Tag Archives: farming

Betel Nut Farming: অত্যধিক গরমে সুপারি চাষের ব্যাপক ক্ষতি

আলিপুরদুয়ার: প্রচন্ড দাবদাহের কারণে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে সুপরি গাছ। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন চাষিরা। আর তাই গ্রীষ্মকালে সুপরি গাছের পরিচর্যা নিয়ে খুব শীঘ্রই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন জেলা কৃষি আধিকারিক।

তিনদিন হল প্রচন্ড দাবদাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে ডুয়ার্সজুড়ে। গরমের কারণে বেলা হলেই রাস্তায় মানুষকে দেখা যাচ্ছে না। শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে চিন্তায় পড়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলার সুপরি চাষিরা। এই জেলা সুপরি চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতিটি ব্লকেই হয় সুপরি চাষ। বর্তমানে ফালাকাটা ও কালচিনি ব্লকে চলছে সুপরির চারা রোপন। এই প্রচন্ড দাবদাহের কারণে মাঠেই শুকিয়ে মরে যাচ্ছে সুপারি গাছ। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচন্ড গরমের কারণে ইতিমধ্যেই জেলায় ৩০০ টি সুপরি গাছ মারা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: উত্তরের ‘টেমস’ করলা যেন আজ সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ!

এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়ার পরিবর্তন নাহলে সুপরি চাষে মন্দা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।। তাই খুব শীঘ্রই জেলার সুপরি চাষিদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।

এইদিকে একের পর এক সুপরি গাছ মরে যাওয়ায় মাথায় হাত কৃষকদের। তাঁরা জানিয়েছেন, এইভাবে গরম চললে এবার সুপারি চাষে ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে যাবে। এমনিতেই গরমের পর বৃষ্টি নামলে হাতির উপদ্রব শুরু হয়ে যায়। সব মিলিয়ে বেশ সঙ্গীন অবস্থা সুপারি চাষিদের। কৃষি ও বন দফতর সবটা জেনেও নিশ্চুপ বলে অভিযোগ।

অনন্যা দে

Gourd Farming: কচি নয়, এখানে লাউ পাকলে তবেই বিক্রি হয়! মেলে বেশি দাম

হাওড়া: আমরা সাধারণত জানি কচি লাউয়ের চাহিদা বেশি। বাজারে গিয়ে লাউয়ের পিছনের দিকে নখ বসিয়ে সেটা কচি কিনা তা যাচাই করার এক বহুল প্রচলিত পদ্ধতি চালু আছে। কিন্তু হাওড়ার এই এলাকায় লাউ পাকলে তবেই বিক্রি হয় অনেক বেশি! দামও পাওয়া যায় অনেক। ফলে এখানকার কৃষকরা সবজি বাজারে বিক্রির জন্য কাঁচা অবস্থায় লাউ তোলেন না, বরং তাকে সময় নিয়ে ভাল করে পাকানো হয়।

হাওড়ার উদয়নারায়নপুর থেকে মিনিট পাঁচেকের দূরত্বে পোষপুর গ্রাম। এই গ্রামের বেশ কিছু পরিবার বংশ-পরম্পরায় বড় আকৃতির লাউয়ের চাষ করে আসছে। এখান থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি ভিন রাজ্যের নানান শহরে পৌঁছে যায় এখানের লাউ। আসলে এই লাউ থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় বাদ্যযন্ত্র। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে এই বাদ্যযন্ত্র ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে।

আরও পড়ুন: ৭০ প্রজাতির লেবু গাছ! এই বাড়ির বাগানে এলে চমকে উঠবেন

উদয়নারায়নপুরের এই এলাকার কৃষকরা জমিতে বীজ বুনে লাউ ফলান। কয়েক মাস পর সেই লাউ পেকে সঠিকভাবে উপযুক্ত হয়ে উঠলে শুরু হয় আসল কাজ। প্রথমে লাউয়ের ভিতর থেকে শাঁস, দানা বের করে নেওয়া হয়। তারপর খোলা শুকিয়ে জলে পচিয়ে তার উপর কাটিং করে বাজারে বিক্রি করা হয়। হাওড়া ও হুগলি এই দুই জেলার বেশ কিছু মানুষ এই লাউয়ের সঙ্গে কাঠ যুক্ত করে বাদ্যযন্ত্র তৈরি করেন।

