দক্ষিণবঙ্গ: আদিবাসী তরুণী খুনে ধৃতকে নিয়ে তল্লাশি শুরু করল পুলিশ। শনিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরের ঝাপানতলায় মৃত আদিবাসী তরুণী খুনের ধৃত অজয় টুডুকে পুলিশ নিয়ে যায় গাংপুর স্টেশনের কাছে। সেখানে ঝোপ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে খুনে ব্যবহৃত ছুরি ও একটি গেঞ্জি। অভিযুক্তের দেখানো জায়গায় তল্লাশি চালিয়েই সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এই অস্ত্র ও পোশাক তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নান্দুরে আদিবাসী তরুণীর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত অজয় টুডু গ্রেফতার হয় শুক্রবার। গত ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের সন্ধ্যায় গলা কেটে খুন করা হয় তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদাকে। শনিবার ধৃত অজয় টুডুকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে পৌঁছে দেবে পরীক্ষার হ’লে…নবান্ন অভিযানের দিন নেট পরীক্ষার্থীদের অভয় দিল পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে,প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের অবনতির কারণেই এই খুন। দু’জনেই ব্যাঙ্গালোরে কাজ করতেন। ফেসবুকে আলাপ হয় তাদের। সেখান থেকেই প্রেম। ১২ অগাস্ট একই সাথেই তারা বর্ধমানে আসে। একই ট্রেনে একই কামরায় ছিল তারা। বাড়ি ফেরার পরে ঘটনার দিন ধৃত অজয়ের সঙ্গে একান্তেই দেখা করতে গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা। কোনও কারণে মত পার্থক্য হওয়াতেই তাকে ধারাল অস্ত্র নিয়ে খুন করা হয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী দলের সঙ্গে থাকা জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।
এই ঘটনায় একুশ জনের সিট গঠন করেছিল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানা যাবে। গত ১৪ অগাস্ট সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ধান জমিতে গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয় তরুণীর। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর অজয়ের উপরেই সন্দেহ হয় পুলিশের।
তারপর থেকেই খোঁজ চলছিল অজয়ের। পুলিশ তার পিছু নিয়েছে বুঝে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাড়ি থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেয় সে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের একটি দল দুই মেদিনীপুরের ঘাঁটি গাড়ে। দু’বার পুলিশ হাতের নাগালে পেয়েও ধরতে পারেনি তাকে। অবশেষে ঘটনার দশ দিনের মাথায় পাশকুঁড়া থেকে তাকে ধরতে সমর্থ হয় পুলিশ।