মুর্শিদাবাদ: ঢেলে সাজানো হচ্ছে মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত হাজারদুয়ারি প্রাসাদ লাগোয়া তিনটি তোড়ণ। বাংলা, বিহার, ওড়িশার রাজধানী ছিল একটা সময়ে মুর্শিদাবাদ। ফলে তিনটি তোড়ণ ছিল এই লালবাগ শহরে।
এখন নবাব নেই নবাবী নেই। ফলে তোড়ণ ভেঙ্গে পড়েছিল অনেকে বছর ধরেই। অনেক পর্যটকরা এলেও জানেন না এই তোড়ণের কথা। তবে এবছর দুর্গাপুজোর পর্যটকদের আকর্ষণ গড়ে তুলতে আবার নতুন করে তিন প্রবেশদ্বার রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদ পৌরসভার উদ্যোগে।
ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে এসেই শুধু হাজারদুয়ারি নয়, এবার থেকে তিনটি তোড়ণ তারাও দর্শন করতে পারবেন। মুর্শিদাবাদে দর্শনীয় স্থানগুলির তালিকায় মধ্যে পর্যটকেরা সবার আগে রাখেন হাজারদুয়ারি প্রাসাদকে। মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষের শেষ নবাবী রাজধানী মুর্শিদাবাদ, অধিক পরিচিত হাজারদুয়ারি ও নিজামাত ইমামবাড়ার জন্য।
আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলা গাছের ‘মজ্জা’ এই মারণরোগ থেকে রেহাই দেবেই! চমকে যাবেন জানলে
কিন্তু এছাড়া বহু স্থাপত্যকীর্তি শহরের আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে। একদা এক উন্নত, সমৃদ্ধ শহর ছিল মুর্শিদাবাদ। স্বয়ং লর্ড ক্লাইভ একে লন্ডনের থেকেও বেশি আড়ম্বরপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু বর্তমানে এটি একটি ছোট শান্তিপূর্ণ শহর। শহরের আনাচকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাসের বহুমূল্য সম্পদ। কিন্তু বর্তমানে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার তিনটি তোড়ণ ছিল। সেই তোড়ণগুলো ধ্বংস হয়ে পড়েছিল।
ফলে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে মুর্শিদাবাদ পৌরসভা। মুর্শিদাবাদ পৌরসভার উদ্যোগে এই সংস্করণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। এর আগে ঘণ্টাঘর সংস্করণ করে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ঘণ্টা বাজানো হয়। ফলে আবারও নতুন করে ইতিহাস জেগে উঠছে মুর্শিদাবাদ শহরে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুর্শিদাবাদ পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ধর।
কৌশিক অধিকারী