![দুধ হল পুষ্টির ভাণ্ডার। ছোট থেকে বড় সকলেরই দুধ খাওয়া ভীষণ উপকারী। কিন্তু অনেক সময় কিছু শিশুর দুধে অ্যালার্জি হয় বা দুধ হজম হয় না বা তারা দুধের স্বাদ পছন্দ করে না।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/Milk-Selling-4-2024-06-b4c285bb512473d9d1b45103ed0692ce.jpg)
![এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান সকলেই, এবার দুধের বিকল্প হিসেবে শিশুকে দিতে পারবেন দারুণ এই জিনিস, যা কিনা পুষ্টির খনি৷ এবং দুধ-ডিমের চেয়েও ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী৷](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2023/10/Moringa-Powder-2.jpg)
![রাঁচির আয়ুর্বেদিক ডাক্তার ভি কে পান্ডে জানিয়েছেন, এটি হল সজনে ডাটার পাউডার৷ নামটা শুনে খাওয়ার ইচ্ছে না হলেও এটি শরীরের জন্য বিরাট উপকারী৷](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/04/WhatsApp-Image-20240409-at-63655-PM-2024-04-e7433ff2f893242e6768e621dd69636f.jpeg)
![ডাক্তার ভি কে পান্ডে বলেছেন এতে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। এতে ভিটামিন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ওমেগা ৩ অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপাদান পাওয়া যায়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2023/10/Moringa-Powder-6.jpg)
![এই কারণে এটি দুধের একটি চমৎকার বিকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়। শিশুরা যদি দুধ না পান করে তাহলে তাদের এক চামচ ড্রামস্টিক পাউডার জলে মিশিয়ে দিতে পারেন অথবা সবজিতেও যোগ করতে পারেন। স্বাস্থ্যকর হওয়ার পাশাপাশি এর স্বাদও অসাধারণ।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/03/moringa-flower-benefits-3-2024-03-4f600cfe2221160579878bb33592f65b.jpg)
![ডাঃ ভি কে পান্ডে আরও ব্যাখ্যা করেন যে এটি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আপনার শরীরকে শক্তি জোগাতে কাজ করে। এছাড়া হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও দারুণ কাজ করে এই পাউডার।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2023/09/1606269838_5fbdbb8e43795_moringa-1-1.jpg)
![এটি শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে। এটি খাওয়ার ফলে শরীরে দ্রুততা আসে এবং আপনি সারা দিন বেশ সক্রিয় বোধ করেন।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/01/moringa-2024-01-4eb5cd7f04cd3e219b5f7bc94b7620d7.jpg)
কলকাতা: শ্যামল কান্তি সাহা, বিধান নগর পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী। ৫৪ বছর বয়স। ২০০০ সালে বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় তীব্র মাথা ব্যথা শুরু হয়। আর এরপরেই শুরু হয় মাথায় একের পর এক অপারেশনের পালা।
চিকিৎসকরা সেই সময় জানান, শ্যামলবাবুর মস্তিষ্কে জল জমেছে৷ এর পর ২০০১ সালে প্রথম বার অস্ত্রোপচার করে শ্যামলবাবুর মস্কিষ্কের জল বের করা হয়৷ কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও সমস্যা দেখা দেয়৷ এবার শ্যামলবাবুর ব্রেনে সিস্ট ধরা পড়ে৷ ২০০২ সালে সেই সিস্টের অস্ত্রোপচার করা হয়৷
কিন্তু শ্যামলবাবুর যন্ত্রণা যেন শেষ হচ্ছিল না৷ ২০০৩ সালে শ্যামলবাবুর কানে সমস্যা দেখা দেয়৷ তখন আবার কানের উপরের অংশে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়৷ এর পর কয়েক বছর সাময়িক স্বস্তি পান রাজ্য সরকারি ওই কর্মী৷ ২০০৯ সালে আবারও শ্যামলবাবুর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করে জল বের করতে হয়৷ ২০১৬ সালে মস্তিষ্কে ধরা পড়ে টিউমার৷ সবশেষে ২০২৩ সালে আবারও সেই মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে শ্যামলবাবুর৷ গত বছর ফের সেখানে অস্ত্রোপচার করতে হয়৷
আরও পড়ুন: কোন্নগরে বালক খুনের পিছনে কি এক রহস্যময়ী? তিন দিন পরেও উত্তর খুঁজছে পুলিশ
এতবার অপারেশনের পরে এখন অনেকটাই সুস্থ শ্যামলকান্তি রায়। প্রথম থেকেই চিকিৎসা হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরবর্তীতে ই এম বাইপাসের সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরের পর অস্ত্রোপচার হয়। সেখানকার স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জেন এল এন ত্রিপাঠী এই অপারেশন করেন। তিনি জানান, ‘মনোবল এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ায় শ্যামল কান্তি রায় নতুন জীবন পেয়েছেন। চিকিৎসক জীবনে একই রোগীর এতবার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সাক্ষী হইনি। শ্যামল কান্তি বাবুর গোটা পরিবার যেভাবে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে আমাদের কাছেও এটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই ধরনের রোগীকে সুস্থ করে তোলার মধ্যে এক অন্য আনন্দ কাজ করে।’
বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই এরকম ভয়াবহ অবস্থা,তারপরও দাঁতে দাঁত চিপে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন শ্যামলকান্তি বাবুর স্ত্রী। তিনি বলছেন, ‘বিয়ের পরেই এই ঘটনায় একদম ভেঙে পড়েছিলাম, তারপর এত বছরের লড়াই। দুই মেয়েকে নিয়ে, স্বামীকে নিয়ে সবাই মিলে এই লড়াই করেছি। আগামী দিনেও আমরা সবাই মিলে ভালো থাকব।’ আর শ্যামল কান্তি সাহা জানাচ্ছেন, ‘একটা সময় জীবনের প্রতি সমস্ত বিশ্বাস চলে গিয়েছিল তবে আমার স্ত্রী যেভাবে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তাতে লড়াইটা অনেক সহজ হয়। আর এই হাসপাতালে চিকিৎসকরা, স্বাস্থ্য কর্মীরা যেভাবে প্রতিমুহূর্তে আমাদের পাশে ছিলেন, তাতে আমি এই লড়াইয়ে জিততে পেরেছি।’
কবিতার অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েও হতে পারেনি,তবে এই বাস্তবের শ্যামলকান্তি এতবার ব্রেনে অস্ত্রোপচারের পরেও নবজন্ম পেয়ে এক সুখী পরিবার নিয়ে দিন কাটানোর স্বপ্ন দেখছেন৷