হুগলি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ ঠেকাতে রাখি বন্ধন উৎসব চালু করেছিলেন। এই উৎসবের মাধ্যমে মানুষে মানুষে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা যেমন আছে তেমনই আছে নারীদের প্রতি সম্মান। কিন্তু সম্প্রতি আরজি কর মেডিকেল কলেজের নারকীয় ঘটনা নারী নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা সমাজকে। কর্মক্ষেত্রে নারীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় এই ঘটনা। নারী অধীকার নিয়ে আন্দোলন, আলোচনা চলে ঠিকই, তবুও এই সমাজে নারীদের দমন করতে চাওয়ার মত কিছু ঘৃণ্য মানুষ আজও থেকে গিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবার রাখি বন্ধনে সামিল হলেন দৃষ্টিহীনরা। চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে সংহতির রাখি বাঁধলেন পথ চলতি মানুষের হাতে।
আরও পড়ুন: ফুলের সিংহাসনে রাধা-কৃষ্ণ, ঝুলনে শান্তিপুরে উপচে পড়ল ভিড়
ঘড়ির মোড়ে বসে চাবি তৈরি করেন রবি পাল। দৃষ্টিহীন মানুষদের নিয়ে কাজ করেন। গত কয়েক বছর ধরে রাখি বন্ধন উৎসব করেন তাঁদের নিয়ে। তবে এবারের রাখি একটু আলাদা। রবি বলেন, আমার মা-বোনেরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই কথাই বলছি। আরজি করে যে বোনের অকাল মৃত্যু হয়েছে সে আর ফিরবে না। তবে আাগামীতে রাজ্য তথা দেশে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এমন পদক্ষেপ। পাশাপাশি দৃষ্টিহীনদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি।
এমন মানুষদের নিয়ে কাজে রবিকে সাহায্য করেন পুলিশকর্মী সুকুমার উপাধ্যায়। তিনি বলেন, দৃষ্টিহীনদের সমস্যা অনেক। তারা অনেক সময় বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন না। আজ রাখি বন্ধনের দিনে তাঁদের নিয়ে কিছুটা সময় কাটালাম। একে অপরকে রাখি বেঁধে দিয়ে ভাই-বোনের সম্পর্ক আরও অটুট করতে চাইলাম।
রাহী হালদার