চা চাষ

Tea Farming: আর নয় দার্জিলিং এবার বোলপুর গেলেও মিলবে চা পাতার দেখা

বীরভূম: বিশ্বভারতীর পল্লীশিক্ষা ভবনের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার ফার্মে পরীক্ষামূলকভাবে চা পাতা চাষ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এখন চার রকম চা পাতার চাষ করা হবে বলে উক্ত বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় চা পাতা নিয়ে যে আরও বিভিন্ন রকম গবেষণা করা হবে সে কথাও জানিয়েছেন অধ্যাপক ড: ভোলানাথ মন্ডল। রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদেশে গিয়ে কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর বীরভূমের রুক্ষ মাটিতে কীভাবে চাষের উপযোগী করে তোলা যায় তার জন্য একাধিক গবেষণা করেছিলেন তিনি।

রথীন্দ্রনাথ এর সেই ভাবনাকেই সম্মান জানিয়ে এখনও বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পল্লি সংগঠন বিভাগ,পল্লি শিক্ষা ভবন,রথীন্দ্র কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রতে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চলছে। উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ এই পল্লী শিক্ষা ভবনেরই আওতাধীন। এখানেই ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজ করেন ভোলানাথ বাবু। আবহাওয়ার পার্থক্য আকাশ পাতাল হলেও , দার্জিলিং এর মতবীরভূমে চা চাষ করাটা যেন কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোলানাথ বাবুর কাছে।

আরও পড়ুন: ভেঙে পড়েছে বাড়ি, প্রতিবেশীর বাড়ির বারান্দায় দিন কাটাচ্ছেন এই পরিবার

তবে ভোলানাথ বাবুর দাবি’আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণে চা পাতার গুনমানের পার্থক্যও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘। যদি রুক্ষ মাটিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই চা পাতার চাষ সফল হয় তবে তা যুগান্তকারী হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভোলানাথ বাবু আরও জানান, টিনালি, টিবি নাইন, ২৩-২৪, ২৫-২৬ এই চার রকমের চা পাতা পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে দেড় বিঘা জমিতে।যেটাকে সফল করতে এগিয়ে এসেছেন বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাও। কোনও কৃষি জমি নয়,এই চাষের জন্য রুক্ষ এবং অনাবাদি জমিতেই এই চাষ করা হচ্ছে।

দার্জিলিং জলপাইগুড়ি ও আসামের সঙ্গে বীরভূমের আবহাওয়ার পার্থক্য থাকলেও মাটির প্রকার অনেকটা একরকম বা অম্লযুক্ত। তবে জৈব সার বীরভূমের থেকে ওদিকের মাটিতে অনেকটাই বেশি। যদি এই পাইলট প্রজেক্ট সফল হয় তবে এগ্রোটুরিজমের মুকুটের যে আরও একটি নতুন পালক উঠবে তা বলার অপেক্ষায় রাখে না।

সৌভিক রায়