হস্তচালিত তাঁত 

Birbhum News: দুর্গাপুজোর আগেই মাথায় হাত তাঁতিদের,বাংলাদেশের বাজার বন্ধ তাই মিলছে না বরাত

বীরভূম: আর কিছুদিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গাপুজো।আপামর বাঙালি সারা একটা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই দুর্গা পুজোর জন্য। কৈলাস থেকে মা উমা ফিরে আসেন নিজের বাড়ি। আর আসার সময় হাজার মানুষের মধ্যে আনন্দ ফিরিয়ে আনেন। আর এই দুর্গাপুজোর অপেক্ষা করে থাকেন তাঁত ব্যবসায়ীরা।কারণ পুজোর আগে তাঁত বোনার বরাত মিলে তাদের।পুজোর প্রায় তিন মাস আগে থেকেই কার্যত নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিন রাত এক করে দেন তাঁত শিল্পীরা।তবে এই বছর কার্যত মাথায় চিন্তার ভাঁজ তাঁত ব্যবসায়ীদের।

প্রসঙ্গত বীরভূম জেলার মধ্যে অবস্থিত বসোয়া গ্রাম তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত।এখানের প্রায় কয়েকশো পরিবার তাঁত বুনে নিজেদের সংসার চালান।সকাল থেকে এই গ্রামে ঘুরলেই শোনা যায় মাকুর সেই ঠকঠক শব্দ। তবে এই বছর যেন কোথাও গিয়ে সেই ঠকঠক শব্দ আর তেমনভাবে শোনা যাচ্ছে না।তবে কেন তার পিছনে কী কারণ! মূলত এই বছর সেই ভাবে আর বরাত মিলছে না তাঁত ব্যবসায়ীদের।বীরভূমের তৈরি এই তাঁত পৌঁছে যায় বাংলাদেশে।কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি রয়েছে সেই কারণে এই বছর সেখান থেকেও কোন অর্ডার আসছে না। আর তাই মহাজনরাও অর্ডার দিতে পারছেন না তাঁত শিল্পীদের।এমনটাই দাবি করছেন তাঁত শিল্পীরা।

আরও পড়ুন : এলাকা জুড়ে জ্যান্ত দেবদেবীর মেলা! ভিডিওতে দেখুন

একটি কাপড় বুনতে সময় লাগে প্রায় দুদিন।আর সেই দুদিন কাজ করার পর পারিশ্রমিক মিলে মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।একটি কাপড় বুনতে প্রায় দুই থেকে তিনজনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই অল্প পারিশ্রমিকের ফলে অনেকেই এই তাঁত শিল্প থেকে বেরিয়ে চলে আসছেন।আবার অনেক জায়গায় মেশিনের মাধ্যমে তাঁত বোনা হচ্ছে।ফলে সময় যেমন কম লাগছে তেমন খরচ পড়ছে অনেকটাই কম আর সেই কারণেই হস্ত চালিত তাঁতের বাজার ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন : তারাপীঠের দ্বারকা নদীর হাল ফেরানোর দাবি বিধানসভায়

তাঁত শিল্পীরা জানাচ্ছেন অর্ডার পেলেও সেই অর্থে পারিশ্রমিক মিলছে না। কয়েক হাজার তাঁত শিল্পের সঙ্গেযুক্ত মানুষ বসবাস করেন এখানে। বংশপরম্পরায় তাঁত শিল্পকে পেশা করেই তাদের রুজি রুটির যোগান হয়। তাই সকাল হলেই মারগ্রাম নিচু বাজার পাড়া,খেদাপাড়া,বটতলা পাড়ার পাশাপাশি বসোয়া,বাজারপাড়া,ডাঙ্গাপাড়া ষষ্ঠীতলা প্রায় সমগ্র এলাকা জুড়েই সারি সারি বাড়ি থেকে শোনা যেত মাকুর সেই ঠকঠক শব্দ রেশমের গন্ধ।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

বাড়ির পুরুষদের কাজে হাত লাগিয়ে সাহায্য করতেন বাড়ির মহিলারা। তবে সেই মতপারিশ্রমিক না মেলায় অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন।

সৌভিক রায়