বাঙালি শিক্ষক, ওড়িয়া লেখক

West Medinipur News: শিক্ষকতার পাশাপাশি এই শিক্ষক করেছেন অসাধ্য সাধন, কী করেছেন তিনি জানুন

পশ্চিম মেদিনীপুর : বাড়ি এবং বড় হয়ে ওঠা মেদিনীপুর জেলার আমলাশুলিতে। তবে কর্মসূত্রে প্রায় ১৭ বছর ধরে থাকেন বাংলা-ওড়িশা সীমানা এলাকার দাঁতনে। এখানে এসেই সীমান্ত বাংলার লোকসংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ শুরু হয়। লোকসংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি জানতে শুরু করেন ওড়িয়া ভাষাকে। বিদ্যালয়ের কাজ, পরিবার সামলে এই শিক্ষক যা করেছেন জানলে অবাক হবেন। সম্পূর্ণ মনের ইচ্ছে এবং জেদকে কাজে লাগিয়ে তিনি করেছেন অসাধ্য সাধন।

শুধু লোকসংস্কৃতি কিংবা ভাষাকে জানা নয়, এই শিক্ষক তরুণ সিংহ মহাপাত্র দুই প্রখ্যাত সাহিত্যিকের ওড়িয়া ভাষায় লেখা গল্পের বই অনুবাদও করেছেন।পড়াশোনা লোকসংস্কৃতি বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই লোকসংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা তার। বিভিন্ন সময়ে অনেক ওড়িয়া ছোট গল্প বাংলায় অনুবাদ করেছেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে সেসব। তবে ২০০৭ সালে তিনি চাকরি পান পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকা দাঁতন এর ঘোলাই উদয় ভারতী হাইস্কুলে। বিদ্যালয়ে চাকরির সূত্রে চলে আসা দাঁতনে। সেখানে এসে সীমানা বাংলার মিশ্র সংস্কৃতি এবং লোকসংস্কৃতিকে জানতে গিয়ে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভাষা।

আরও পড়ুন : অবসর জীবনেও থেমে নেই, প্রাক্তন শিক্ষকের এই গুণ আপনাকে অবাক করবে

এরপর তিনি ধীরে ধীরে ওড়িয়া ভাষা জানতে শুরু করেন। এরপর বিভিন্ন লেখকের লেখা নিয়ে লোকসংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা “লোকভাষ” দুবার প্রকাশ করেন। এরপর তিনি অনুবাদ করেছেন ওড়িয়া থেকে বাংলা ভাষায় দুটি বই। কর্মজীবনের পাশাপাশি নিজের ইচ্ছেতেই এই অসাধ্য সাধন করেছেন শিক্ষক তরুণ সিংহ মহাপাত্র। তিনি পদ্মশ্রী মনোজ দাসের ওড়িয়া ভাষায় লেখা একাধিক গল্প বাংলায় অনুবাদ করে বই হিসেবে প্রকাশ করেছেন। সঙ্গ পেয়েছিলেন প্রখ্যাত এই সাহিত্যিকের।

আরও পড়ুন : সাদা ক্যানভাস নয়, ব‌ইয়ের পাতায় ছবি এঁকে নজির বধূর

শুধু তাই নয়, সাহিত্যিক শ্রীকান্ত চরণ পাত্রের একাধিক গল্প তিনি বাংলায় অনুবাদ করেছেন। পদ্মশ্রী মনোজ দাস এবং সাহিত্যিক শ্রীকান্তচরণ পাত্রের একাধিক ওড়িয়া গল্প বাংলায় অনুবাদ করে তিনি দুটি বই প্রকাশ করেছেন। এখনও নিরন্তর লোকসংস্কৃতি এবং ওড়িয়া ভাষার উপর তার বিভিন্ন ধরনের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

সম্পূর্ণ জানার আগ্রহ এবং নিজের ইচ্ছেতেই তিনি এই কাজ করেছেন। দুবার দুই পত্রিকা এবং দুটি বই প্রকাশ করেছেন তিনি।

রঞ্জন চন্দ