নীলকুঠি

Birbhum News: বীরভূমের আড়াইশো বছরের পুরানো নীলকুঠি একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন

বীরভূম: ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরা বীরভূমে রয়েছে নানা দেখার জিনিস। ভ্রমণপিপাসু বাঙালি হাতে দু-এক দিনের সময় পেলেই ছুটে আসেন বীরভূম ভ্রমনে। বীরভূমেই রয়েছে নীলকুঠি। আড়াইশো বছরের পুরনো নীলকুঠিকে পর্যটন কেন্দ্র করে তোলার দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। দাদন দিয়ে নীলচাষ এবং কৃষকদের অত্যাচারের ইতিহাস রয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্ব জুড়ে। বীরভূমে জঙ্গলে ঘেরা গুনুটিয়ায় চাপা পড়ে রয়েছে এমনই এক ইতিহাস।

বোলপুর-লাভপুর সড়ক বরাবর কুয়ে নদী পার হয়ে লাভপুর থেকে লাঘাটা দিকে রওনা দিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় ময়ূরাক্ষী নদীর কাছে। সেতু পার হলেই সামনে বিস্তীর্ণ জঙ্গল। আর তারই মাঝে জরাজীর্ণ একটি মিনার। জঙ্গলে আর একটু ঢুকলে রয়েছে নির্মাণ কাজের ইটের টুকরো। সেই ইট প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো গুনুটিয়ার নীলকুঠি মহলের নানা ইতিহাসের সাক্ষী। সেই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে ঘিরে এ বার পর্যটনকেন্দ্র গড়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন- মাত্র ১৬০০ টাকায় হয়ে যাবেন MBBS! এত কম খরচে দেশের কোথায় ডাক্তারি পড়া যায়? জেনে নিন!

বীরভূমের গুনুটিয়ার নীলকুঠির পরতে পরতে রয়েছে আরও নানান ধরনের ইতিহাস। একদা বাংলার জলপথ বাণিজ্যের অন্যতম যোগসূত্র ছিল এই নীলকুটি। ময়ূরাক্ষী এবং অজয় নদের জলপথ যোগাযোগের অন্যতম পথ হিসেবে ব্যবহার জন্য ১৭৭৫ সালে ব্রিটিশ বণিক এডওয়ার্ড হে গুনুটিয়ার নীলকুঠি নির্মাণ করেছিলেন। সে সময় ছিলজলপথে যাতায়াতের সুবিধা।আবহাওয়া, কাঁচামাল, উর্বর জমির জন্য বীরভূম জেলায় লাক্ষা, তুঁত, রেশম, নীল চাষ ভালো হত। রেশম চাষের জন্য এডওয়ার্ড বীরভূমের লাভপুরে ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে গুনুটিয়া কুঠি তৈরি করে।

আরও  পড়ুন: পৃথিবীর একমাত্র পাখি, যেটির ডানা নেই! কোন পাখি? বলুন দেখি…উত্তর মিলিয়ে দেখুন

প্রথম দিকে এখান থেকে রেশম, তুঁত প্রভৃতি চাষের তত্ত্বাবধান করা হলেও পরবর্তীকালে নীল চাষ শুরু হয়। তাই গুনুটিয়া কুঠি পরিচিতি পায় নীলকুঠি হিসেবেই।১৭৮৫ সালে ফরাসি বণিক জেমস ফ্রুশার্ড ২০ হাজার টাকায় গুনুটিয়া কুঠি কিনে নেন। সে সময় কুঠির পরিধিও বৃদ্ধি পায়। এর পর ভারতে ব্রিটিশ সরকার আধিপত্য বাড়তে শুরু করে। ১৮০৮ সালে এই কুঠি ফের হাতবদল হয়ে যায় ব্রিটিশদের কাছে।

সৌভিক রায়