শিক্ষক সুমন রায়

West Medinipur News: সমাজ ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতার স্বীকৃতি, শিক্ষরত্ন পাচ্ছেন বেনাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক

পশ্চিম মেদিনীপুর: শিক্ষক সমাজের মেরুদণ্ড। ছাত্রছাত্রীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেন শিক্ষকেরাই। বাবার আদর্শে আদর্শিত হয়ে তিনিও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বহু ছাত্রছাত্রীদের। এবার পরিবেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানিত হচ্ছেন শিক্ষক। পশ্চিম মেদিনীপুরের একমাত্র শিক্ষক হিসেবে ‘শিক্ষারত্ন’ পাচ্ছেন সুমন রায়।

আরও পড়ুন: ফের উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণের অভিযোগ, জনতার ক্ষোভের আগুনে জ্বলল দোকান, গাড়ি

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরেরপক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট)-ই ‘সুখবর’ এসে পৌঁছেছে বেনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমন রায়ের কাছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শিক্ষক দিবসের দিন রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মানে ভূষিত করা হবে। বছর দশেক আগে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি যোগদান করেন খড়্গপুর ২নং ব্লকের বেনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। সুমন বলেন, “একটি সুন্দর স্কুল গড়ে তোলার পাশাপাশি, একটি সুস্থ সমাজের প্রতিনিধিত্ব করাই আমাদের স্বপ্ন। শিক্ষক কিংবা প্রধান শিক্ষক হিসেব সেই কাজ যথাসাধ্য পালন করার চেষ্টা করে গিয়েছি। রাজ্য সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য আমাকে বেছে নেওয়ার জন্য।”

আরও পড়ুন: পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ডিম দেয় এই পাখি! খেতে যেমন সুস্বাদু, গুণেও ভরপুর

প্রসঙ্গত, করোনাকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্যে বিশেষ তহবিল গড়ে আশপাশের ১১টি গ্রামে থার্মোমিটার, মাস্ক, স্যানিটাইজার বিলি করেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে। এছাড়াও, গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪তম জন্মজয়ন্তীতে বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীদের নিয়ে গিয়ে বীরসিংহ (পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার) থেকে পবিত্র মাটি সংগ্রহ করে, বিদ্যালয় সংলগ্ন ১১টি গ্রামে ‘বটবৃক্ষ’ রোপন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক সুমন রায়। এছাড়াও বাল্যবিবাহ রোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এই শিক্ষক। সমাজে গড়ে তুলেছেন সচেতনতা। প্রধান শিক্ষক সুমন রায়ের এমনই সব অসামান্য কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এবার তাঁকে ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছে রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর।