টোটো  চালাচ্ছেন সাখিনা

Story of Lady Toto Driver: স্বামীর সঙ্গে ঘর করা হল না, হাল ধরতে টোটোই ভরসা সাখিনার!

মুর্শিদাবাদ: আর পাঁচ জন মহিলার মতোই, ঘরের কাজ সামলানো থেকে শুরু করে অন্যান্য সব কাজই করে থাকেন সাখিনা। ঝড় জল উপেক্ষা করে টোটো বোঝাই করে এদিক ওদিক পৌঁছে দেন যাত্রীদের। এ দিকে, গরিবের সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।

আরও পড়ুন- তিরিশেই বয়সের ছাপ মুখে? এই ১ সবজি নিংড়ে নেবে বার্ধক্য! ঝকঝকে ত্বকে ফিরবে আত্মবিশ্বাস

মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের ভগীরথপুর এলাকার মেয়ে সাখিনা। দু-চোখে অনেক স্বপ্ন ছিল স্বামী সন্তান নিয়ে সংসার করবেন তিনি আজীবন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস অন্য। স্বামী তো হল; কিন্তু স্বামীকে আর ভালবাসার বাঁধনে বেঁধে রাখতে পারলেন না সাখিনা। স্বামীর ঘর থেকে চলে এসে নিজেই এখন টোটো চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন সাখিনা। একদিন বাবা-মাও ছেড়ে চলে যায়।

আরও পড়ুন- মেট্রো স্টেশনে আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ! ধস্তাধস্তি, টিকিট মেশিনের সামনে বসে পড়লেন স্থানীয়রা

তার পর থেকেই নিজের দিদি আর মেয়ে-জামাইকে নিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছিল সাখিনার। সাখিনাই পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। একমাত্র রোজগেরে তিনিই। এই পরিস্থিতিতে সাখিনার পাশে দাঁড়ানোর কেউ ছিল না। বুক ভরা যন্ত্রণা আর দু-চোখে অশ্রু নিয়ে গ্রহণ করে ঋণ।

সেই সঙ্গে সোনার গয়না বন্ধক দিয়ে একটা টোটো ক্রয় করেছিলেন সাখিনা। পরে নতুন করে শুরু করেন দিনযাপন। সৎ পথে রোজগারের জন্য ৩৫ বছর বয়সি সাখিনার টোটোর হ্যান্ডেলে হাত আর তাতেই কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকার বুদ্ধিজীবী থেকে বিশিষ্ট জনেরা।

কৌশিক অধিকারী