ঝাড়গ্রাম : দুর্গাপুজো এলেই মুখে হাঁসি ফোটে তাঁদের। সারা বছর তেমন একটা অর্থের মুখ দেখতে পায় না তাঁরা । কিন্তু পুজোর সময় ভালো অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পায় তাঁদের পেশার সঙ্গে জড়িত থাকা সকলেই । বর্তমান দিনে পুজোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের চাহিদাও বেড়েছে। আগের তুলনায় বায়নাও পাচ্ছে বেশি। সঙ্গে ভালো মজুরিও পারছে তারা তাই এবার মুখে হাঁসি ফুটেছে ঢাকিদের।
ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যারডিহি এলাকার মির্ধাপাড়ায় বসবাস ঢাকিদের। মির্ধাপাড়ার সিংহভাগ মানুষ ঢাক বাজানোর সঙ্গে যুক্ত। মনসা পুজো, শীতলা পুজোবা বাড়ির যে কোনও পুজোর অনুষ্ঠানে তাঁদের ডাক পড়ে।কিন্তু সেই অর্থে তাঁরা তাঁদের পারিশ্রমিক পায়না হাতে। কিন্তু দুর্গাপুজোএলেই হাঁসি ফোটে তাঁদের মুখে। মোটা অংকের কাজের বরাত পায় তারা। পুজোর ৫-৬ টা দিন কেউ থাকে না বাড়িতে। সকলেরই অস্থায়ী ঠিকানা হয়ে ওঠে পুজোমন্ডপ। পঞ্চমী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত তাদের শব্দেই মেতে থাকে পুজো মন্ডপ।
আরও পড়ুন : একদিনের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার সেরা জায়গা, সাক্ষী হবেন অনন্য অভিজ্ঞতার !
সত্যাডিহি গ্রামের মির্ধাপাড়ার বাসিন্দা সুভাষ মির্ধা বলছেন,”আগের তুলনায় পুজোর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে । ফলে আমাদেরও চাহিদা বেড়েছে। আগে পুজোর সময় আমাদের ঠিকমতমজুরি জুটত না। প্রয়োজন মত অর্থ পেতাম না হাতে। কিন্তু এই বছর প্রথম থেকেই ভালো বায়না পেয়েছি। আমাদের গ্রামের প্রায় সকলেরই কোনও না কোনও পুজোমন্ডপে বায়না ধরা হয়ে গেছে।”
আরও পড়ুন : স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিচ্ছে জঙ্গলমহলের মহিলারা, পুজোর আগে নিজেদের উদ্যোগে শুরু হল মেলা
আগের তুলনায় টাকাও বাড়িয়েছে পুজো কমিটি গুলি। তাই এবার পুজোতে আমাদের পরিবারের সদস্যরাও আনন্দ করতে পারবে।পুজোর এই কটা দিন যাদের ঢাকের কাঠির শব্দে মেতে থাকে মণ্ডপ তারা এবার ভালো বায়না পেয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাই এবার মির্ধাপাড়ার ঢাকিদের ঘরে ঘরে খুশির ছোঁয়া।
বুদ্ধদেব বেরা