জানেন এর উত্তর?

General Knowledge-Health: সব ভুলে যায়, কিন্তু স্মৃতিশক্তি হারালেও মানুষ মাতৃভাষা ভোলে না কেন জানেন? চমকে উঠবেন জেনে

সিনেমায় দেখা যায়, কেউ স্মৃতিশক্তি হারানোর পরও দিব্যি কথা বলতে পারছেন নিজ ভাষায়। বাস্তব জীবনও সিনেমার বাইরে নয়। মূলত দুর্ঘটনা, মারাত্মক আঘাত কিংবা বিশেষ কিছু রোগ মানুষের স্মৃতিভ্রম ঘটায়। পুরনো সব ঘটনা, প্রিয়জনের নাম-ঠিকানা এমনকি নিজের নামটিও ভুলে যান অনেকে। তবে সব ভুলে গেলে মাতৃভাষায় কীভাবে কথা বলা সম্ভব?
সিনেমায় দেখা যায়, কেউ স্মৃতিশক্তি হারানোর পরও দিব্যি কথা বলতে পারছেন নিজ ভাষায়। বাস্তব জীবনও সিনেমার বাইরে নয়। মূলত দুর্ঘটনা, মারাত্মক আঘাত কিংবা বিশেষ কিছু রোগ মানুষের স্মৃতিভ্রম ঘটায়। পুরনো সব ঘটনা, প্রিয়জনের নাম-ঠিকানা এমনকি নিজের নামটিও ভুলে যান অনেকে। তবে সব ভুলে গেলে মাতৃভাষায় কীভাবে কথা বলা সম্ভব?
মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ১০০ বিলিয়ন স্নায়ুকোষ বা নিউরন আছে। আর এই মস্তিষ্ক স্মৃতি তৈরিতে বিভিন্ন স্নায়ুকোষের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে নতুন নতুন ‘সিন্যাপ্স’ গঠন করে।

মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ১০০ বিলিয়ন স্নায়ুকোষ বা নিউরন আছে। আর এই মস্তিষ্ক স্মৃতি তৈরিতে বিভিন্ন স্নায়ুকোষের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে নতুন নতুন ‘সিন্যাপ্স’ গঠন করে।
জন্মের পর প্রতিটি শিশু তার মা-বাবা এবং পরিবারের কাছ থেকে নিজ মুখের ভাষা আয়ত্ত করে থাকে। সহজাত বৈশিষ্ট্যের কারণে এই ভাষা অবচেতন স্মৃতি হিসেবে জমা হতে থাকে। তাছাড়া অবচেতন স্মৃতি মানুষের অবচেতন মনে তৈরি হয়। যা মানুষ মনে রাখার চেষ্টা করে না, বা মনে রাখতে হবে এ রকম জোর দিয়ে চিন্তা করে না। এতে করে নিজের প্রয়োজনে বারবার একই কাজ করার ফলে মস্তিষ্কে তৈরি হওয়া এই সিন্যাপ্সগুলো বেশ মজবুত হয়।
জন্মের পর প্রতিটি শিশু তার মা-বাবা এবং পরিবারের কাছ থেকে নিজ মুখের ভাষা আয়ত্ত করে থাকে। সহজাত বৈশিষ্ট্যের কারণে এই ভাষা অবচেতন স্মৃতি হিসেবে জমা হতে থাকে। তাছাড়া অবচেতন স্মৃতি মানুষের অবচেতন মনে তৈরি হয়। যা মানুষ মনে রাখার চেষ্টা করে না, বা মনে রাখতে হবে এ রকম জোর দিয়ে চিন্তা করে না। এতে করে নিজের প্রয়োজনে বারবার একই কাজ করার ফলে মস্তিষ্কে তৈরি হওয়া এই সিন্যাপ্সগুলো বেশ মজবুত হয়।
এদিকে স্মৃতিগুলো মস্তিষ্কের ‘ফ্রন্টাল কর্টেক্স’ এর বাঁপাশে স্থায়ী স্মৃতিভাণ্ডারে জমা হয়। শিশু প্রথম ভাষা শেখার সময় নিজের মাতৃভাষা বারবার ব্যবহার করে, এতে এই স্মৃতি বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আরও মজবুত হয়। ফলে কোনো মানুষকেই তার মাতৃভাষা মুখস্থ করতে হয় না।
এদিকে স্মৃতিগুলো মস্তিষ্কের ‘ফ্রন্টাল কর্টেক্স’ এর বাঁপাশে স্থায়ী স্মৃতিভাণ্ডারে জমা হয়। শিশু প্রথম ভাষা শেখার সময় নিজের মাতৃভাষা বারবার ব্যবহার করে, এতে এই স্মৃতি বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আরও মজবুত হয়। ফলে কোনো মানুষকেই তার মাতৃভাষা মুখস্থ করতে হয় না।
এ ছাড়া শিশুর জীবনের প্রথম ৩ বছরে মস্তিষ্কে প্রতি সেকেন্ডে তৈরি হয় প্রায় ১ মিলিয়ন ‘সিন্যাপ্স’। এ সময় শিশু খুব কম বিষয় মুখস্থ করে, তাই মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতাও বেশি থাকে। এদিকে ৬ বছরের মধ্যে মস্তিষ্ক গঠনের ৯০ শতাংশ পূর্ণ হয়ে যায়। ৬ বছর পর মস্তিষ্কের রূপান্তর প্রায় সম্পন্ন হওয়ার কারণে শিশু নতুন বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং তা শিখতে ও মুখস্থ করতে শুরু করে। যা জমা হয় ‘অর্জিত স্মৃতি’ হিসেবে।
এ ছাড়া শিশুর জীবনের প্রথম ৩ বছরে মস্তিষ্কে প্রতি সেকেন্ডে তৈরি হয় প্রায় ১ মিলিয়ন ‘সিন্যাপ্স’। এ সময় শিশু খুব কম বিষয় মুখস্থ করে, তাই মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতাও বেশি থাকে। এদিকে ৬ বছরের মধ্যে মস্তিষ্ক গঠনের ৯০ শতাংশ পূর্ণ হয়ে যায়। ৬ বছর পর মস্তিষ্কের রূপান্তর প্রায় সম্পন্ন হওয়ার কারণে শিশু নতুন বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং তা শিখতে ও মুখস্থ করতে শুরু করে। যা জমা হয় ‘অর্জিত স্মৃতি’ হিসেবে।
তবে এই 'অর্জিত স্মৃতি' যত দ্রুত মস্তিষ্কে জমা হয়, তত দ্রুতই আবার মুছে যায়। যেমন পরীক্ষার আগে কোনও বইয়ের ১০০০ শব্দ অল্প সময়ে মুখস্থ করে পরীক্ষায় লিখে আসার কিছুদিন পর সেসব পড়া আর মনে থাকে না। অন্যদিকে শিশুর মা-বাবা, দাদা, চাচা এমন ছোট ছোট শব্দ শিখতে প্রায় ১ বছর লেগে যায়। শব্দগুলো কিন্তু শিশুকে জোর করে মুখস্থ করতে হয় না। সহজাতভাবেই মস্তিষ্কে জমা হয় অবচেতনে। আর এ এজন্যই মানুষ মাতৃভাষা ভুলে যায় না।
তবে এই ‘অর্জিত স্মৃতি’ যত দ্রুত মস্তিষ্কে জমা হয়, তত দ্রুতই আবার মুছে যায়। যেমন পরীক্ষার আগে কোনও বইয়ের ১০০০ শব্দ অল্প সময়ে মুখস্থ করে পরীক্ষায় লিখে আসার কিছুদিন পর সেসব পড়া আর মনে থাকে না। অন্যদিকে শিশুর মা-বাবা, দাদা, চাচা এমন ছোট ছোট শব্দ শিখতে প্রায় ১ বছর লেগে যায়। শব্দগুলো কিন্তু শিশুকে জোর করে মুখস্থ করতে হয় না। সহজাতভাবেই মস্তিষ্কে জমা হয় অবচেতনে। আর এ এজন্যই মানুষ মাতৃভাষা ভুলে যায় না।
ভাষার প্রধান স্টোরেজ হলও ‘ফ্রন্টাল কর্টেক্স’ এর বাঁপাশ, এবং সহায়ক স্টোরেজ হচ্ছে পুরো মস্তিষ্ক। এদের পরিচালন করে ‘ব্রকাস এরিয়া’ ও ‘উর্নিক্স এরিয়া’ (Wernicke’s area)। শুধু ‘ফ্রন্টাল কর্টেক্স’ নয়, মাতৃভাষা এক সময় মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে ক্ষুদ্র আকারে জমা হতে থাকে। ভেবেচিন্তে কথা বলার সময় এসব ক্ষুদ্র স্মৃতি নিউরোট্রান্সমিটারের মাধ্যমে একত্রিত হয় এবং ‘ব্রকাস এরিয়া’তে পাঠানো হয়। এ সময় কথার গতি একটু ধীর হয়।
এদিকে মাথায় বড় আঘাত লেগে, স্ট্রোকের কারণে বা ডিপ্রেশনে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কোনও অংশ অকেজো হয়ে গেলে আগের সব স্মৃতি হারিয়ে যায়, কিন্তু মাতৃভাষা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এর কারণ মাতৃভাষার প্রধান স্টোরেজ অকেজো হলেও সহায়ক স্টোরেজ সহজাত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে নেয়। আর তাই ‘অর্জিত স্মৃতি’ মস্তিষ্কের সমস্যার কারণে মুছে গেলেও ‘অবচেতন স্মৃতি’তে কিন্তু থেকেই যায়।
এদিকে মাথায় বড় আঘাত লেগে, স্ট্রোকের কারণে বা ডিপ্রেশনে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কোনও অংশ অকেজো হয়ে গেলে আগের সব স্মৃতি হারিয়ে যায়, কিন্তু মাতৃভাষা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এর কারণ মাতৃভাষার প্রধান স্টোরেজ অকেজো হলেও সহায়ক স্টোরেজ সহজাত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে নেয়। আর তাই ‘অর্জিত স্মৃতি’ মস্তিষ্কের সমস্যার কারণে মুছে গেলেও ‘অবচেতন স্মৃতি’তে কিন্তু থেকেই যায়।
তবে মারাত্মকভাবে কারও যদি মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশের বেশি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বা ‘ব্রকাস এরিয়া’সহ নষ্ট হয়, তবে সে ব্যক্তির কথা বলার ক্ষমতাও ধ্বংস হয়ে যায়। আর এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তি তার মাতৃভাষাতে কথা বলার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে।
তবে মারাত্মকভাবে কারও যদি মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশের বেশি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বা ‘ব্রকাস এরিয়া’সহ নষ্ট হয়, তবে সে ব্যক্তির কথা বলার ক্ষমতাও ধ্বংস হয়ে যায়। আর এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তি তার মাতৃভাষাতে কথা বলার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে।