বাঁকুড়া : লোকশিল্পীরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে গান বাঁধেন। এটা তারা সারা বছর করেই থাকেন। তবে গান বাঁধতে গেলে প্রকল্প গুলো তো তাদের জানতে হবে। বাঁকুড়া জেলা জুড়ে প্রচুর লোকশিল্পী রয়েছেন। অধিকাংশকে একই মঞ্চে ডেকে সরকারি প্রকল্পগুলি সম্বন্ধে ধারণা প্রদান করতে এক বিশেষ আয়োজন বাঁকুড়া জেলাতে। বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে শুক্রবার রাজ্য সরকারের জেলা ভিত্তিক লোকশিল্পীদের সম্মেলন করা হলবাঁকুড়ায়।
আয়োজনে লোকসংস্কৃতি এবং আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র ও সহযোগিতায় বাঁকুড়া জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। প্রতিটি প্রকল্প ঠিক করে বুঝে গান বাধার উপলক্ষ নিয়ে মঞ্চে উপস্থিত হন প্রায় ৫০০ জন লোকশিল্পী। বেশ উৎসাহিত লাগছিল সকলকে। যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, সব বয়সেরই লোকশিল্পীরা এসেছিলেন শুক্রবার।
আরও পড়ুন : অকালে শেষ স্বপ্ন! রাজ্য স্তরের খেলোয়াড় পেটের দায়ে এখন পরিযায়ী শ্রমিক
কৃষক বন্ধু প্রকল্প থেকে শুরু করে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য এবং একাধিক সরকারি দফতরের আধিকারিকরা এসেছিলেন, সরকারি প্রকল্পগুলির স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করতে। চলে দুই পক্ষের মধ্যে একটি “ইন্টারেক্টিভ সেসন”। লোকশিল্পীরা প্রশ্ন করেন এবং ভালো করে বুঝে নেন প্রকল্পগুলির খুঁটিনাটি, যাতে গান লিখতে গিয়ে কোনও অসুবিধা না হয় তাদের। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লক থেকে আসা ঝুমুর শিল্পী গেয়ে শোনালেন বাঁকুড়ার গান। উৎসাহিত শিল্পীরা করলেন হরিনাম সংকীর্তন। এই মৌলিক আয়োজন প্রশংসা কুড়িয়েছে বেশ কিছু মহলে।
আরও পড়ুন : শিক্ষারত্ন পেলেন বাঁকুড়া স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক, শিক্ষাক্ষেত্রে জয়জয়কার জেলার
লোকশিক্ষার প্রসার, লোকশিক্ষার প্রচার, লোকসংস্কৃতির বিকাশ এবং সরকারি সহায়তা সঙ্গে সরকারি প্রকল্পের স্বচ্ছ ধারণা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে লোকশিল্প মাধ্যম বেছে নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। বাঁকুড়া জেলা লোকসংস্কৃতির আখড়া। জেলার আনাচে-কানাচে হাজার হাজার গ্রাম, আর গ্রামের ভাষা-লোকোসংস্কৃতির ভাষা অনেকটাই এক।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাই প্রান্তিক বাঁকুড়ার মানুষের কাছে প্রকল্পের খুঁটিনাটি পৌঁছে দিতে বেছে নেওয়া হল লোকসংস্কৃতিকে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী