মুর্শিদাবাদঃ অন্যান্য চাষের তুলনায় এবার মাল্টা চাষ করে লাভের দিশা দেখাচ্ছেন ডোমকলের এক যুবক। দেড় বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করে অন্যান্যদেরও মাল্টা চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। গাছ রোপনের পর প্রথম বছরেই ফল পাওয়া না গেলেও দ্বিতীয় বছর থেকেই ফল ধরতে শুরু হয় মাল্টা গাছে। কিন্তু অধিক ফল মেলে গাছের বয়স তিন বছর হলে।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ডুবাপাড়া এলাকার যুবক হাসানুজ্জামান কবীর ওরফে বাপি। ওই এলাকাতেই তিনি অনলাইন ব্যবসা অর্থাৎ ট্রেন ও জাহাজের টিকিট বুকিংয়ের ব্যবসা করেন। সেখান থেকেই কিছু সময় ব্যায় করে দেড় বিঘা জমিতে ভিয়েতনাম মাল্টা গাছ রোপন করেন বছর তিনেক আগে। দেড় বিঘা ওই জমিতে প্রায় ১০০ চারা রোপন করা হয়।
আরও পড়ুন: বুধের গোচরে ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা! ৩ রাশির কপালে ধন সম্পদের বন্যা, দরজায় শুভ সময়
কয়েকটি গাছ নষ্ট হলেও প্রায় ৯৭টি গাছে ফল ধরেছে বর্তমানে। মজার ব্যপার হল এই ভিয়েতনাম মাল্টার কারণে বছরে দুইবার করে ফলন হয়। কিন্তু গাছ পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে দুই বছর। তিন বছরের মাথায় অধিক ফলন হয় গাছে। বাজার জাত হওয়ার আগে এলাকারই ফল ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই তুলে নিয়ে যান মাল্টা। যার ফলে বিক্রির জন্য ভাবতে হয় না নতুন করে।
বাজার দামেই পাইকারি দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন এই যুবক। ব্যাবসায়ীরাও গাছ থেকে নিজ হাতে বেছে পেড়ে নিয়ে যাচ্ছেন দোকানে। ক্রেতারাও সতেজ মাল্টা দেখে কিনছেন। যার ফলে চাহিদাও বাড়ছে দোকানে। লাভবান হচ্ছেন ফল ব্যবসায়ীরাও। ভিয়েতনাম প্রজাতির এই মাল্টা ফল বছরে দু’বার ফলন দিয়ে থাকে।
চাষীদের কথায়, গাছের বয়স তিন বছর হতেই ফলন শুরু হয়। প্রথম বছরেই তিনি এই মাল্টা চাষ করে আয় করেন প্রায় এক লক্ষ টাকা। এই বছর গাছে ফলন আরও ভাল হয়েছে। ফলে ভরেছে গাছ। সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফল পাকতে শুরু করে। মৌসুমি প্রজাতির এই ফল মিষ্টি। তাই বাজারে চাহিদাও রয়েছে। স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়। বাজারে চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছে।
কৌশিক অধিকারী