Tag Archives: Mushroom

Health Tips: পুষ্টির পাওয়ার হাউজ, আয়রনের খনি…! রক্তচাপ-খারাপ কোলেস্টেরলেরও যম ‘এটি’! এভাবে খেলেই শরীরে হবে রক্ত, কিলো কিলো কমবে ওজন

শরীরকে সুস্থ ও সবল করতে মানুষের মাশরুম খাওয়া উচিত। প্রাচীনকাল থেকেই মাশরুম শক্তি এবং নিরাময়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে মাশরুমকে স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য ঔষধি খাবার হিসাবে বিবেচনা করে। মাশরুম তাদের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগের কারণে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে এবং সেগুলি খেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
শরীরকে সুস্থ ও সবল করতে মানুষের মাশরুম খাওয়া উচিত। প্রাচীনকাল থেকেই মাশরুম শক্তি এবং নিরাময়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে মাশরুমকে স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য ঔষধি খাবার হিসাবে বিবেচনা করে। মাশরুম তাদের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগের কারণে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে এবং সেগুলি খেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
 লখনউয়ের অ্যাপোলোমেডিক্স সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান প্রীতি পান্ডে বলেন, মাশরুমে পুষ্টির বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি২, ভিটামিন ডি ইত্যাদি সহ অসংখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। মাশরুমে সেলেনিয়াম, পটাসিয়াম এবং তামা-সহ অনেক শক্তিশালী খনিজ রয়েছে।
লখনউয়ের অ্যাপোলোমেডিক্স সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান প্রীতি পান্ডে বলেন, মাশরুমে পুষ্টির বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি২, ভিটামিন ডি ইত্যাদি সহ অসংখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। মাশরুমে সেলেনিয়াম, পটাসিয়াম এবং তামা-সহ অনেক শক্তিশালী খনিজ রয়েছে।
এছাড়া মাশরুমকে আয়রনের ভাল উৎস হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। মাশরুমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। মাশরুম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে।
এছাড়া মাশরুমকে আয়রনের ভাল উৎস হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। মাশরুমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। মাশরুম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে মাশরুম খাওয়া শরীরে রক্ত ​​বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা আয়রনের পরিমাণ শরীরে অক্সিজেনের অভাব দূর করতে সাহায্য করে।  মাশরুমে পাওয়া ভিটামিন বি১২ রক্ত ​​বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাশরুমে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ রক্ত ​​গঠনে সাহায্য করে। মাশরুমে উপস্থিত প্রোটিন এবং কপারের পরিমাণ শরীরকে শক্তিশালী রাখে। মাশরুম আপনাকে রক্তশূন্যতা থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও মাশরুম অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে সমৃদ্ধ।
গবেষণায় দেখা গেছে যে মাশরুম খাওয়া শরীরে রক্ত ​​বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা আয়রনের পরিমাণ শরীরে অক্সিজেনের অভাব দূর করতে সাহায্য করে। মাশরুমে পাওয়া ভিটামিন বি১২ রক্ত ​​বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাশরুমে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ রক্ত ​​গঠনে সাহায্য করে। মাশরুমে উপস্থিত প্রোটিন এবং কপারের পরিমাণ শরীরকে শক্তিশালী রাখে। মাশরুম আপনাকে রক্তশূন্যতা থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও মাশরুম অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে সমৃদ্ধ।
ডায়েটিশিয়ান বলেন, মাশরুম খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়, কারণ এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মাশরুমে যে উপাদান পাওয়া যায় তা শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তাদের জন্য মাশরুম খাওয়া উপকারী।
ডায়েটিশিয়ান বলেন, মাশরুম খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়, কারণ এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মাশরুমে যে উপাদান পাওয়া যায় তা শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তাদের জন্য মাশরুম খাওয়া উপকারী।
 মাশরুমে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যা আপনার শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। কম ক্যালরির কারণে, মাশরুম খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
মাশরুমে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যা আপনার শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। কম ক্যালরির কারণে, মাশরুম খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ মাশরুম খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয় এবং রোগের ঝুঁকি কমে। মাশরুমে বিটা-ক্যারোটিন পাওয়া যায় যা চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ মাশরুম খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয় এবং রোগের ঝুঁকি কমে। মাশরুমে বিটা-ক্যারোটিন পাওয়া যায় যা চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে  যে মাশরুম, পলিফেনল এবং নির্দিষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, আলঝাইমার এবং পারকিনসনের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। মাশরুম খাওয়া মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মাশরুমগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও উপকারী হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মাশরুম, পলিফেনল এবং নির্দিষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, আলঝাইমার এবং পারকিনসনের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। মাশরুম খাওয়া মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মাশরুমগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও উপকারী হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

Mushroom: পড়ুয়াদের প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে বিকল্প মাশরুম! স্কুলেই বড় উদ‍্যোগ

দক্ষিণ দিনাজপুর: মাশরুম রান্না অনেকের কাছেই অজানা। এখনও বাঙালির রান্নাঘরে মাশরুমের তেমন প্রচলন হয়নি। তবে এই মাশরুমই প্রোটিনের ভাণ্ডার। তাই স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে বিকল্প মাশরুম।

পিএম পোষন প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়াদের প্রোটিনের যোগান দিতে মাশরুমকেই বেছে নিল জেলা প্রশাসন। বালুরঘাট আশুতোষ বালিকা বিদ্যাপীঠ স্কুলে জেলার দশটি স্কুলের রাধুনীদের মাশরুম রান্নার প্রক্রিয়া শেখানো হল।

আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার কমাবে বাসি রুটি? সঙ্গে খেতে হবে এই জিনিস, পুরনো রুটিতেই কীভাবে কমবে ওজন? বাড়বে হজম? জেনে নিন

এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারের ফলে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য অনেকটাই উন্নতি হবে বলে আশাবাদী সকলেই। কারণ শুধু প্রোটিন নয়, একাধিক ভিটামিন গুণে সমৃদ্ধ এই মাশরুম। এমনকি স্কুলগুলোতে মাশরুম চাষের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মূলত স্যাঁতস‍্যাতে ও আর্দ্র পরিবেশ প্রয়োজন মাশরুম চাষের জন্য। এই স্কুলে এমন ঘর রয়েছে। সেখানেই প্রয়োগমূলকভাবে মাশরুম চাষ করা যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা পম্পা দাস বলেন, “এদিন বালুরঘাট, হিলি, গঙ্গারামপুর ও তপন ব্লক থেকে দশটি স্কুলের রাঁধুনিরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সোয়াবিনের থেকে মাশরুমের পুষ্টিগুণ বেশি। সমস্ত জিনিসের বাজার দর বেশি হওয়ায় চাইলেও বাচ্চাদের পাতে পুষ্টির যোগান দিতে পারা যায় না। সেখানে এই মাশরুম চাষ ভাল উদ্যোগ। স্কুলে মাশরুম চাষের পর্যাপ্ত পরিবেশও তৈরি করতে পারব।”

আরও পড়ুন: ‘আপেল খেলে দূরে থাকবে ডাক্তার’! প্রবাদ মেনেই রোজ খাচ্ছেন ‘উপকারী ফল’? বড় ভুল, কাদের, কখন খেতে নেই আপেল? জেনে নিন

এদিন আশুতোষ স্কুলে জেলার একাধিক স্কুলের রাঁধুনিদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে মঞ্চের উপরে গ্যাস জ্বালিয়ে হাতে-কলমে তাদের মাশরুম রান্না শেখানো হয়। অধিকাংশ রাঁধুনি এদিন প্রথম মাশরুম রান্না শিখলেন। আগামীতে জেলার প্রতিটি স্কুলে মাশরুম রান্না করে পড়ুয়াদের দেওয়া হবে। এদিন প্রশাসনের একাধিক কর্মী ও আধিকারিকদের উপস্থিতিতে রাঁধুনিরা মাশরুম রান্না করে সকলকে দেন। উপস্থিত সকলেই মাশরুম চেখে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষক অরুণ সর্দার জানান, “এদিন মাশরুম রান্না শেখানোর পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পড়ুয়াদের প্রোটিনের অভাব থেকেই যায়। মাশরুমের ফলে সেটি পূরণ হবে। রাধুনীর কাজে যুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা মাশরুম চাষ করে সরবরাহ করবেন। এতে স্কুল অল্প মূল্যে মাশরুম পাবে, তাঁরাও স্বাবলম্বী হবেন। আশুতোষ স্কুল দিয়ে শুরু করে প্রতিটি ব্লকের অন্তত দুটি স্কুলে এই প্রক্রিয়া চলবে। রাঁধুনিদের মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: সাবধান, দুধের প‍্যাকেট এনেই…রোজ হচ্ছে বড় ভুল! ক‍্যালসিয়ামের ভাণ্ডার, পুষ্টির পাওয়ার হাউস, দুধের সব গুণের এতেই হচ্ছে দফারফা

তবে শুধু প্রোটিন নয়, একাধিক ভিটামিনেও সমৃদ্ধ এই মাশরুম। জেলার স্কুলগুলিতে মাশরুম চাষের উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি আগামীতে জেলার যেসব স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা বেশি, সেখানে এই প্রশিক্ষণ চলার কথা রয়েছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Business Idea: পকেট ভর্তি টাকা চান? ‘এই’ মাশরুম চাষ করেই হবেন ‘মালামাল’! ফুলে-ফেঁপে উঠবে আয়, প্রতি মাসে মোটা টাকা

মিল্কি মাশরুম চাষ করে লাভবান হতে পারেন আপনিও। আয়ের উপায় বলছেন পূর্ব বর্ধমানের এই মাশরুম চাষি। বর্তমানে রোজকার খাবারে মাছ, মাংসের পাশাপাশি জনপ্রিয় হচ্ছে মাশরুম। বাজারেও কদর বাড়ছে এই জিনিসটির। তবে মাশরুমের মধ্যে যে মাশরুমের চাহিদা বেশি থাকে, তা হল মিল্কি মাশরুম।
মিল্কি মাশরুম চাষ করে লাভবান হতে পারেন আপনিও। আয়ের উপায় বলছেন পূর্ব বর্ধমানের এই মাশরুম চাষি। বর্তমানে রোজকার খাবারে মাছ, মাংসের পাশাপাশি জনপ্রিয় হচ্ছে মাশরুম। বাজারেও কদর বাড়ছে এই জিনিসটির। তবে মাশরুমের মধ্যে যে মাশরুমের চাহিদা বেশি থাকে, তা হল মিল্কি মাশরুম।
অন্যান্য মাশরুমের তুলনায় এই মাশরুমের দামও থাকে বেশ কিছুটা বেশি। আর সেই মিল্কি মাশরুম চাষ করে আয়ের পথ দেখাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমান এক জেলার মাশরুম চাষি। এই ব্যক্তির নাম অঞ্জন পাত্র। অঞ্জন পাত্র পূর্ব বর্ধমানের এলাকার বাসিন্দা। স্বল্প খরচে মাশরুম চাষ করার কথা বলছেন তিনি। কিন্তু কিভাবে করবেন এই চাষ ?
অন্যান্য মাশরুমের তুলনায় এই মাশরুমের দামও থাকে বেশ কিছুটা বেশি। আর সেই মিল্কি মাশরুম চাষ করে আয়ের পথ দেখাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমান এক জেলার মাশরুম চাষি। এই ব্যক্তির নাম অঞ্জন পাত্র। অঞ্জন পাত্র পূর্ব বর্ধমানের এলাকার বাসিন্দা। স্বল্প খরচে মাশরুম চাষ করার কথা বলছেন তিনি। কিন্তু কিভাবে করবেন এই চাষ ?
মাশরুম চাষি অঞ্জন পাত্র জানান, "প্রথমে খড় কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে সেগুলো গরম জলে সিদ্ধ করে শোধন করে নিতে হবে। তারপর একটা পলিথিনের মধ্যে সেই খড় পেতে দিতে হবে। খড়ের উপর দিতে হবে মাশরুমে বীজ, সেই বীজের উপরে আবার খড় এবং তার উপর আবার বীজ দিতে হবে। এরকম তিন থেকে চারটে লেয়ার করে পলিথিনের মুখ বন্ধ করে , বাইরে থেকে পলিথিনের মধ্যে বেশ কিছু ছিদ্র করে দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যে অঙ্কুর বেরোলে পলিথিনের মুখ খুলে দিয়ে তার মধ্যে দিতে হবে বেলে মাটি এবং বালির মিশ্রণ। এরপর থেকে প্রত্যেকদিন সেখানে একবার করে জল দিতে হবে। তিনমাস পর থেকেই পাওয়া যাবে পরিপূর্ণ মাশরুম।"
মাশরুম চাষি অঞ্জন পাত্র জানান, “প্রথমে খড় কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে সেগুলো গরম জলে সিদ্ধ করে শোধন করে নিতে হবে। তারপর একটা পলিথিনের মধ্যে সেই খড় পেতে দিতে হবে। খড়ের উপর দিতে হবে মাশরুমে বীজ, সেই বীজের উপরে আবার খড় এবং তার উপর আবার বীজ দিতে হবে। এরকম তিন থেকে চারটে লেয়ার করে পলিথিনের মুখ বন্ধ করে , বাইরে থেকে পলিথিনের মধ্যে বেশ কিছু ছিদ্র করে দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যে অঙ্কুর বেরোলে পলিথিনের মুখ খুলে দিয়ে তার মধ্যে দিতে হবে বেলে মাটি এবং বালির মিশ্রণ। এরপর থেকে প্রত্যেকদিন সেখানে একবার করে জল দিতে হবে। তিনমাস পর থেকেই পাওয়া যাবে পরিপূর্ণ মাশরুম।”
জানা গিয়েছে,বস্তা প্রতি মাশরুম চাষে খরচ পড়বে প্রায় নব্বই টাকা। তিন মাস এই মাশরুম পরিচর্যা করতে খরচ পড়বে আরও তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা। মূলত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ এই চাষ শুরু হয়।
জানা গিয়েছে,বস্তা প্রতি মাশরুম চাষে খরচ পড়বে প্রায় নব্বই টাকা। তিন মাস এই মাশরুম পরিচর্যা করতে খরচ পড়বে আরও তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা। মূলত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ এই চাষ শুরু হয়।
ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত চলে এই চাষ। তিন মাসের মাথায় প্রথম ফলন পাওয়া যায়। এই বিষয়ে ওই চাষি আরও জানান, "এই মাশরুমের চাষ কম হওয়ার কারণে ভাল চাহিদা রয়েছে বাজারে। এছাড়াও এই মাশরুম খেতেও সুস্বাদু এবং দামও বেশি।"
ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত চলে এই চাষ। তিন মাসের মাথায় প্রথম ফলন পাওয়া যায়। এই বিষয়ে ওই চাষি আরও জানান, “এই মাশরুমের চাষ কম হওয়ার কারণে ভাল চাহিদা রয়েছে বাজারে। এছাড়াও এই মাশরুম খেতেও সুস্বাদু এবং দামও বেশি।”
পূর্ব বর্ধমানের এই মাশরুম চাষিজানিয়েছেন, এক একটা বস্তা থেকে প্রায় তিন কেজি মিল্কি মাশরুম পাওয়া যাবে। যা পাইকারী দরে বাজারে বিক্রি হয় কেজি প্রতি প্রায় ২০০ টাকা। এবং খুচরো প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজিতে। প্রতি বস্তায় প্রায় ৫০০ টাকার বেশি লাভ করতে পারেন চাষিরা।
পূর্ব বর্ধমানের এই মাশরুম চাষিজানিয়েছেন, এক একটা বস্তা থেকে প্রায় তিন কেজি মিল্কি মাশরুম পাওয়া যাবে। যা পাইকারী দরে বাজারে বিক্রি হয় কেজি প্রতি প্রায় ২০০ টাকা। এবং খুচরো প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজিতে। প্রতি বস্তায় প্রায় ৫০০ টাকার বেশি লাভ করতে পারেন চাষিরা।
তবে ঘরের ভিতরের তাপমাত্রার দিকে নজর রাখতে হবে চাষিদের। সব দিক খেয়াল রাখতে পারলে এই মিল্কি মাশরুম চাষই আয়ের পথ দেখাতে পারে বলে জানাচ্ছেন মাশরুম চাষি অঞ্জন পাত্র।
তবে ঘরের ভিতরের তাপমাত্রার দিকে নজর রাখতে হবে চাষিদের। সব দিক খেয়াল রাখতে পারলে এই মিল্কি মাশরুম চাষই আয়ের পথ দেখাতে পারে বলে জানাচ্ছেন মাশরুম চাষি অঞ্জন পাত্র।