কৃষকরা প্রথমে আশ্বিন মাসে জমিতে বীজ ছড়ায়। তারপর তা থেকে গাছ হয়। আর সেই গাছেই ফলে এই বড়ো সাইজের লাউ। লাউ পেকে ওঠা থেকে তার খোলাকে শুকনো করে বাদ্যযন্ত্রের উপযোগী করে তোলা, এই গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় ৬-৭ মাস সময় লাগে। লাউয়ের এই খোলা দিয়ে তৈরি হয় তানপুরা। এইভাবে তৈরি তানপুরার বডি বিক্রি হয় ২৫০০-৩০০০ টাকায়। একটি পাকা লাউয়ের দাম হয় ৩০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। পিস ধরে যেমন বিক্রি হয় তেমনই বিক্রি হয় পাইকারিতেও। পোষপুর গ্রামের প্রায় ৫০ টি পরিবার এই লাউ চাষের সঙ্গে যুক্ত।

রাকেশ মাইতি

Salt Tolerant Alternative Cultivation: ধান থেকে আয় হচ্ছে না তেমন, সুন্দরবনে বিকল্প চাষের উদ্যোগ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনে ধানের পাশাপাশি লবণাক্ত মৃত্তিকার সহনশীল বিকল্প চাষের উদ্যোগ। কৃষকদের উদ্দেশ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। হারিয়ে যাওয়া নটে শাকের বীজের ১০ রকম প্রজাতি ও মুগের বীজের ২৪ রকমের প্রজাতির বীজ নিয়ে পরীক্ষামূলক চাষের কাজ চলছে কুলতলি ও বাসন্তী ব্লকে। আর মুগের ২৪ রকম প্রজাতির মধ্যে কোন কোন প্রজাতির চাষ সুন্দরবনে ভাল হতে পারে তা নিয়ে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেছে নিমপীঠ লোকমাতা রানি রাসমণি মিশন।

হায়দ্রাবাদের ওয়াসান নামের একটি সংস্থা এই কাজে সহায়তা করছে সুন্দরবনের দুটি ব্লকে। এই সংস্থাগুলির উদ্যোগে সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মধ্য গুড়গুড়িয়ার বহমুখী ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে বহু কৃষকদের নিয়ে মুগ চাষ ও নটে শাকের ভ্যারাইটি বীজের ওপর একটি প্রশিক্ষন শিবির হয়। যাতে সুন্দরবনের বাসন্তী ও কুলতলি ব্লক থেকে বহু পুরুষ ও মহিলা কৃষক অংশ নেন। এই শিবিরে মুগ ও নটে শাক চাষের বিষয়ে কৃষকদের কাছে বিস্তারিত আলোকপাত করেন নিমপীঠ শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ, হায়দ্রাবাদের ওয়াসন সংস্থার সদস্যরা।

আরও পড়ুন: গরমের পর কালবৈশাখী, দফারফা পাট চাষের!

এই চাষ কীভাবে করতে হবে, কীভাবে মাটির যত্ন নিতে হবে, কতটা পরিমাণ জৈব সার দিতে হবে, বিভিন্ন রোগ ও পোকার হাত থেকে কীভাবে ফসলকে রক্ষা করতে হবে তার উপর বিশদে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া এই এলাকায় মুগচাষের জমিতে গিয়ে কৃষকরা কোন বীজের মুগচাষে গ্রোথ এসেছে অর্থাৎ কোন প্রজাতির মুগ চাষ এই এলাকায় করা উচিত তাঁর উপর তাঁদের মতামত দেন। এ ছাড়া গুরুত্বহীন হয়ে যাওয়া এই ধরনের চাষের প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়াতে এবং গ্রীষ্মকালীন মুগচাষের প্রতি কৃষকদের আরও বেশি করে সচেতন করতে হাতে কলমে একটি প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হয়।

সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে এই চাষ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া এই ধরনের শষ্য ব্যবসায়িকভাবে চাষ করে কত বেশি মুনাফা আসতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। লবণ সহনশীল সুন্দরবনে বিকল্প এই চাষের মাধ্যমে কর্মসংস্থান আরও মজবুত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

সুমন সাহা

Plants Care: বাড়ির উঠোনে শখ করে লাগানো গাছ ফলে ভরে উঠবে, শুধু মেনে চলুন এই টিপস

উত্তর দিনাজপুর: বাড়ির উঠোনে শখ করে শসা, লাউ বা কুমড়ো গাছ লাগিয়েছেন? কিন্তু কিছুতেই সেই গাছে ফলন আসছে না? আর চিন্তা নেই। আমাদের এই সহজ টিপস মেনে চলুন, তাহলেই দেখবেন এবার সহজেই বাড়ির উঠোনে শখ করে লাগানো গাছ ফলে ভরে উঠেছে।

বাড়িতে ফলের আশায় অনেকেই নানান রকম গাছ লাগান। কিন্তু বহু সময় দেখা যায় সেই আশা আর বাস্তবায়িত হয় না। এই অবস্থায় কী করনীয়? এ ব্যাপারে কৃষি বিশেষজ্ঞ অবেন দেবশর্মা জানালেন, শসা বা ওই ধরণের যেকোনও লতানো গাছে ফল না এলে কিংবা গাছে পোকামাকড়ের উৎপাত দেখা দিলে বাড়িতে থাকা কিছু উপকরণ দিয়েই মিলবে সমাধান। এর জন্য রসুনের ও পেঁয়াজের খোসা ভালভাবে ছাড়িয়ে নিয়ে একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে ডুবিয়ে রাখুন। এর সঙ্গেই পুরনো আখের গুড় বা খেজুরের গুড় সেই জলের মধ্যে ভালভাবে মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করুন। এবার দ্রবণটি ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। তারপর একটি ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নেবেন। সব শেষে ওই দ্রবণের সঙ্গে আরও জল মিশিয়ে সেটিকে কিছুটা পাতলা করুন।

আর‌ও পড়ুন: বৃষ্টির দেখা নেই, প্রবল তাপপ্রবাহে ক্ষতির মুখে ভুট্টা চাষিরা

এই নানান মিশ্রণ দিয়ে তৈরি দ্রবণটিকে এবার বাড়ির উঠোনে লাগানো লতানো গাছের গোড়ায় দিন। তবে এই দ্রবণটি বিকেলের দিকে গাছে দেবেন। প্রতি সাত দিন অন্তর অন্তর এটি ব্যবহার করুন। তাহলেই ম্যাজিকের মত ফল পাবেন। দেখবেন লতা জাতীয় যেকোনও গাছ যেমন শশা, লাউ, চাল কুমড়া ইত্যাদি গাছে কিছুদিনের মধ্যেই ফল চলে এসেছে।

পিয়া গুপ্তা

Pumpkin Farming: প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি হচ্ছে শস, লাভের আশায় মিষ্টি কুমড়ো চাষ কৃষকদের

দক্ষিণ দিনাজপুর: মিষ্টি কুমড়ো চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার স্বপ্নে বিভোর চাষিরা। তাই ধানের বদলে দিন দিন বেড়েই চলেছে মিষ্টি কুমড়োর চাষ। কারণ মিষ্টি কুমড়ো থেকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে শস।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মাঠে এখন শুধুই হলুদ সবুজের সমারোহ। গ্রামের বেশিরভাগ কৃষকই কুমড়ো চাষে মজেছেন। সবুজ লতার ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে পেল্লাই সাইজের মিষ্টি কুমড়ো। প্রতিবছরই ফল ওঠার সময় দূর দূরান্ত থেকে বহু মহাজন সহ পাইকাররা এসে তাঁদের কুমড়ো মাঠ বা বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান সস সহ অন্যান্য জিনিস তৈরি করার জন্য। এতে লাভের পরিমাণ থেকে অনেকটাই বেশি থাকে।

আর‌ও পড়ুন: ডুয়ার্সের জঙ্গল দর্শনে ফরাসি রাষ্ট্রদূত, পরিদর্শন শেষে সন্তোষ না অসন্তোষ জানালেন?

