমান পরিষেবার চাহিদা রয়েছে। বেশিরভাগ সময়েই সমস্ত আসন ভর্তি করে বিমানগুলি উড়ান সম্পন্ন হয়েছে। তবে উড়ান সংস্থার সমস্যার কারণে এই পরিষেবা বন্ধ ছিল।

আরও পড়ুন– আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি জানানো হয়েছে এক অনন্য আবেদনও! ভোটের মরশুমে পুলিশকর্মীর বোনের বিয়ের কার্ড নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়োচ্ছে

অন্যদিকে দ্রুত অন্ডাল-চেন্নাই রুটের বিমান পরিষেবা চালু দাবি উঠছিল যাত্রীদের পক্ষ থেকে আর সেখানেই এবার পাওয়া গেল সুখবর। শুরু হচ্ছে অন্ডাল-চেন্নাই রুটের বিমান পরিষেবা। অন্ডাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, আগামী মাসেই ফের অন্ডাল-চেন্নাই রুটের বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে যার ফলে চিকিৎসা করাতে যাওয়া বহু রোগী-সহ অনেক মানুষের উপকার হবে আগামী ১৬ মে থেকে ফের অন্ডাল চেন্নাই রুটে বিমান পরিষেবা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে অন্ডাল-চেন্নাই রুটে আবার বিমান চালানো হবে। অন্ডাল থেকে চেন্নাই যাওয়ার জন্য নন স্টপ সরাসরি পরিষেবা দেবে ইন্ডিগো এই বিমান। জানা গিয়েছে, ইন্ডিগোর এই বিমানটি চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে সকালে রওনা দেবে অন্ডালের উদ্দেশ্যে। সকাল ৫:৪৫ মিনিটে চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে উড়ান শুরু করবে বিমানটি। অন্ডাল বিমানবন্দরে পৌঁছবে ৮ টা বেজে ২৫ মিনিট নাগাদ। আবার সকাল ৮:৫৫ মিনিট নাগাদ বিমানটি উড়ে যাবে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে। চেন্নাই পৌঁছবে বেলা ১১:২৫ মিনিটে।

আরও পড়ুন– বিয়ের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিলেন কনে; এরপর যা কাণ্ড ঘটালেন… বেঁকে বসলেন বরও!

নতুন করে এই বিমান পরিষেবা শুরু হওয়াতে খুশি শহরের মানুষ। একইসঙ্গে যাদের চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন কারণে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়, তারাও বলছেন আগের মত আবার সুবিধা পাওয়া যাবে এবং ভোগান্তিও কমবে। চেন্নাইয়ের আরও বেশ কয়েকটি রুটে নিয়মিত বিমান চালানোর পরিকল্পনা করছে অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তার জন্য অ্যাডভান্স পর্যায়ে চলছে পর্যালোচনা। ইতিমধ্যেই নতুন রুটগুলি নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। মোট তিনটি নতুন রুটে বিমান পরিষেবা চালু করতে চায় অন্ডাল বিমানবন্দর। ইতিমধ্যেই এই সম্পর্কে একটি সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর যে সমস্ত প্রস্তাবিত রুটগুলি রয়েছে, তাতে বহু মানুষের সুবিধা হবে। বিমানবন্দরের সূত্রে খবর, নতুন তিনটি রুট প্রস্তাব করা হয়েছে, এই বিষয়ে বিভিন্ন উড়ান সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে।

যে তিনটি রুট প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল অন্ডাল-গুয়াহাটি। আরেকটি হল অন্ডাল-ভুবনেশ্বর। তা ছাড়া অন্ডাল এবং বাগডোগরার মধ্যেও নতুন বিমান পরিষেবা চালু করতে চায় কাজী নজরুল বিমানবন্দর। আর এই বিষয়ে চলছে নানান পর্যালোচনা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের আশা, খুব শীঘ্রই এই নতুন রূটগুলিতে বিমান পরিষেবা চালু করা যাবে। ফলে সুবিধাই হবে যাত্রীদের ৷

West Bardhaman News : কেউ বলছেন যতদিন পরিশ্রম, ততদিন খাওয়া! কারোর দাবি অন্য, ভোটের মুখে হিসাব কষছে শিল্পতালুক

পানাগড়, পশ্চিম বর্ধমান : আসছে নির্বাচন। পাঁচ বছরে কি পেলেন, আগামী পাঁচ বছর কি পাওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে – এই হিসাব করছেন বহু মানুষ। সেই তালিকাতেই রয়েছে পানাগড় শিল্প তালুক। যেখানে নির্বাচনের আগে শুরু হয়েছে চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকাশ। কি পেলেন তারা, কি তাদের প্রয়োজন, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শ্রমিকরা যেমন চর্চা করছেন, তেমনভাবেই চর্চা চলছে স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ীদের মধ্যেও।

পানাগড় শিল্পতালুক। যা ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে। আসছে নানান কারখানা। তৈরি হচ্ছে বহু কর্মসংস্থান। শুধু স্থানীয় মানুষ বা জেলার মানুষ নন, ভিন জেলা থেকেও বহু শ্রমিক, কর্মচারীরা এখানে এসেছেন কাজের সন্ধানে। কাজও চলছে। কিন্তু কিছু চাওয়া, কিছু না পাওয়া রয়েছে তাদের মধ্যে। শ্রমিক মহলের মূলত বেশ কিছু দাবি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম কাজের স্থায়িত্ব, বেতন বৃদ্ধি ইত্যাদি।

আরও পড়ুন : ‘সমস্যা হলে আমাদের জানান!’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রুটমার্চ জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের

কিছু শ্রমিক বলছেন, যতদিন তারা পরিশ্রম করে যেতে পারবেন, ততদিনই তারা উপার্জন করতে পারবেন। তাই ভোট নিয়ে তাদের খুব বিশেষ মাথাব্যথা নেই। তবে তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। আবার কেউ বলছেন, যদি কর্মসংকটের যুগে কাজের স্থায়িত্ব হয়, তাহলে তা যথেষ্ট। আবার কারোর দাবি যা পরিশ্রম হচ্ছে, সে তুলনায় বেতন পাওয়া যাচ্ছে না। মূল্যবৃদ্ধির এই যুগে বেতন বৃদ্ধির দাবি তুলছেন অনেকে।

পানাগড় শিল্পতালুককে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু মানুষ ব্যবসা শুরু করেছেন। চা, টিফিনের দোকান হয়েছে এলাকায়। যা এখানে কাজ করতে আসা মানুষদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাতে ছোট ব্যবসায়ীদের যেমন দু’পয়সা লাভ হয়, সুবিধা হয় এখানের শ্রমিক, কর্মচারী সকলের। সেই সমস্ত ছোট ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের ব্যবসা চলছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কিন্তু এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য জল এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। তাই তারা চাইছেন, যদি তাদের জন্য জল এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে তা সকলের জন্যই মঙ্গলকর হবে। আর এভাবেই শিল্পতালুকের মোড়ে মোড়ে নির্বাচনের আগে চলছে হিসাব-নিকাশ। চলছে চর্চা।

নয়ন ঘোষ