প্রয়োজন নেই জমির, জলেরও ঝামেলা নেই; একচিলতে ঘরের মধ্যে এই ফসলের চাষ করেই হয়ে যেতে পারেন মালামাল

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ কম মূলধন এবং কম সময়ে প্রচুর মুনাফা পেতে চান। এমনটা পেতে চাইলে মাশরুমের চাষ করা যেতে পারে। তবে এই ফসল চাষের জন্য এর বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য থাকা আবশ্যক। তাহলে মাশরুম চাষে অনেক সুবিধা হবে। কম খরচ করেই মিলবে বেশি মুনাফা।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ কম মূলধন এবং কম সময়ে প্রচুর মুনাফা পেতে চান। এমনটা পেতে চাইলে মাশরুমের চাষ করা যেতে পারে। তবে এই ফসল চাষের জন্য এর বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য থাকা আবশ্যক। তাহলে মাশরুম চাষে অনেক সুবিধা হবে। কম খরচ করেই মিলবে বেশি মুনাফা।
বিহারের পূর্ণিয়া জেলার দাগারুয়া ব্লকের সানভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার যাদব Local18-এর কাছে এই বিষয়ে তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন। তিন বলেন, মাশরুম চাষ কিন্তু অত্যন্ত লাভজনক। তবে সঠিক তথ্য থাকা আবশ্যক। তাহলেই মুনাফা পাওয়া যাবে। স্বল্প গাফিলতি কিংবা তথ্যের অভাব ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে।
বিহারের পূর্ণিয়া জেলার দাগারুয়া ব্লকের সানভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার যাদব Local18-এর কাছে এই বিষয়ে তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন। তিন বলেন, মাশরুম চাষ কিন্তু অত্যন্ত লাভজনক। তবে সঠিক তথ্য থাকা আবশ্যক। তাহলেই মুনাফা পাওয়া যাবে। স্বল্প গাফিলতি কিংবা তথ্যের অভাব ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে।
কৃষক রাজকুমার যাদব জানান যে, তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে মাশরুম চাষ করে চলেছেন। তাঁর বক্তব্য, মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে তাপমাত্রার বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই সঙ্গে ঠান্ডা এবং গরমের মধ্যেও বিশেষ নজর দেওয়া আবশ্যক। এরপর তিনি বলেন, স্পঞ্জ মাশরুম চাষের জন্য প্রথমে ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে খড় নিতে হবে। তার মধ্যেই মাশরুমের বীজ রাখতে হবে চারটি স্তরে।
কৃষক রাজকুমার যাদব জানান যে, তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে মাশরুম চাষ করে চলেছেন। তাঁর বক্তব্য, মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে তাপমাত্রার বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই সঙ্গে ঠান্ডা এবং গরমের মধ্যেও বিশেষ নজর দেওয়া আবশ্যক। এরপর তিনি বলেন, স্পঞ্জ মাশরুম চাষের জন্য প্রথমে ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে খড় নিতে হবে। তার মধ্যেই মাশরুমের বীজ রাখতে হবে চারটি স্তরে।
এরপরে এর মধ্যে ব্যাভিস্টিন চূর্ণ বা গুঁড়ো মেশাতে হবে। এরপর তা রাবার দিয়ে সম্পূর্ণ রূপে ঢেকে দিতে হবে। এর দিন কয়েক পরে তা সম্পূর্ণ ভাবে ভিজে যাবে। তার থেকেই মাশরুমের বেরোতে থাকবে।
এরপরে এর মধ্যে ব্যাভিস্টিন চূর্ণ বা গুঁড়ো মেশাতে হবে। এরপর তা রাবার দিয়ে সম্পূর্ণ রূপে ঢেকে দিতে হবে। এর দিন কয়েক পরে তা সম্পূর্ণ ভাবে ভিজে যাবে। তার থেকেই মাশরুমের বেরোতে থাকবে।
রাজকুমার যাদব আরও বলেন যে, মাশরুম চাষ করে তিনি প্রচুর টাকা আয় করছেন। আর সময়ে সময়ে আলাদা প্রজাতির মাশরুম চাষ করেন তিনি। মাশরুমের এইসব প্রজাতির মধ্যে অন্যতম হল - অয়েস্টার, বাটন, মিল্কি এবং ক্যাশিউ মাশরুম। যদিও আগামী কয়েক মাসে তাপমাত্রার কারণে মাশরুমের ফলন কমে যাবে। আপাতত অবশ্য সম্পূর্ণ রূপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসিয়ে মাশরুম চাষ করবেন তিনি।
রাজকুমার যাদব আরও বলেন যে, মাশরুম চাষ করে তিনি প্রচুর টাকা আয় করছেন। আর সময়ে সময়ে আলাদা প্রজাতির মাশরুম চাষ করেন তিনি। মাশরুমের এইসব প্রজাতির মধ্যে অন্যতম হল – অয়েস্টার, বাটন, মিল্কি এবং ক্যাশিউ মাশরুম। যদিও আগামী কয়েক মাসে তাপমাত্রার কারণে মাশরুমের ফলন কমে যাবে। আপাতত অবশ্য সম্পূর্ণ রূপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসিয়ে মাশরুম চাষ করবেন তিনি।
বিনিয়োগ এবং আয়ের বিষয়ে কৃষক রাজকুমার বলেন যে, মাশরুমের একটি ব্যাগ তৈরি করতে লাগে প্রায় ৪০ টাকা। মাশরুম হয়ে গেলে ৪০০ টাকা মুনাফা পাওয়া যাবে। তাই এই বার তিনি নিজের ২০x৫০ মাপের খালি জায়গায় মাশরুম ব্যাগ লাগিয়েছেন। বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুমের ২৫০টি ব্যাগ লাগিয়েছেন তিনি। যার ফলে সমস্ত খরচ মিটিয়ে তিনি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
বিনিয়োগ এবং আয়ের বিষয়ে কৃষক রাজকুমার বলেন যে, মাশরুমের একটি ব্যাগ তৈরি করতে লাগে প্রায় ৪০ টাকা। মাশরুম হয়ে গেলে ৪০০ টাকা মুনাফা পাওয়া যাবে। তাই এই বার তিনি নিজের ২০x৫০ মাপের খালি জায়গায় মাশরুম ব্যাগ লাগিয়েছেন। বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুমের ২৫০টি ব্যাগ লাগিয়েছেন তিনি। যার ফলে সমস্ত খরচ মিটিয়ে তিনি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