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু, বোয়ালদাড় এবং বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকায় মিষ্টি কুমড়োর চাষ হয়। পলিমাটি হওয়ায় এই এলাকায় মরসুমি মিষ্টি কুমড়া চাষ ব্যাপক হারে হয়। প্রত্যেক বছর কয়েক হাজার কৃষক এই মিষ্টি কুমড়ো চাষ করেন। এবারও বালুরঘাট ব্লকে প্রায় ১৩০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করেছেন কৃষকরা। মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে বিঘা প্রতি প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ভাল মত ফসল হলে এক বিঘা জমিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কুইন্টাল মিষ্টি কুমড়ো হয়। আর বাজারে ঠিকমত দাম থাকলে বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হয়। হিসেবটা দেখে বুঝতেই পারছেন কেন এখানকার কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকেছেন।

সুস্মিতা গোস্বামী

Litchi Farming: ‘রোমান্টিক’ ফল লিচু চাষে খুলেছে কপাল! পুরোটা জানলে…

উত্তর ২৪ পরগনা: ভারতের উষ্ণ গ্রীষ্মের মিষ্টি ও রসালো ফল লিচু। আমের পরেই বোধহয় লিচুর জনপ্রিয়তা। স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় এই পুষ্টিকর ফলটির কদর আছে সারা বিশ্বে। পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে লিচু রোমান্টিক ফল হিসেবেও বিবেচিত হয়। সেই লিচু চাষের হাত ধরেই ভাগ্য ঘুরেছে বাংলার কৃষকদের।

খুব সহজেই লিচু চাষ করা যায়। হাড়োয়ায় দিন দিন বাড়ছে লিচু চাষ। বছরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে লিচুর চাষ হলেও এর চাহিদার পাশাপাশি দামও ভাল পাওয়া যায়। আর তাই হাড়োয়ার বকজুড়ি গ্রামে বাড়িতে বাড়তি লিচু চাষ হচ্ছে। ধানের মত চিরাচরিত চাষ বাদ দিয়ে লিচু চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। একটু পরিচর্যা করলেই স্বল্প খরচ ও অল্প পরিশ্রমে সহজেই লিচু চাষ করা যায়। ইতিমধ্যে সবুজ লিচুর কুঁড়ি শোভা পাচ্ছে গাছে। এবার ঝড়-বৃষ্টিও তেমন হয়নি। তাই লিচুর ফলন ভাল হবে বলে আশায় কৃষকরা। কোন‌ও বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: গভীর জঙ্গলে বাস, জলের কষ্ট বারোমাস

গ্রীষ্মের রসালো ফল লিচু এখন ঝুলছে হাড়োয়ার বকজুড়ি এলাকার গাছে গাছে। উৎপাদিত লিচু স্থানীয় বাজার সহ বিভিন্ন রাজ্যের ব্যবসায়ীদের কাছেও বিক্রি করছেন কৃষকরা। এলাকায় ঋতুভিত্তিক চাষের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়তি জমি থাকলে সেখানে বিভিন্ন ফলের গাছের পাশাপাশি লিচু গাছ রোপন করে এভাবেই বাণিজ্যিকভাবে লাভের দিশা দেখছেন এলাকার মানুষ।

জুলফিকার মোল্যা

Line Cultivation: এই বিশেষ পদ্ধতিতে পাট চাষ করলে কৃষকের লাভ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে! রইল উপায়

কোচবিহার: গ্রীষ্মকালে ধীরে ধীরে পাটের চাহিদা বাড়তে শুরু করে বাজারে। এই কারণে গরম পড়লেই পাট চাষ শুরু করে দেন বহু কৃষক। তবে লাইন পদ্ধতিতে পাট চাষ করলে লাভের মাত্রা থাকে অনেকটাই বেশি। মূলত এই কারণে অনেকেই এই পদ্ধতিতে চাষ করা পছন্দ করেন।

গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে চিরাচরিত পদ্ধতিতে পাট চাষ করলে মুনাফার খুব একটা থাকছে না। তাই চিরাচরিত পদ্ধতি ছেড়ে কৃষকরা যদি আধুনিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে লাইন চাষ ও সিড ড্রিলিং পদ্ধতির মাধ্যমে পাট চাষ করেন তবে খুব সহজেই মুনাফা পেতে পারেন।

এই প্রসঙ্গে এক কৃষক মহম্মদ আলি জানান, সাধারণভাবে পাট চাষ ছিটিয়ে করতে গেলে অনেকটাই সময়ের প্রয়োজন। এছাড়াও শ্রমিকের সংখ্যাও লাগে অনেকটাই বেশি। চাষের খেত পরিষ্কার করার পিছনে অনেকটাই বেশি সময় নষ্ট হয়। তবে লাইন চাষ পদ্ধতিতে আবাদ করলে খুব সহজেই হয়ে যায় সমস্ত কাজ। খরচ হয় নামমাত্র, অথচ মুনাফার পরিমাণ থাকে অনেকটাই বেশি। মূলত এই কারণেই বেশিরভাগ কৃষকদের এই পদ্ধতিতেই চাষাবাদ করা উচিত। তাহলে স্বল্প সময়, স্বল্প খরচে অধিক মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন কৃষকেরা।

আর‌ও পড়ুন: গরমে আগুন লাগার ঘটনা বেড়ে যায়, তেমনটা হলে কী করবেন? রইল টিপস

তিনি আরও জানান, বর্তমানে কৃষকদের একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলো পর্যাপ্ত শ্রমিকের জোগান। দরকারের সময় পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যায় না। ফলে অনেক সময় নষ্ট হয় কৃষকদের। এর পরিবর্তে আধুনিক যন্ত্র নির্ভর কৃষি পদ্ধতি অবলম্বন করলে সময় নষ্ট হবে না কৃষকদের। কোচবিহারের এক ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানির সম্পাদক মোজাহিদ হোসেন জানান, বর্তমান সময়ে কৃষকদের যন্ত্রনির্ভর চাষ পদ্ধতির দিকে নিয়ে আসতে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে বারংবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

যদি এই অতি সহজ পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকেরা পাট চাষ করেন তবে আগামী দিনে কোচবিহার জেলা থেকে আরও উন্নত মানের পাট রফতানি করা সম্ভব হবে। এছাড়াও কৃষকেরা নিজেদের মুনাফার পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারবেন স্বল্প সময়ে। তাই কৃষকদের উচিত শ্রমিক নির্ভর কৃষি পদ্ধতির না ব্যবহার করে। যন্ত্র নির্ভর এবং সহজ কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করা। এতে কৃষি ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে আগামীদিনে।

সার্থক পণ্ডিত

গম কাটার পর খালি জমিতে এই চাষ করুন, কম খরচে প্রচুর লাভ ! মালামাল হচ্ছেন কৃষকরা

সিমরনজিৎ সিং, শাহজাহানপুর: ছোলা, মুসুর, সরষে এবং গম কাটার পালা চলছে। কয়েক দিনের মধ্যেই জমি ফাঁকা হয়ে যাবে। এরপর ধান রোপণের জন্য এখনও ৮০ থেকে ৯০ দিন সময় সময় রয়েছে। এই সময়টায় কৃষকরা ডাল ফলিয়ে আয় বাড়াতে পারেন। ডাল চাষে খরচ কম। ফলে ভাল লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিয়ামতপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ইনচার্জ ড. এনসি ত্রিপাঠী বলেন, কৃষকরা যদি এখন অড়হর বা উরদ ডালের চাষ করেন, তাহলে খুব কম খরচে ভাল লাভ পেতে পারেন। তা ছাড়া উরদ চাষ করলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এর শিকড়ে রাইজোবিয়াম পাওয়া যায়, যা মাটির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ৮৫ থেকে ৯০ দিনে উরদ ডাল পাকে।

