পর্যটকদের জন্য জেলায় প্রথম শুরু হল বোটিং

Travel: পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা সবুজের সমারোহে এবার যোগ হল বোটিংয়ের মজাও! কলকাতার কাছেই এই জায়গা ঘোরার সেরা ঠিকানা

ঝাড়গ্রাম: পর্যটকদের জন্য খুশির খবর। অরণ্য সুন্দরী সবুজ ঘেরা পাহাড় জঙ্গলে বেড়ানোর পাশাপাশি এবার তাদের জন্য বাড়তি পাওনা নিয়ে হাজির হয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কলকাতা থেকে খুব কাছেই রয়েছে পর্যটকদের নতুন এই ডেস্টিনেশন।

যেখানে আপনি পাবেন মনোরম পরিবেশে সময় কাটানোর সুযোগ। রয়েছে স্নিগ্ধতা. রয়েছে শান্তি, রয়েছে নীরবতা। শহরের কোলাহল থেকে পরিবেশটা একেবারেই আলাদা।

আরও পড়ুন: কলে ভাল করে শুনতে পান না, স্মার্টফোনের স্পিকার ঠিকমতো কাজ করে না? সহজ টিপস্ মেনে সারিয়ে ফেলুন

পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন মানচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল ঝাড়গ্রাম। অরণ্য সুন্দরী এই ঝাড়গ্রামে কেবলমাত্র পর্যটকের মরশুমে পর্যটক বেড়াতে আসে তা কিন্তু নয়। সারা বছরই পর্যটকের ঢল নামছে ঝাড়গ্রামে। সবুজ শাল জঙ্গলে, পাহাড়ে বেড়ানোর পাশাপাশি এবার পর্যটকদের মন জয় করতে চালু হয়েছে বোটিং।

ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোবাধবিন এলাকার ধোবাধবিন সরোবরে তৈরি হয়েছে “পঞ্চবটি মাহাতো সরোবর”। যেখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে বোটিং-এর ব্যবস্থা। ঝাড়গ্রাম জেলার কোথাও বোটিং-এর ব্যবস্থা নেই ।

এক সময় জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক ও চিল্কিগড়ের কর্নকদুর্গা মন্দিরে বোটিং-এর ব্যবস্থা ছিল । কিন্তু আজ তা অকেজো হয়ে রয়েছে। তাই পর্যটকদের নতুন ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে এই পঞ্চবটি মাহাতো সরোবর।কলকাতা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে পৌঁছতে হবে ঝাড়গ্রাম । তারপর ঝাড়গ্রাম থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার গেলেই চিল্কিগড় যাওয়ার রাস্তায় পড়বে এই পঞ্চবটি মাহাতো সরোবর।

আরও পড়ুন: পিঁপড়ের উত্‍পাতে নাজেহাল? রান্নাঘর খাবার রাখাই দুষ্কর, ৪ সহজ টিপস্ জেনে নিন, আপনার বাড়িতে পিঁপড়ের ‘নো এন্ট্রি’ গ‍্যারান্টি

তাছাড়া কেউ যদি ট্রেনে আসতে চান তাহলে হাওড়া স্টেশন থেকে সোজা চলে আসতে হবে ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশন। ট্রেন থেকে নেমে পাঁচ মাথার মোড় থেকে জামবনি রুটের বাস ধরে নেমে যেতে হবে কাশিয়ার বাইপাসে  অথবা রেল স্টেশন থেকে টোটো করেও সোজা চলে আসতে পারেন বোটিংয়ের এই নতুন ডেস্টিনেশনে।

পঞ্চবটি মাহাতো সরোবরের কর্তৃপক্ষ প্রকাশ মাহাতো বলেন, “পর্যটকদের জন‍্য এখন সেরা ঠিকানা হয়ে উঠেছে সবুজ শাল জঙ্গলে ঘেরা ঝাড়গ্রাম। কিন্তু ঝাড়গ্রামে কোথাও বোটিং-এর ব্যবস্থা নেই। তাই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আমরা এই সরোবরটিকে সাজিয়ে তুলেছি এবং বোটিংয়ের ব্যবস্থা চালু করেছি। প্রতিদিন দূর দূরান্তের বহু পর্যটক বেড়াতে আসছেন”।

বুদ্ধদেব বেরা