Tag Archives: Security

Special Bike Squad: সোনার দোকানে ডাকাতি থেকে শিক্ষা, শিল্পাঞ্চল জুড়ে বিশেষ বাইক বাহিনীর টহলদারি

পশ্চিম বর্ধমান: রানিগঞ্জের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিল পুলিশ। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সোনার দোকান থেকে ডাকাত দল কয়েক কোটি টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। তারপর পুলিশ আধিকারিকের সামনা সামনি হয়ে বেপরোয়াভাবে পিস্তল থেকে গুলি ছুড়তে থাকে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, এই ডাকাতির আগে দীর্ঘদিন ধরে রেকি করা হয়েছিল। এরপরই নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ বাইক বাহিনীর টহলদারি শুরু হল।

সোনা দোকানের এই ডাকাতির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। করা হয়েছে বড় পদক্ষেপ। যে ছবি ধরা পড়েছে কাঁকসা থানা এলাকায়। নজরদারি বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ টিম। আনা হয়েছে বিশেষ বাইক। কাঁকসা থানা এলাকায় দেখা গিয়েছে ব্যস্ত সময়ে বাজার এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে পুলিশের বাইক বাহিনী। যাতে করে এই ধরনের দুষ্কৃতী কার্যকলাপ রুখে দেওয়া যায়, তার জন্যই এমন পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: বৃষ্টির অভাবে মাছের দেখা নেই ভাগীরথীতে, মৎস্যজীবীদের পেটে টান

কাঁকসা থানা এলাকায় দেখা গিয়েছে বিশেষ বাইকে চেপে পুলিশের কর্মীরা টহলদারি চালাচ্ছেন। মূলত ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অর্থাৎ ব্যাঙ্ক, গোল্ড লোন সংস্থা ইত্যাদির নিরাপত্তার স্বার্থেই এই নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাজার এলাকায় যে সমস্ত সোনা-রুপোর দোকানগুলি আছে তাদের সামনেও টহলদারি চালাচ্ছে এই বিশেষ টিমের সদস্যরা। এই বিষয়ে কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল জানান, গত ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে এই টহলদারি শুরু হয়েছে এবং এই টহলদারি চলবে প্রতিদিন।

প্রসঙ্গত, রানীগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পরে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। মূলত যেভাবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই কোটি টাকার সোনা এবং হীরের গরনা নিয়ে ডাকাত দল চম্পট দিয়েছিল, তাতে নিরাপত্তার অভাববোধ করছিলেন অনেকেই। বিষয়টি বুঝেছিলেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও। আর তারপরই পুলিশের এই বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে নিরাপত্তা স্বার্থে।

নয়ন ঘোষ

Ganga Puja: গঙ্গা পুজোর আগে ব্যারিকেড নবদ্বীপের ঘাটে ঘাটে

নদিয়া: গঙ্গা পুজোয় নবদ্বীপে গঙ্গার ঘাটে দুর্ঘটনা এড়াতে পদক্ষেপ নবদ্বীপ পুরসভার। সামনেই গঙ্গা পুজো। অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি নবদ্বীপের গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটগুলোতেও আয়োজন করা হয় গঙ্গা পুজো। পাশাপাশি এই বিশেষ দিনে গঙ্গা স্নানের জন্য নবদ্বীপে আসেন বহু পূর্ণ্যার্থী। অন্যান্য উৎসব অনুষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই গঙ্গা পুজোতেও নবদ্বীপে সমাগম ঘটে লক্ষাধিক মানুষের।

ফলে গঙ্গা স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে যাওয়া সহ কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে এবারেও নবদ্বীপ পুরসভার তরফে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ।নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা জানান, প্রতি বছরই গঙ্গা পুজোতে অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে। বিগত দিনে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই সতর্কতা ও নিরাপত্তার জন্য শহরের সব গঙ্গার ঘাটে স্নানের জন্য নির্দিষ্ঠ জায়গায় অস্থায়ীভাবে ব্যারিকেড করে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোন‌ওরকম অসাবধানতা বা দুর্ঘটনার হাত থেকে পূর্ণার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া যায়।

আর‌ও পড়ুন: বিশ্বরূপের নেই দুই হাত এক পা, তারপরেও সব পারেন তিনি

পুরপ্রধান আরও জানান, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টিম গঙ্গার ঘাটগুলোয় উপস্থিত থাকবে। যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে তাঁরা সহায়তা করতে পারেন। উল্লেখ্য, থাকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত নবদ্বীপের বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেছে প্রায় ২০ জন। উৎসবের দিনে এই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যই এই বিশেষ পদক্ষেপ নবদ্বীপ পুরসভার তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে।

মৈনাক দেবনাথ

Junior Doctors Strike: নিরাপত্তার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি

