মা-বাবার সামনেই ছেলেকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

বিদেশে চাকরির স্বপ্ন, বিমানবন্দরে পৌঁছতেই গ্রেফতার, মা-বাবার সামনেই ছেলেকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

নয়াদিল্লি: বিদেশে কাজ করবেন। দু’হাতে রোজগার হবে। এমন স্বপ্ন নিয়েই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন যুবক। কিন্তু কাউন্টারে যাওয়া মাত্র গ্রেফতার। যুবকের কাছ থেকে জাল সুইডিশ ভিসা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

ভিসার জন্য এজেন্টকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু এজেন্ট যে জাল ভিসা ধরিয়ে দিয়েছে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন সন্দীপ নামের ওই যুবক। ছেলেকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে এসেছিলেন তাঁর মা-বাবা। এমন ঘটনায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন– আরজি করের ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন! এদিকে প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করছে সিবিআই; উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

কোটিপতি হওয়াই স্বপ্ন হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের বাসিন্দা সন্দীপের। তাঁর গ্রামের অনেক যুবক-যুবতীই বিদেশে গিয়েছেন। কোটি কোটি টাকা রোজগার করছেন তাঁরা। গ্রামে টাকাও পাঠান। সেই সব দেখেই বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সন্দীপ।

সন্দীপের গ্রামেই থাকেন মনোজিত নামের এক যুবক। তাঁর মারফত এজেন্ট আসিফ আলির সঙ্গে পরিচয় হয় সন্দীপের। আসিফ জানান, টাকা দিলেই তিনি ইউরোপের যে কোনও দেশের ভিসা জোগাড় করে দেবেন। হাতে চাঁদ পান সন্দীপ। আসিফের দেওয়া দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭ লাখ এবং ৩ লাখ করে মোট ১০ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন।

আরও পড়ুন– টানা ফোনে কথা বলতে গিয়েই তদন্তকারীদের নজরে, জালে বিমানবন্দরের কর্মীও; সব মিলিয়ে গ্রেফতার ৮ জন

এরপরই রোমে যাওয়ার টিকিট এবং সুইডিশ ভিসার ব্যবস্থা করে দেন আসিফ। সেই নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছন সন্দীপ। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এজেন্ট আসিফ আলিকেও গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভুয়ো ভিসা এবং টিকিট দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

পুলিশকে আসিফ জানিয়েছেন, তিনি দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। দ্রুত টাকা রোজগারের জন্য এজেন্টের কাজ করতেন। গত কয়েক বছর ধরে বিদেশে চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকেই বিপুল টাকা হাতিয়েছেন তিনি।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। আসিফের সঙ্গে আর কে কে জড়িত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য লেনদেনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীদের ভুয়ো এজেন্টের কাছ থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। শুধুমাত্র অনুমোদিত এজেন্সির কাছ থেকেই ভ্রমণের নথি সংগ্রহ করা উচিত বলে জানানো হয়েছে।