কোচবিহার: আজও বন্য প্রাণ নিয়ে সেভাবে সচেতন নয় সাধারণ মানুষ। তারই জলজ্যান্ত নমুনা দেখা গেল কোচবিহারে। জেলার মধুপুর কালপানি এলাকার বাসিন্দা ললিত বর্মন। এদিন তিনি বাইকের পেছনে একটি খাঁচায় এক বিশেষ প্রজাতির টিয়া পাখি নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই বিষয়টি নজরে আসে পরিবেশ প্রেমী সংস্থার এক সদস্যের। তাঁরা বিষয়টি বন দফতরের নজরে আনেন। এরপর বনকর্মীরা ললিত বর্মনের বাড়িতে এসে টিয়া পাখিটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ললিত বর্মনের বাড়ির সুপুরি গাছে বাসা বাঁধে এই বিশেষ প্রজাতির টিয়া পাখিটি। সে সেখানে ডিম পেড়ে বাচ্চার জন্ম দেয়। এরপরই ওই টিয়া পাখির বাসা থেকে একটি সদ্যোজাতকে নিয়ে খাঁচায় বন্দি করেন ললিত বর্মন। এরপর এদিন রাস্তা দিয়ে টিয়া পাখিটিকে নিয়ে যেতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ওই ব্যক্তি। তিনি যেটা করেছেন তা আইনবিরুদ্ধ কাজ।
আরও পড়ুন: মায়ের অলঙ্কার তৈরি করেও চলে না পেট, পুজোর আগে ব্যস্ততায় ভরে শুধু মন
পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য অর্ধেন্দু বণিক জানান, এই টিয়া পাখিটির নাম ‘চন্দনা টিয়া’। এই পাখিটির ইংরেজি নাম ‘রোজ রিং প্যারাকিট’। এই বিশেষ পাখিটি বন্যপ্রাণ আইনের দ্বিতীয় ভাগের আওতায় পড়ে। তাই অনেকটাই গুরুত্ব রয়েছে এই পাখিটির।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যপ্রাণ বাড়িতে পোষার বিষয়টি নিয়ে জনৈক ব্যক্তি অবগত ছিলেন না। তাই একটি লিখিত আকারে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। তাঁকে উপযুক্ত জরিমানা করা হয়েছে। মানুষের উচিত বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ করা এবং অবৈধভাবে বন্যপ্রাণ বাড়িতে না পোষা। অবৈধভাবে বন্যপ্রাণ বাড়িতে পুষলে কঠোর শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।
সার্থক পণ্ডিত