বীরভূম: নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতির পথে হাঁটলেন রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই নিয়ে আর্জি জানালেও কোন‌ও পদক্ষেপ না নেওয়ায় কর্মবিরতির পথে হেঁটেছেন বলে জানান। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে এক মহিলার মৃত্যুতে তাঁর পরিজনরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। সেই ঘটনার রেশ ধরেই এই সমস্যার সূত্রপাত। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, মৃতের পরিবার প্রথমে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখানোর পর রাতে তাঁদের উপর চড়াও হয়।

বীরভূমের রামপুরহাট থানার সইপুর গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু খানের স্ত্রী সামিনা বিবি সোমবার ভোর তিনটের সময় বুকে ব্যথা নিয়ে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর পরিজনরা অভিযোগ তোলেন, হাসপাতালে ভর্তি করার পর দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা না করে ফেলে রাখা হয়েছিল। অনেকবার অনুরোধ করার পর জুনিয়র ডাক্তাররা চিকিৎসা শুরু করেন বলে জানান তাঁরা। মৃতার স্বামী পিন্টু খানের অভিযোগ, সিনিয়র ডাক্তাররা বেশিরভাগ সময় ওয়ার্ডে ছিলেন না। ভুল চিকিৎসার কারণেই তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয় বলে তিনি দাবি করেন।

আর‌ও পড়ুন: খাঁচাবন্দি ডুয়ার্সের ত্রাস! সাতসকালেই বিরাট সাফল্য

এই ঘটনার পর মৃত সামিনা বিবির দেহ ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান পরিজনরা। বেশি রাতে তাঁরা জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রামপুরহাট থানার পুলিশ। তাঁরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সুপার এর কাছে ৯০ জন জুনিয়র ডাক্তার একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। তাঁদের দাবি, নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে।

পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, এমার্জেন্সিতে ডিউটি চলাকালীন তাঁদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং হাসপাতালে একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসাতে হবে।এই বিষয়ে এমএসভিপি জানান পুলিশ প্রশাসন থাকলেই যে নিরাপত্তা পাওয়া যাবে সেটা নয়। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সজাগ থাকতে হবে এই সমস্ত বিষয়ে।

সৌভিক রায়

Naka Checking: ভোট মিটতেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হল শহর

মালদহ: আর দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য নয়। ভোট মিটতেই কঠোর করা হল শহরের নিরাপত্তা। কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ জেলা পুলিশের। মূলত মালদহ শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এবার থেকে শহরের প্রবেশ পথগুলিতে বসানো হচ্ছে নাকা পয়েন্ট। শহরের ঢোকা ও বেরনোর রাস্তায় তল্লাশি চালাতে এই পরিকল্পনা।

মালদহ শহরের প্রতিটি মূল প্রবেশদ্বারের রাস্তার মোড়ে বসানো হল নাকা চেকিং পয়েন্ট। এমনকি পরবর্তীতে এইসব নাকা চেকিং পয়েন্টে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা, এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।‌ এসপি প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, শহরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বার ও বাহির পথগুলিতে নাকা পয়েন্ট তৈরি করা হচ্ছে। নিয়মিত পুলিশি নজরদারি চালানো হবে এই নাকা পয়েন্ট থেকে। বিভিন্ন সন্দেহজনক যানবাহন, এমনকি সন্দেহজনক ব্যক্তিদের এর ফলে তল্লাশি করতে সুবিধা হবে।

আর‌ও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ, বিয়ের ১০ দিনের মাথায় যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

এই নাকা চেকিং পয়েন্টগুলিতে একজন এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারের সঙ্গে বেশ কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও পুলিশ কর্মী নজরদারিতে যুক্ত থাকবেন। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি আমরা। নাকা পয়েন্ট তৈরির ফলে শহরে নিরাপত্তা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এরফলে সন্দেহজনক গতিবিধির ওপর সহজেই নজরদারি চালানো যাবে। পুলিশের এই পদক্ষেপে আশ্বস্ত জেলার সাধারণ মানুষ’ও।

হরষিত সিংহ

CCTV Camera: কিছু করার আগেই হোন সাবধান, আপনাকে নজর রাখছে ক্যামেরা

উত্তর ২৪ পরগনা: পুর এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করতে এবং এলাকায় নজরদারি চালাতে বড় সিদ্ধান্ত। অশোকনগর পুরসভার তরফ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ২৩ টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়েছে এই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো।

গত কিছু সময় ধরে চুরির ঘটনা এখানে ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। তাছাড়া পথ দুর্ঘটনার নানা ঘটনাও ঘটছিল। থানায় অভিযোগও জমা পড়েছে বহুবার। তাই এবার এলাকার মানুষদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুরসভার তরফ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে সর্বক্ষণ নজরদারি চালানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার। এর ফলে অপরাধমূলক কাজকর্ম অনেকাংশই কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: সাইকেলে চেপে কেদারনাথ, ঘুরে এল মন্দিরবাজারের তিন যুবক

