লাইফস্টাইল Apple: পুষ্টির ভাণ্ডার…! ৩৬টি রোগের মহৌষধ, সকালে খান একটি গোটা আপেল, সুগার-ওজন হুড়মুড়িয়ে কমবে, খোসা সমেত না ছাড়িয়ে, জানুন কোনটা খাওয়া উপকারী? Gallery September 10, 2024 Bangla Digital Desk ফল খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি, তাই চিকিৎসকেরা প্রতিদিন ফল খেতে বলেন৷ ছোট থেকে বড় সকলের জন্য ফল খাওয়া খুবই ভাল৷ তেমনই আমাদের রোজ একটা করে আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তাতে না কি ৩৬টি রোগ দূরে থাকবে। সত্যিই কি তা হয়? আর যদি খেতেই হয়, কীভাবে খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল হবে- খোসা সমেত না খোসা ছাড়িয়ে? নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের ইনচার্জ মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুভাষ চন্দ্র যাদব। তিনিবলছেন তিনি, আপেল খোসা-সহ খাওয়া বেশি উপকারী। খোসায় উপস্থিত পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এবং অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। আপেলের খোসায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যা ক্যানসার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। আপেলের খোসায় পেকটিন নামের ফাইবার পাওয়া যায়, যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে ৩৬টি রোগকে দূরে রাখার দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে নিশ্চিত না হলেও নিয়মিত আপেল খাওয়া অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আপেলে পাওয়া ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আপেলে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষকে ক্যানসার থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। আপেল খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাই খোসা সমেত খেলে আপেল ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে, কেন না খোসায় কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে। আর হ্যাঁ, বিশেষজ্ঞরা দিনের বেলা, বিশেষ করে সকালে আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। রাতে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। আপেল কি সবরকমের রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম?আপেলে ৩৬ রকমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে এমনটাই বলা হয়ে থাকে। তবে এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত নয়। কিন্তু, আপেল যে অত্যন্ত উপকারী তাতে কোনও সন্দেহ নেই। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।আপেল খাওয়ার সঠিক উপায় আপেল খোসা ছাড়িয়ে গেলে আপনি ফলের পুষ্টিগুণ অবশ্যই পাবেন। কিন্তু, আপেল ছাড়িয়ে খেলে তার খোসায় থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাদ পড়ে যায়। আপেলে থাকা ফাইবার হজম ঠিক রাখে এছাড়াও খোসা ছাড়ালে আপনি ভিটামিন সি এবং এ যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।