থানার বড়বাবুর চেয়ারে বসে বাঁদর, পাশে দাঁড়িয়ে তাকে স্যালুট করছেন SHO !

থানার বড়বাবুর চেয়ারে বসে বাঁদর, পাশে দাঁড়িয়ে তাকে স্যালুট করছেন SHO ! অযোধ্যার ছবি ভাইরাল

Report: SARVESH SRIVASTAVA

অযোধ্যা: থানায় ব্যস্ততা তুঙ্গে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ফাইল। এক মনে কাজ করছেন পুলিশ অফিসাররা। এমন সময় সেখানে হাজির এক বাঁদর। একেবারে সোজা গিয়ে অফিসারের চেয়ারে। যেন থানার সব কাজ এবার সেই করবে। আর বাঁদর দেখেই লম্বা স্যালুট ঠুকলেন এসএইচও দেবেন্দ্র কুমার। সেই ছবিই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ঘটনাটি অযোধ্যার রাম জন্মভূমি থানার। ১৫ অগাস্টের সকাল। সারা দেশেই ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। দেশাত্মবোধক গান বাজছে। পাড়ায় পাড়ায় উড়ছে তিরঙ্গা। অযোধ্যার ছবিটাও আলাদা নয়। রাম জন্মভূমি থানাতেও পতাকা উত্তোলন হয়েছে। তবে থানার ভিতরের ছবিটা একটু অন্যরকম। সেখানে পুলিশ অফিসারের কুর্সিতে বসে রয়েছে এক হনুমান। আর তাকে স্যালুট করছেন থানার বড়বাবু।

আরও পড়ুন– ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁয়! চেখে দেখলেন খাবারও! নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন নাইজেরিয়ান যুবক

মাতা সীতাকে উদ্ধারে বানরদের নিয়ে সেনাবাহিনী তৈরি করেছিলেন শ্রীরাম। অযোধ্যায় তাই বানর বা হনুমানদের আলাদা খাতির। রীতিমতো সম্ভ্রমের চোখে দেখা হয়। তাই বলে পুলিশের কুর্সিতে বসিয়ে বাঁদরকে স্যালুট! এমন দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠে গিয়েছে অনেকেরই।

থানার বড়বাবুর চেয়ারে বসে বাঁদর, পাশে দাঁড়িয়ে তাকে স্যালুট করছেন SHO !
থানার বড়বাবুর চেয়ারে বসে বাঁদর, পাশে দাঁড়িয়ে তাকে স্যালুট করছেন SHO !

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চেয়ার টেবিল পাতা। টেবিলে পাতলা কাচের আস্তরণ। তার নিচে দরকারি কাগজপত্র। উল্টোদিকে কালো চেয়ার। তাতে তোয়ালে পাতা। সেই চেয়ারেই বসে রয়েছে বাঁদর। পাশে দাঁড়িয়ে তাকে স্যালুট করছেন এসএইচও দেবেন্দ্র কুমার। তাঁর পরনে পুলিশের উর্দি। মাথায় টুপি। মুখ সামান্য নিচে। যেন সম্মানে কোনও কমতি না হয়। এমন অভিভাদনে বাঁদরটাও কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছে মনে হয়। হাঁ করে একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে অফিসারের দিকে।

আরও পড়ুন– পড়শি দেশ থেকে উড়ে এল বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির শকুন, পায়ে বাঁধা আংটির বার্তা দেখে মাথায় হাত তদন্তকারীদের ! জোরালো হচ্ছে সন্দেহ

পরে সাংবাদিকদের এসএইচও দেবেন্দ্র কুমার জানান, পতাকা উত্তোলনের পর নিজের ঘরে এসে দেখেন তাঁর চেয়ারে একটা বাঁদর বসে আছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, বানর পবনপুত্র হনুমানের রূপ। অযোধ্যায় তাদের আলাদা খাতির। রীতিমতো পুজো করা হয়। দেবেন্দ্র পাণ্ডে হনুমানের ভক্ত। তাই তিনি প্রথমে বাঁদরটিকে ভক্তিভরে প্রণাম করেন। তারপর পুলিশি কায়দায় স্যালুট দেন। দেবেন্দ্রর বিশ্বাস, স্বাধীনতা দিবসে পবনপুত্র হনুমান বাঁদরের রূপ ধরে আশীর্বাদ করেছেন তাঁকে। এ সবই ঈশ্বরের মায়া।