পশ্চিম মেদিনীপুর : ‘ওদের’ মধ্যে কেউ কথা বলতে পারে না, কেউ ঠিকমতচলতে পারে না। ওরা শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষম। তবে মনের জোর আর পাঁচ জনের মত একই। ওরাও আমাদের সমাজের মূল স্রোতের এক অংশ। শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষম হলেও ওরা পারে। প্রতিবছরের মতপশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি বেসরকারি হোম এর মেয়েরা এবারেও তৈরি করেছে রাখি। সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব উপাদান দিয়ে প্রায় ১৩০০ এরবেশি রাখি তৈরি করেছে তারা। রাখি বন্ধন অনুষ্ঠানের দিন সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে গিয়ে আধিকারিকদের হাতে বেঁধে দেবে তারা। তাদের এই কর্মক্ষমতা ও উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি বেসরকারি হোম দাঁতন মানবকল্যাণ কেন্দ্রের আবাসিক বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েরা বিভিন্ন হস্তশিল্পের পাশাপাশি রাখি বন্ধন উৎসব এর আগে সহস্রাধিক রাখি তৈরি করেছে। বাঁশ, পাট, ধান, কাগজ, বাদামের খোলা, মটর সহ একাধিক পরিবেশ বান্ধব উপাদান দিয়ে তারা তৈরি করেছে রাখি। পরিবেশ বাঁচাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার ছেড়ে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব উপাদান দিয়ে রাখি প্রস্তুত করেছে তারা। প্রতি বছরের থেকে এ বছর সেই রাখি প্রস্তুত এর সংখ্যা বেড়েছে।
আরও পড়ুন : স্বনির্ভর হওয়ার উদ্যোগ, দুই কন্যাশ্রীর ভাবনাচিন্তা অবাক করবে
বর্তমান দিনেও শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষম ছেলে মেয়েরা সমাজের কোনও অংশ থেকে পিছিয়ে নেই। স্বাভাবিক বেশকিছু কাজকর্ম তারা না পারলেও তারা অনেক কিছুই পারে। তারা পারে আর পাঁচ জনের মত সমাজে এগিয়ে চলতে। তাদের সৃজনশীল এবং দৃষ্টিনন্দন ভাবনা চিন্তা তাদেরকে এগিয়ে দিচ্ছে। তাদের সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তুলেছে রাখিতে। সাহায্য করেছেন হোমের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন : পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক, তাও দেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন আন্দোলনে, কে জানেন?
প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য, যারা শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষম তাদের সমাজে অবহেলার চোখে দেখা হয়। তারাও এই সমাজের মূল স্রোতের এক অংশ। তারাও পারে। সেই ধারণাকে সামনে রেখে তাদেরকে আরও এগিয়ে দিতে এই উদ্যোগ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আবাসিক ছাত্রীদের সৃজনশীল ভাবনা-চিন্তা এবং এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