আরও পড়ুন– নন-স্টপ দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে এই ১০ বিমান ! যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং পরিষেবাতেও সবচেয়ে এগিয়ে

বীজ বপনের সময় বিশেষ যত্ন: উরদ ডালের বীজ বপন করার আগে সঠিক আর্দ্রতা বজায় রেখে ভালভাবে ক্ষেত প্রস্তুত করতে হয়। লাঙল দেওয়ার সময় প্রতি হেক্টর জমিতে ১০০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট এবং ৪০ কেজি পটাসিয়াম ক্লোরাইড মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর ক্ষেত সমতল করে রোপণ করতে হবে বীজ।

বীজ রোপণের সময় খেয়াল রাখতে হবে, প্রতিটা লাইনের মধ্যে যেন ৪০ সেমি দূরত্ব থাকে। দুটি গাছের মধ্যে ১৫ সেমি-র ব্যবধান থাকবে। ১ কেজি বীজ শোধন করতে ২.৫ গ্রাম কার্বেনডাজিম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বীজ শোধন করলে ফসলে রোগবালাই হবে না। ভাল মানের ফলন হবে। এক একরে ১০ থেকে ১২ কেজি বীজ ব্যবহার করা উচিত।

আরও পড়ুন- প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চির চেনা সংগ্রামের আধুনিক বিবরণ; সমাজের কঠোর বাস্তবটাকেই তুলে ধরেছে মিথিলার ‘ও অভাগী’

ভাল বীজ চয়ন: উরদ বপনের সময় ভাল মানের বীজ চয়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। ড. এনসি ত্রিপাঠি বলেন, কৃষকরা যদি অল্প সময়ে ভাল ফলন পেতে চান, তাহলে উরদের PU-30, PU-31, PU-35 এবং PU-41 জাতের বীজ বপন করতে হবে।

সেচের যত্ন: ড. এনসি ত্রিপাঠি বলেন, উরদ বপনের ২৫ থেকে ৩০ দিন পরে সেচ দিতে হবে, পরবর্তী সেচ ১০ থেকে ১৫ দিনের ব্যবধানে করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, জমিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকা অবস্থায় আগাছা যেন না জন্মায়। মাটিতে বাতাস চলাচল করতে পারে। তবেই উরদের ফলন ভাল হবে।

কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে কিনতে হবে না আঙুর…! ছাদ বাগানেই থোকা থোকা! কী ভাবে সম্ভব? জেনে নিন সিক্রেট টিপস

বসিরহাট: বাড়ির ছাদ বাগানে আঙুর চাষ বসিরহাটে। আঙুর ফলের মধ্যে বেশ দামি। সাধারণত মধ্যবিত্ত ঘরে কেউ অসুস্থ হলে কিংবা মরশুমি ফল হিসেবে মাঝে মধ্যে খাওয়া হয় এই ফল। যদিও আগুন আগুন দাম আম জনতাকে খুব একটা কাছে ধারে ঘেঁষতে দেয় না এই ফলের।

কিন্তু এ রাজ্যের জলবায়ু আঙুর চাষের জন্যও উপযোগী! পুষ্টিগুণে ভরপুর এই আঙুর গাছের দেখা মিলল এবার বসিরহাটে। স্থানীয় গৃহশিক্ষক কমল হোসেন গৃহশিক্ষকতার পাশাপাশি একজন সফল শখের ছাদবাগানি। বসিরহাটের বিবিপুরে নিজের বাড়িতেই তিনি গড়ে তুলেছেন ছাদবাগান। সেখানে আঙুর ফলের গাছ লাগিয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়েছেন এই শিক্ষাকর্মী। পুরো গাছজুড়েই শোভা পাচ্ছে সবুজ সবুজ অসংখ্য ছোট ছোট আঙুরের কুড়ি।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করতে চান…? কী কী ডক্যুমেন্ট লাগবে? কোন নথি থাকা ‘মাস্ট’? মিলিয়ে নিন লিস্ট