প্রায় পঞ্চাশটির উপর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট চিহ্নিত করে বসানো হয়েছে এই ক্যামেরা। যার সর্বক্ষণের ছবি সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায়। কোথায় কখন কী হচ্ছে তা দেখার ও নজরদারি চালানোর জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। পাশাপাশি এই সিসিটিভি ফুটেজের ফিড স্থানীয় অশোকনগর থানায়ও দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে কোথাও কোন‌ওরকম সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন। প্রয়োজনে পুরসভার তরফেও যোগাযোগ করা হবে স্থানীয় থানার সঙ্গে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Lok Sabha Election 2024: ফল ঘোষণার আগে স্ট্রং-রুমে কড়া নজরদারি, সীমান্তে নাকা চেকিং

পশ্চিম বর্ধমান: শেষ হয়েছে দীর্ঘ নির্বাচন প্রক্রিয়া। রাত পোহালেই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা। আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশের দায়িত্বভার কার হাতে থাকবে তা নির্ধারণ হয়ে যাবে। তার আগে গোটা দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াকড়ি করা হয়েছে। সেই একই ছবি ধরা পড়ল পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রংরুম অর্থাৎ আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দেখা গেল নিরাপত্তা রক্ষীদের কড়া পাহারা।

নির্বাচন রেজাল্ট ২০২৪, লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট

আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেই হবে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা। তার আগে সেখানে দেখা গিয়েছে প্রশাসন এবং কমিশনের প্রস্তুতি। অন্যদিকে ভোট গণনার আগের দিন আরও কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তারক্ষী জওয়ানরা তীক্ষ্ণ নজর রেখেছেন স্ট্রংরুমের দিকে। অন্যদিকে স্ট্রংরুম চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেদিকেও নজর রয়েছে সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের।

আরও পড়ুন: জেলা জুড়ে হাতির তাণ্ডব, ঘর থেকে চাষের জমি তছনছ সবকিছু

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকেও দেখা গিয়েছে সর্তকতা। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বসানো হয়েছে নাকা চেকিং। প্রতিবেশী রাজ্যটি থেকে আসা বা সে দিকে যাওয়া সমস্ত গাড়ি, বাইক থামিয়ে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশের কর্মীরা। কিছু সন্দেহজনক মনে হলে আরও বেশি করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাতে করে ফলাফল ঘোষণার দিন কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় বা অশান্তির সৃষ্টি না হয় তাই এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।

সবমিলিয়ে ফলাফল ঘোষণার আগে ব্যাপকভাবে সতর্ক হয়েছে প্রশাসন এবং কমিশন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেদিকে যেমন প্রশাসনের নজর রয়েছে, তেমনভাবেই স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার দিকেও নজর রয়েছে প্রশাসনের। যে কারণে সেখানে সতর্কতামূলক একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষী জওয়ানদের। পাশাপাশি রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। অন্যদিকে সীমান্তে শক্ত নজরদারি চলছে।

নয়ন ঘোষ

Abhishek Banerjee Security: মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রীর নজরে, ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! শোরগোল রাজ্যে

কলকাতা: জঙ্গিদের নিশানায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? তাঁর বাড়িতে হামলার ছক কষছে জঙ্গিগোষ্ঠী? সোমবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার মুরলীধর শর্মা। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ও অফিসে রেইকি করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা ও তাঁর আপ্ত সহায়কের ফোন নম্বর জোগাড় করেন এক ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে Z+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান অভিষেক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজরার বাড়ির বাইরে এবং ক্যামাক স্ট্রিটে যে অফিসে তিনি বসেন, সেই অফিসের বাইরে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের আরও বেশ কিছু ফোর্স মোতায়েন করা হবে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: SSC-তে চাকরি খোয়ালেন ২৫হাজার ৭৫৩ জন, কিন্তু বেতন ফেরত দেবেন কতজন? জানুন আসল সংখ্যা

সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার মুরলীধর শর্মা। সেখানেই বিস্ফোরক তথ্য জানান তিনি। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ডেভিড হেডলির শাগরেদ রাজারাম রেগে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৮ এপ্রিল কলকাতায় আসেন ওই ব্যক্তি। দুদিন ছিলেন কলকাতায়। এই দুদিনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ও তাঁর অফিসে রেইকি করেন রাজারাম রেগে। তাঁকে ভিডিওগ্রাফিও করতে দেখা যায়। গোপন সূত্র মারফত খবর যায় পুলিশের কাছে। ইতিমধ্যেই মুম্বই থেকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ গ্রেফতার করেছে রাজারাম রেগেকে। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়।