বীরভূম: সামনেই ভাদ্র মাসের কৌশিকী আমাবস্যা। এবার তারাপীঠের এই উৎসব উপলক্ষ্যে কৌশিকী অমাবস্যার সময় ‘জিরো লোডশেডিং’ -র লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া যায়, তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতিতে নেমেছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম।
বিদ্যুৎবাহী তারের সঙ্গে লেগে থাকা গাছের ডালপালা কাটা থেকে বেশ কয়েকটি ট্রান্সফর্মার ও কেবল পরিবর্তন করার কাজ চলছে। তার জন্য নির্দিষ্ট দিনগুলিতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত পাওয়ার শাট ডাউন করে এই কাজ চলবে বলে দফতর এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ২৮ জুলাই টিআরডি-র অফিসে কৌশিকী অমাবস্যার প্রস্তুতি বৈঠক হয়।সেখানেই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে উপস্থিত বিদ্যুৎ দফতরেরকর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন মহকুমার প্রশাসনিক কর্তারা। সেই মত ময়দানে নেমেছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র তারাপীঠের বিদ্যুতের চাহিদা এখন আকাশছোঁওয়া। প্রায় পাঁচশোর বেশি লজ, হোটেল রয়েছে। এছাড়া রয়েছে স্ট্রিট লাইট থেকে, ঘরের আলো, তোরণ। তাই চাহিদামতো বিদ্যুৎ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় দফতরকে।
তারাপীঠ এলাকায় রামপুরহাট থানার মনসুবা মোড় সংলগ্ন ১৩২/৩৩ কেভিএ সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুতের জোগান দেওয়া হয়। ওই সাবস্টেশন থেকে তারাপীঠ ছাড়াও আটলা, বুধিগ্রাম, বীরচন্দ্রপুর, দুনিগ্রাম, চাঁদপাড়া এই সমস্ত এলাকাগুলির জন্য আলাদা আলাদা ফিডারে বিদ্যুতের জোগান দেওয়া হয়।যার মধ্যে শুধু তারাপীঠ এলাকায় বাণিজ্যিক ও ঘরোয়া সংযোগ মিলে প্রায় ৩২০০ গ্রাহককে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হয়।ফলে এই সাবস্টেশনের উপর যথেষ্ট চাপ রয়েছে।যদিও অন্যান্য এলাকার তুলনায় তারাপীঠে দু’টি ফিডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। লোডশেডিং হতই না বললেই চলে।
কিন্তু গ্রীষ্মের সময় এই পর্যটন কেন্দ্রে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটছে।ফলে দফতরকে অন্ধকারে রেখে নিজেদের ইচ্ছেমতলোড বাড়িয়ে নিয়ে থাকেন বেশকিছু বিদ্যুৎ লজ ও হোটেল মালিকরা। এই কারণে প্রায়ই ট্রান্সফর্মার ও তার পুড়ে যাচ্ছে।ভোগান্তির মুখে পড়ছেন পর্যটকরা।তাই কৌশিকী অমাবস্যার সময় যাতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় না ঘটে, তারজন্য আগে থেকেই তৎপর হয়েছে দফতর।
Souvik Roy