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের বিবিপুরের গৃহশিক্ষক কমল হোসেন পরীক্ষামূলকভাবে ছাদ বাগানে আঙুর ফলিয়ে সাড়া ফেললেন। আর সেই গাছে মিলল দারুণ সাফল্য। গাছ ভর্তি থোকায় থোকায় ঝুলে আছে আঙুরের কুড়ি। যেন পাতার চেয়ে ফলনই বেশি ধরে আছে যা দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়।

আরও পড়ুন: হিটওয়েভ নিয়ে IMD-র বিরাট সতর্কতা! রাজ্যে রাজ্যে ‘লু’…! আগামী ৭ দিনে কী হবে বাংলায়? মহা-অ্যালার্ট জারি

গাছ ভর্তি এমন ফলন দেখে পরিবার ও বন্ধুমহলের অনুপ্রেরণায় তিনি এখন মিষ্টি আঙুরের ফলন বাড়াতে মূল গাছ থেকে কলম করে চারা বাড়ানোর উদ্যোগও নিয়েছেন। আঙুর চাষের জন্য দো-আঁশযুক্ত লালমাটি, জৈবিক সার সমৃদ্ধ কাঁকর জাতীয় মাটিতে এই চাষ ভাল হয়। তবে ছাদ বাগানে এমন চাষ করার জন্য এমনভাবেই মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে পাশাপাশি দরকার প্রচুর সূর্যের আলো পড়বে এমন জায়গা।

জুলফিকার মোল্যা

Potato Farming: এক গাড়ি আলু লাখ টাকায় বিকোচ্ছে! খুশি আর ধরছে না কৃষকের

জলপাইগুড়ি: এবার বাজারে আলুর দাম শুরু থেকেই চড়া। ফলে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। অনেকদিন পর আলু চাষ করে ভাল লাভের আশা করছেন তাঁরা। যদিও এই দাম বৃদ্ধিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

আলু প্রতিবছর নিয়ম করে চাষ করলেও সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় থাকেন কৃষকরা। কিন্তু এবার ভালো করে গরম পড়ার আগেই আলুর দাম খুচরো বাজারে ২০ টাকা প্রতি কেজি ছুঁয়ে গিয়েছে। বর্তমানে জ্যোতি আলু ২২-২৬ টাকা প্রতি কেজি দরে খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা সাধারণত এই জ্যোতি আলু খেয়ে থাকেন।

আর‌ও পড়ুন: বন্ধুদের ডাকে মাটি ফেলতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ট্রাক্টর চালকের

আলুর দাম বেশি পাওয়ায় এবার লোকসভা ভোটের আগে গ্রাম বাংলায় কৃষকদের মধ্যে খুশির আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই তাই মনের আনন্দে নিজের পছন্দমত রাজনৈতিক দলের মিটিং মিছিল, সভা সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে এক গাড়ি আলুর দাম এক লাখ টাকার উপরে যাচ্ছে। দাম এতটা চড়বে তা মরশুম শুরুর আগেও অনেকে ভাবতে পারেননি। জলপাইগুড়ির এক বড় অংশের কৃষক মূলত আলু চাষের উপর নির্ভর করে এই জীবিকা নির্বাহ করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা এবার বেশ খুশি। ভালো দাম পাওয়ায় আলু ব্যবসায়ীরা ও খুশি হয়েছেন। সব মিলিয়ে গ্রামবাংলায় এই মুহূর্তে এক ফিল গুড পরিবেশ বিরাজ করছে।

সুরজিৎ দে