মালাকার দম্পতি

Durga Puja 2024: মায়ের অলঙ্কার তৈরি করেও চলে না পেট, পুজোর আগে ব্যস্ততায় ভরে শুধু মন

উত্তর দিনাজপুর: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তারপরই বিশ্বকর্মা পুজো। আর তার ঠিক ১৫ দিন পরেই বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। তাই মৃৎশিল্পীদের পাশাপাশি শোলার গয়না তৈরির কারিগরদেরও এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রতিমাকে অলঙ্কারে সুসজ্জিত করার জন্য প্রয়োজনীয় শোলার অলঙ্কার তৈরি করতে ব্যস্ত শিল্পীরা।

বিশ্বকর্মা পুজো কিংবা দুর্গাপুজো, সব পুজোতেই প্রায় কমবেশি প্রতিমা সাজাতে শোলার অলঙ্কারের প্রয়োজন হয়। তাই আগে থেকেই দিনরাত এক করে শোলার অলঙ্কার তৈরি করে রাখছেন কারিগররা। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের শোলা শিল্পী সুনীল মালাকার এবং তাঁর স্ত্রী মায়া মালাকার বছরের পর বছর ধরে শোলার অলঙ্কার তৈরি করছেন। আর সেই অলঙ্কার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে। শোলার চাঁদমালা, মুকুট, প্রতিমার অঙ্গসজ্জার নানান গহনা তৈরি করেন এই শিল্পীরা। তবে চাহিদা থাকলেও তেমন রোজগার নেই।

আরও পড়ুন: ময়ুরেশ্বরের যুবকদের ‘ভয় নেই’ ছড়িয়ে পড়ল গোটা জেলায়

এই বিষয়ে শোলা শিল্পী মায়া মালাকার জানান, ৫০-৬০ বছর ধরে এই কাজ করে আসছি। পাল মশাইদের অর্ডারে আমরা এই কাজ শুরু করি। মায়ের গায়ের অলঙ্কার তৈরি করি। কিন্তু যে টাকা পাই সেই টাকা দিয়ে নিজেদেরই গায়ের একখান কাপড় জোটে না। শোলার গয়নার চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের জোগান কম থাকায় চাহিদা মত গয়না তৈরি করে ডেলিভারি দিতে সমস্যায় পড়তে হয়। এদিকে বিভিন্ন আধুনিক অলঙ্কার বেরিয়ে যাওয়ায় শোলার কাজে আজকাল আর তেমন দাম দিতে চান না ক্রেতারা। শিল্পীদের হাতের তৈরি শোলার ডিজাইনের উপর দাম নির্ধারণ করা হয়। এক একটি ডিজাইন ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। তবে পরিশ্রমের তুলনায় দাম না পেলেও পূর্বপুরুষদের এই পেশা আজও ধরে রেখেছেন মালাকার দম্পতি।

পিয়া গুপ্তা