পড়ুয়াদের প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে বিকল্প মাশরুম! স্কুলেই বড় উদ‍্যোগ

Mushroom: পড়ুয়াদের প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে বিকল্প মাশরুম! স্কুলেই বড় উদ‍্যোগ

দক্ষিণ দিনাজপুর: মাশরুম রান্না অনেকের কাছেই অজানা। এখনও বাঙালির রান্নাঘরে মাশরুমের তেমন প্রচলন হয়নি। তবে এই মাশরুমই প্রোটিনের ভাণ্ডার। তাই স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে বিকল্প মাশরুম।

পিএম পোষন প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়াদের প্রোটিনের যোগান দিতে মাশরুমকেই বেছে নিল জেলা প্রশাসন। বালুরঘাট আশুতোষ বালিকা বিদ্যাপীঠ স্কুলে জেলার দশটি স্কুলের রাধুনীদের মাশরুম রান্নার প্রক্রিয়া শেখানো হল।

আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার কমাবে বাসি রুটি? সঙ্গে খেতে হবে এই জিনিস, পুরনো রুটিতেই কীভাবে কমবে ওজন? বাড়বে হজম? জেনে নিন

এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারের ফলে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য অনেকটাই উন্নতি হবে বলে আশাবাদী সকলেই। কারণ শুধু প্রোটিন নয়, একাধিক ভিটামিন গুণে সমৃদ্ধ এই মাশরুম। এমনকি স্কুলগুলোতে মাশরুম চাষের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মূলত স্যাঁতস‍্যাতে ও আর্দ্র পরিবেশ প্রয়োজন মাশরুম চাষের জন্য। এই স্কুলে এমন ঘর রয়েছে। সেখানেই প্রয়োগমূলকভাবে মাশরুম চাষ করা যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা পম্পা দাস বলেন, “এদিন বালুরঘাট, হিলি, গঙ্গারামপুর ও তপন ব্লক থেকে দশটি স্কুলের রাঁধুনিরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সোয়াবিনের থেকে মাশরুমের পুষ্টিগুণ বেশি। সমস্ত জিনিসের বাজার দর বেশি হওয়ায় চাইলেও বাচ্চাদের পাতে পুষ্টির যোগান দিতে পারা যায় না। সেখানে এই মাশরুম চাষ ভাল উদ্যোগ। স্কুলে মাশরুম চাষের পর্যাপ্ত পরিবেশও তৈরি করতে পারব।”

আরও পড়ুন: ‘আপেল খেলে দূরে থাকবে ডাক্তার’! প্রবাদ মেনেই রোজ খাচ্ছেন ‘উপকারী ফল’? বড় ভুল, কাদের, কখন খেতে নেই আপেল? জেনে নিন

এদিন আশুতোষ স্কুলে জেলার একাধিক স্কুলের রাঁধুনিদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে মঞ্চের উপরে গ্যাস জ্বালিয়ে হাতে-কলমে তাদের মাশরুম রান্না শেখানো হয়। অধিকাংশ রাঁধুনি এদিন প্রথম মাশরুম রান্না শিখলেন। আগামীতে জেলার প্রতিটি স্কুলে মাশরুম রান্না করে পড়ুয়াদের দেওয়া হবে। এদিন প্রশাসনের একাধিক কর্মী ও আধিকারিকদের উপস্থিতিতে রাঁধুনিরা মাশরুম রান্না করে সকলকে দেন। উপস্থিত সকলেই মাশরুম চেখে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষক অরুণ সর্দার জানান, “এদিন মাশরুম রান্না শেখানোর পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পড়ুয়াদের প্রোটিনের অভাব থেকেই যায়। মাশরুমের ফলে সেটি পূরণ হবে। রাধুনীর কাজে যুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা মাশরুম চাষ করে সরবরাহ করবেন। এতে স্কুল অল্প মূল্যে মাশরুম পাবে, তাঁরাও স্বাবলম্বী হবেন। আশুতোষ স্কুল দিয়ে শুরু করে প্রতিটি ব্লকের অন্তত দুটি স্কুলে এই প্রক্রিয়া চলবে। রাঁধুনিদের মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: সাবধান, দুধের প‍্যাকেট এনেই…রোজ হচ্ছে বড় ভুল! ক‍্যালসিয়ামের ভাণ্ডার, পুষ্টির পাওয়ার হাউস, দুধের সব গুণের এতেই হচ্ছে দফারফা

তবে শুধু প্রোটিন নয়, একাধিক ভিটামিনেও সমৃদ্ধ এই মাশরুম। জেলার স্কুলগুলিতে মাশরুম চাষের উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি আগামীতে জেলার যেসব স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা বেশি, সেখানে এই প্রশিক্ষণ চলার কথা রয়েছে।

সুস্মিতা গোস্বামী