Bankura News: চিকেন-মাটন ফেল! বাঁকুড়ার ‘কুরকুরে ছাতু’ রাজ করছে বাজারে

বাঁকুড়া: সকালবেলা বাঁকুড়ার বাজারে এতদিন ফল, সবজি, মাছ মাংস কেনার সময় মানুষকে ভিড় করে বাছতে দেখা যেত। আর বর্ষাকালের ভোরবেলা থেকেই যে ভিড়টা দেখা যাচ্ছে তার কারণ ভিন্ন। ভোরবেলা থেকে ছাতু অর্থাৎ মাশরুম বাছাই করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন বাঁকুড়াবাসী। কারণ একটাই যে এই সময় পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ছাতু অর্থাৎ ছত্রাক।

অন্যতম হল কুরকুরে ছাতু। ছোট ছোট গোল গোল দেখতে এই ছাতু যেন হার মানাবে মাছ-মাংসকেও। স্বাদেও দুর্দান্ত তবে দামও বেশ চড়া। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত এই ছাতুর দাম প্রায় ৮০০ টাকা কেজি চলছিল। তবে শুক্রবার সকালে বাঁকুড়ার মুখ্য দুই বাজার মাচানতলা এবং লালবাজারে কুরকুরে ছাতুর দাম ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম একটু কমায় বেশ খুশি সাধারন মানুষ। নিজের পছন্দমত বেছে নিচ্ছেন ছাতু।

বাঁকুড়া জেলার তথা জঙ্গলমহলে ছাতু খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। দেশের অন্যান্য জায়গায় যেটিকে মাশরুম নামে চেনা হয়, জঙ্গলমহলে তা ছাতু নামে পরিচিত। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অতি জনপ্রিয় সুস্বাদু একটি খাবার। মূলত এই কুরকুরে ছাতুটি পাওয়া যায় বাঁকুড়া জঙ্গলমহল এলাকা অর্থাৎ রাণীবাঁধ এবং খাতড়ার জঙ্গলে। তারপর এই ছাতু গুলিকে বাজারজাত করে বিক্রি করা হয়। কুরকুরে ছাতু খুব সহজেই রান্না করা যায়। মূলত বাজার থেকে কিনে কুরকুরে ছাতু বাড়ি নিয়ে গিয়ে ভালো করে ধুয়ে পেঁয়াজ, সরষে এবং ঝিঙে দিয়ে রান্না করা হয়। বর্ষাকালের এই সময়টাতে বাঁকুড়ার ঘরে ঘরে কুরকুরে ছাতু রান্না করার গন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ India vs Sri Lanka: বাদ বিশ্বকাপের তারকারা! প্রথম ম্যাচেই ভারতীয় দলে মহাচমক দেবেন গম্ভীর? জানুন বিস্তারিত

বাঁকুড়ার আনাচে কানাচে যেরকম রয়েছে শিল্পবৈচিত্র্য, জীব বৈচিত্র্য, বনজ বৈচিত্র তেমনই বাঁকুড়া জঙ্গলমহলের খাদ্যাভাসেও রয়েছে বিপুল বৈচিত্র। জঙ্গলমহলের ছাতু অর্থাৎ মাশরুম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। বিভিন্ন ধরনের মাশরুম পাওয়া যায় যেমন শিতাকে মাশরুম, ওয়েস্টার মাশরুম, পোঁয়াল মাশরুম এবং বালি মাশরুম। কখনও শুধুমাত্র মশলার সঙ্গে মিশিয়ে মুখরোচক ছাতু খান স্থানীয়রা। আবার ঝোল করে কিংবা পকোড়া করেও খাওয়া হয় জঙ্গলমহলের ছাতু। এবং সেই চিত্রই ধরা পড়লবাঁকুড়া শহরের মুখ্য বাজারে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Money Making Tips: প্রচুর পুষ্টিগুণ, বাজারে ব্যাপক চাহিদা ! এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন আপনিও

মালদহ: দেখতে দুধের মত সাদা ধবধবে। খেতেও সুস্বাদু। তবে চাষের পক্ষে কষ্টকর। তবে একবার সফল ভাবে চাষ করতে পারলে মালামাল হবার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ এই খাবারের চাহিদা বাজারে প্রচুর। একাধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই খাবার এখন মানুষ নতুন করে খাচ্ছেন।

এমনকি চিকিৎসকেরাও এই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।‌বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম চাষ করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন ভাবে দুধিয়া প্রজাতির মাশরুম চাষ শুরু হয়নি এই বাংলায়। মালদহের মাশরুম চাষি সোনাই হালদার সফল ভাবে এই দুধিয়া প্রজাতির মাশরুম সফল ভাবে চাষ করছেন। ইতিমধ্যে ফলন পেতে শুরু করেছেন। সোনাই হালদার বলেন, দুধিয়া প্রজাতির মাশরুমের ফলন কম হয়। তবে পুষ্টিগুণ বেশি তাই দাম বেশি। এই মাশরুম চাষের পদ্ধতি একটু অন্যরকম।

আরও পড়ুন: এই মরশুমে করুন গোলাপ চাষ! মুঠো মুঠো টাকা ঢুকবে ঘরে

সাধারণ এই দুধিয়া মাশরুম চাষের পদ্ধতি একটু অন্যরকম। নারকেলের খোসার গুঁড়ো, পুরনো গোবর সারের উপর এই মাশরুম হয়। খড়ের সিলিন্ডার তৈরির পর উপরের অনেকটাই গোবরসার ও নারকেলের খোসার গুঁড়ো দেওয়া হয়। অনান্য প্রজাতির মাশরুম সিলিন্ডারের পাশে বের হয়।

কিন্তু দুধিয়া প্রজাতির মাশরুম সিলিন্ডারের উপরে বের হয়। এই মাশরুম আকারেও অনেক ছোট হয়। তবে দেখতে দুধের মত ধবধবে সাদা। তাই এই মাশরুমের নাম দুধিয়া। এই মাশরুমের ফলন তুলনায় কম। তবে বাজারে এই মাশরুমের দাম বেশি। অন্যান্য মাসুদের থেকে এই মাশরুমের পুষ্টিগুণ বেশি রয়েছে। তাই বাজারে এর চাহিদা যেমন বেশি পাশাপাশি দামও প্রচুর।

আরও পড়ুন: প্রতিবছর লাভ হবে হাজার হাজার টাকা! চিনে নিন এই লটকন ফল

মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, দুধিয়া প্রজাতির মাশরুম সাধারণ এই সময় চাষ হয়। মালদহে কয়েকজন শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ভাল ফলন হচ্ছে।‌

ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় এই মাশরুম চাষ। জুলাই আগস্ট পর্যন্ত ফলন দেয়। গরমের সময় এই মাশরুম চাষের আদর্শ সময়। ফলন কম হলেও পুষ্টিগুণ বেশি থাকাই এই মাশরুম চাষ করে অনেকেই সফল হতে পারবেন।

হরষিত সিংহ

Death after consuming mushroom: মাশরুম খাওয়াই কাল হল! একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু, অসুস্থ আরও ৯

শিলং: মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল মেঘালয়ে। মাশরুম খেয়ে মারা গিয়েছে একই পরিবারের তিন শিশু। এ ছাড়াও পরিবারের অন্য নয় জন সদস্য অসুস্থ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ে। ডেপুটি কমিশনার বিএস সোহলিয়া জানিয়েছেন, সাফাই গ্রামে জংলি মাশরুম খেয়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! শ্বশুরকে দাহ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল জামাইয়ের

সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারে মোট ১২ জন সদস্য ওই মাশরুম রান্না করে খেয়েছিলেন। মাশরুম খাওয়ার পরেই পরিবারের তিন সদস্যে, অর্থাৎ তিন শিশুর মৃত্যু হয়। পরিবারের বাকি নয় জন সদস্যদের অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার বিএস সোহলিয়া। মৃত শিশুদের মধ্যে প্রত্যেকের বয়স ৮ বছর থেকে ১২ বছরের মধ্যে। ঘটনার জেরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। কয়েক ধরনের মাশরুম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও, অনেক মাশরুমই খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। কী ধরনের মাশরুম খেয়ে দুর্ঘটনা ঘটল জানা যায়নি। এই ভাবে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Mushroom Recipe: এই ‘ট্রাইবাল’ মাশরুমের স‍্যুপ একবার খেলে বারবার খাবেন, কীভাবে বানাবেন? রইল রেসিপি

আলিপুরদুয়ার: মাশরুমটির নাম হাঁফাও মৌখুম। লম্বাটে ধরণের এই মাশরুম দিয়ে তৈরি স্যুপ খেয়ে থাকেন বোরো জনজাতির মানুষেরা। এটি তাঁদের অন্যতম একটি সাংস্কৃতিক খাবার।

বোরো জনজাতির মানুষের ধারণা, এই স্যুপটি তাঁদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বোরো জনজাতির মানুষেরা স্যুপটি তৈরি করার আগের দিন মাশরুম সংগ্রহ করেন। সারারাত গরম জলে চুবিয়ে রাখা হয় এই মাশরুমগুলি।

স্যুপ তৈরির আগে মাশরুম পরিষ্কার জলে ধুয়ে কেটে রাখতে হয়। তবে কাটতে হবে খুব সরু-সরু করে। এই স্যুপ তৈরির সময় কোনও মশলা ব্যবহার হয় না। শুধুমাত্র পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা ব্যবহার করা হয়। কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে মাশরুম, পেঁয়াজ, লঙ্কা, রসুন ভেজে নিতে হবে। ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে হলুদ, নুন দিয়ে গরম জল দিন।ভাল মত সেদ্ধ হলে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

Annanya Dey

Health And Beauty Tips: গবেষকরা বলছেন, এই সবজিতেই রয়েছে ‘অমরত্বের বীজ’, ঘুরিয়ে দিতে পারে বয়সের চাকা, ৫০-এ লাগবেন ২৫-এর তরুণী

গ্রাম বাংলার বহু প্রাচীন সবজি মাশরুম। ইদানীং বাঙালির রান্নাঘরেও বেশ জনপ্রিয়। খুব কম সবজিতেই এমন স্বাদ ও স্বাস্থ্যের মিশেল মেলে যা রয়েছে মাশরুমে। গবেষকরা বলছেন, মাশরুমেই রয়েছে 'অমরত্বের বীজ'!
গ্রাম বাংলার বহু প্রাচীন সবজি মাশরুম। ইদানীং বাঙালির রান্নাঘরেও বেশ জনপ্রিয়। খুব কম সবজিতেই এমন স্বাদ ও স্বাস্থ্যের মিশেল মেলে যা রয়েছে মাশরুমে। গবেষকরা বলছেন, মাশরুমেই রয়েছে ‘অমরত্বের বীজ’!
মাশরুমে রয়েছে এমন সব উপাদান, যা আপনাকে বহু বছর পর্যন্ত সতেজ-তরতাজা- চির নবীন রাখতে পারে। ৫০-এও আপনাকে দেখে মন হবে ২০! এমনকি, প্রসাধনীর জগতে বয়স ধরে রাখার কাজে যে প্রডাক্টগুলি ব্যবহার করা হয়, তার অন্যতম উপাদান ‘মাশরুম’।
মাশরুমে রয়েছে এমন সব উপাদান, যা আপনাকে বহু বছর পর্যন্ত সতেজ-তরতাজা- চির নবীন রাখতে পারে। ৫০-এও আপনাকে দেখে মন হবে ২০! এমনকি, প্রসাধনীর জগতে বয়স ধরে রাখার কাজে যে প্রডাক্টগুলি ব্যবহার করা হয়, তার অন্যতম উপাদান ‘মাশরুম’।
'অয়েস্টার' ও 'শিতাকে' মাশরুমে থাকে প্রচুর বিটা গ্লুকান যা এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার। বিটা গ্লুকান কোলেস্টেরল কমায়, হার্ট ও ত্বক ভাল রাখে।
‘অয়েস্টার’ ও ‘শিতাকে’ মাশরুমে থাকে প্রচুর বিটা গ্লুকান যা এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার। বিটা গ্লুকান কোলেস্টেরল কমায়, হার্ট ও ত্বক ভাল রাখে।
অন্য দুই প্রজাতির মাশরুম হল 'রেইশি ও 'চাগা' মাশরুম। চাগা মাশরুমকে অমরত্বের মাশরুমও বলা হয়। মূলত জাপান, কোরিয়া ও চিনে এই মাশরুম পাওয়া যায়। আমেরিকায় বিশাল কদর এর। ত্বককে আদ্র রাখে, শুষ্ক হতে দেয় না। স্বাভাবিকভাবেই এই মাশরুম খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। আপনাকে অনেকটাই অল্প বয়স্ক দেখাবে।
অন্য দুই প্রজাতির মাশরুম হল ‘রেইশি ও ‘চাগা’ মাশরুম। চাগা মাশরুমকে অমরত্বের মাশরুমও বলা হয়। মূলত জাপান, কোরিয়া ও চিনে এই মাশরুম পাওয়া যায়। আমেরিকায় বিশাল কদর এর। ত্বককে আদ্র রাখে, শুষ্ক হতে দেয় না। স্বাভাবিকভাবেই এই মাশরুম খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। আপনাকে অনেকটাই অল্প বয়স্ক দেখাবে।
মাশরুমে থাকে সেলেনিয়াম নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ‘ফ্রি র‌্যাডিক্যালের’ ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে। হৃদ্‌রোগ এবং ক্যানসার-এর ঝুঁকি বাড়ায় এই ফ্রি র‍্যাডিক্যাল।
মাশরুমে থাকে সেলেনিয়াম নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ‘ফ্রি র‌্যাডিক্যালের’ ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে। হৃদ্‌রোগ এবং ক্যানসার-এর ঝুঁকি বাড়ায় এই ফ্রি র‍্যাডিক্যাল।
মাশরুমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে বার্ধক্যজনিত ক্ষয় থেকেও রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মাশরুমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে বার্ধক্যজনিত ক্ষয় থেকেও রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মাশরুম ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ, মাশরুমে রয়েছে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলি হার্ট সজীব রাখে। রাইবোফ্লাভিন আরবিসি-র স্বাস্থ্য বজায় রাখে। নিয়াসিন পাচনতন্ত্র ভাল রাখে এবং ত্বক স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
মাশরুম ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ, মাশরুমে রয়েছে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলি হার্ট সজীব রাখে। রাইবোফ্লাভিন আরবিসি-র স্বাস্থ্য বজায় রাখে। নিয়াসিন পাচনতন্ত্র ভাল রাখে এবং ত্বক স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
মোটের উপর দেখতে গেলে সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে মাশরুমের জুরি মেলা ভার। শুধু আপনার শরীর-ই নয়, ত্বক-ও তরতাজা-তরুণ রাখে মাশরুম।
মোটের উপর দেখতে গেলে সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে মাশরুমের জুরি মেলা ভার। শুধু আপনার শরীর-ই নয়, ত্বক-ও তরতাজা-তরুণ রাখে মাশরুম।
এবার দেখুন 'জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?' ! এ তো জীবনের সবথেকে বড় সত্যি! কিন্তু নিয়মিত মাশরুম খেলে আপনাকে বয়সের তুলনায় অনেকটাই তরুণ দেখাবে। আপনার শরীর-স্বাস্থ্য-ও ভাল থাকবে। সেইদিক থেকেই বলা হয় মাশরুমে লুকিয়ে 'অমরত্বের বীজ'!
এবার দেখুন ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?’ ! এ তো জীবনের সবথেকে বড় সত্যি! কিন্তু নিয়মিত মাশরুম খেলে আপনাকে বয়সের তুলনায় অনেকটাই তরুণ দেখাবে। আপনার শরীর-স্বাস্থ্য-ও ভাল থাকবে। সেইদিক থেকেই বলা হয় মাশরুমে লুকিয়ে ‘অমরত্বের বীজ’!

