পশ্চিম বর্ধমান: এ যেন ভুতুড়ে কাণ্ড আসানসোলে। চোখের সামনে যা হচ্ছে, তা দেখে প্রথমে কেউ বিশ্বাস করতে পারেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা রীতিমত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলেন। তারপর বিপদ বুঝেই ঝাঁপ দেন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু সরকারি বাস পিষে দিয়েছে বাইক, স্কুটি। কারণ হঠাৎ করেই কোনও চালক ছাড়া চলতে শুরু করে দেয় সরকারি বাসটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আসানসোলে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটি দাঁড়িয়েছিল। তারপর হঠাৎ করেই সেটি চলতে শুরু করে দেয়। কিন্তু বাসে সে সময় কোনও চালক বা বাস কর্মী ছিলেন না। বাসটিকে এগিয়ে আসতে দেখে সেখানে বাইক, স্কুটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা তিনজন বাইক ছেড়ে ঝাঁপ দেন। মুহূর্তের মধ্যে বাইক গুলিকে পিষে দেয় বাসটি। তারপর এগিয়ে যায় রাস্তার দিকে। ধাক্কা মারে ডিভাইডারে।
আরও পড়ুন: জারি ১৪৪ ধারা! নাকা চেকিং থেকে ‘নো-এন্ট্রি’, নিরাপত্তার কড়া বলয়ে নবান্ন চত্বর
কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? তার তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হাওড়া ডিপোর এই সরকারি বাসের ইঞ্জিন সে সময় চালু ছিল। কিন্তু চালক বা কেউ বাস কর্মী ছিলেন না। তারা বলছেন সময় মত বিষয়টি বুঝতে না পারলে, বাসের চাকার তলায় পৃষ্ঠ হতেন। যদি রাস্তার ডিভাইডারে বাসটি গিয়ে ধাক্কা না মারত, তাহলে আরও বড় বিপদ হতে পারত।
এই ঘটনার পর রীতিমত সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বাসটিকে ক্রেনের সাহায্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ওই গ্যারেজের এক কর্মীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তিনি সঠিক কিছু বলতে পারেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, সম্ভবত বাসটির ইঞ্জিন স্টার্ট করা নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল। তবে ঘটনার পর সামনে আসেন নি ওই বাসের চালক বা কোনও কর্মী। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ বলছেন, যদি সরকারি বাসের এই ধরনের অবস্থা হয়, তাহলে যে কোনও সময় বড় বিপদ হতে পারে।
নয়ন ঘোষ