ইউক্রেনে মোদি

Narendra Modi: ‘কোনও পক্ষ নেবে না ভারত!’ ঐতিহাসিক ইউক্রেন সফরে বড় বার্তা মোদির

কিয়েভ: “ভারত শান্তি স্থাপনে সেতু হিসাবে কাজ করবে। কোনও পক্ষ নেবে না।’’ ইউক্রেন সফরের ঠিক আগে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার কিয়েভ পৌঁছনোর কথা রয়েছে তাঁর। বিশেষ বিষয় হল, রাশিয়া সফরের ছয় সপ্তাহ পর ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন মোদি। যুদ্ধের মধ্যে দুই দেশেই সফর করেছেন এমন গুটিকয়েক আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অন্যতম।

ভলোদিমির জেলেনেস্কির সঙ্গে ‘ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে মোদি জানিয়েছেন। তারপর থেকেই এই সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, “এই যুগ যুদ্ধের নয়।’’ বুধবার পোল্যান্ডেও সেই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন তিনি। ২০২২ সালে ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশ্যে প্রথম এই কথা বলেছিলেন মোদি। তারপর ২০২৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপস্থিতিতেও একই কথা বলেছিলেন।

মোদির রাশিয়া সফরের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন জেলেনেস্কি। পুতিনকে আলিঙ্গন করার ছবি সামনে আসার পর জেলেনেস্কি বলেছিলেন, “মস্কোতে বিশ্বের সবচেয়ে বর্বর অপরাধীকে আলিঙ্গন’’। এখন তিনিই কিয়েভে মোদিকে স্বাগত জানাবেন। তবে তাঁকেও মোদি একই বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেটা হল, “যুদ্ধ করে কোনও সমাধান মিলবে না।’’ প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মোদির। তার আগে যুদ্ধরত রাশিয়া এবং ইউক্রেনে সফর কূটনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।

আরও পড়ুন: প্রাইমারি টেট নিয়ে এবার বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের! ফের প্রবল অস্বস্তিতে রাজ্য

মোদির ইউক্রেন সফর রাজনৈতিক দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। তিন দশক পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন। তবে গত তিন বছরে জেলেনেস্কির সঙ্গে তিনবার মুখোমুখি হয়েছেন মোদি। চলতি বছরের জুন মাসে আলিপুয়াতে জি৭ সম্মেলনে, গত বছর হিরোশিমাতে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে এবং ২০২১ সালে গ্লাসগোতে। পাশাপাশি ২০২০ সালের পর থেকে একাধিকবার ফোনেও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। মার্চের শুরুতে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা ভারতে এসেছিলেন। স্পষ্টতই, উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে।

প্রথম ইউক্রেন সফরে মোদি শান্তির বার্তাই দেবেন বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর থেকে কূটনীতি ও আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর কথা বলে এসেছেন মোদিও। এই সফরে তাই মনে করা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সব ধরণের সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেবেন মোদি।