Tribal Food Recipe: আদিবাসী মহল্লার খুকুরি ভাজা খেলে স্বাদ ভুলতে পারবেন না

আলিপুরদুয়ার: বাজারের কেনা মাশরুম নয়, মাঠের মাশরুম সংগ্রহ করে তা ভেজে খান আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। এই সুস্বাদু ভাজাটির নাম খুকুরি ভাজা।

আর‌ও পড়ুন: এক কিলোমিটারের মধ্যে আর কেউ পুজো করতে পারে না! সংগ্রামপুরের প্রাচীন কালী মন্দিরের পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস

মাঠে পাওয়া মাশরুমকে আদিবাসী ভাষায় বলা হয় খুকুরি। ছোট, বড় ও মাঝারি হিসেবে এই খুকুরির বিভিন্ন নাম হয়। এই সময় পাওয়া যায় ছোট খুকুরি।মনে হতেই পারে মাঠে পাওয়া এই খুকুরি বিষাক্ত নয়তো? সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এক আদিবাসী যুবক। তিনি বলেন, আমরা বাজারজাত মাশরুম খুব কম খাই। মাঠ থেকে সংগ্রহ করা মাশরুম নিয়ে এসে রান্না করি। এই মাশরুম সংগ্রহের পর তা বাছাই করি।যেসব মাশরুমের নিচের দিক কালো হয় সেগুলি ফেলে দিয়ে বাকিগুলো রান্না করা হয়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

খুকুরি ভাজা করার জন্য আগের দিন মাশরুম তুলে আনতে হয়। রাতে শোয়ার আগে মাশরুমগুলো গরমজলে ভিজিয়ে দিতে হবে। সকালে সেই জল ফেলে দিয়ে আবারও জলে পরিস্কার করে নিতে হয় মাশরুমগুলি। তারপর কেটে নিতে হয়। পাশাপাশি আলু ও পেঁয়াজ সরু করে কেটে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম হয়ে এলে জিরে ফোড়ন দিতে হয়। এরপর পেঁয়াজ, লঙ্কা ভেজে নিতে হয়। তারপর আলু ভেজে নিয়ে দিতে হবে মাশরুম। এরপর দিতে হবে হলুদ ও লবণ। ভাজাটি লালচে হয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। এই খুকুরি ভাজা বেশ জনপ্রিয়।

অনন্যা দে