চাষের জমিতে হানা হাতির দলের

Jhargram News : ক্রমাগত হাতির অত্যাচার,ফসল চাষের বদলে বাগান তৈরিতে আগ্রহ জঙ্গলমহলের চাষিদের

ঝাড়গ্রাম : দিবারাত্রি হাতির উপদ্রব আর বৃষ্টির অনিশ্চয়তা । এই দুই কারণেই মাথায় চিন্তার ভাঁজ জঙ্গলমহলের কৃষিজীবী মানুষদের। বর্তমানে জঙ্গলমহলে জ্বলন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে হাতির সমস্যা। ফলস্বর খাবারের সন্ধানে হাতি যেকোনওসময় হানা দিচ্ছে লোকালয়ে। এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি তছনছ করে দিচ্ছে চাষের জমি। ঋণ-ধার করে চাষ করার পরেও ফসল টুকু তুলতে পারছেন না বাড়িতে। তাই দীর্ঘদিন ধরে হাতির উপদ্রবের কারণে পতিত হয়ে যাচ্ছে কৃষি যোগ্য জমি। পতিত হওয়া জমি রক্ষা করতে কৃষি কাজের পরিবর্তে তৈরি করা হচ্ছে বাগান।

ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙ্গারনালী গ্রামে গেলেই চোখে পড়বে এই চিত্র। কোথাও হয়েছে চাষ, কোথাও আবার বিঘার পর বিঘা পড়ে রয়েছে ফাঁকা। কোথাও আবার ফাঁকা চাষ যোগ্য জমিতে বাগান তৈরি করার জন্য রোপন করা হয়েছে চারা গাছ। জানা গিয়েছে, অর্থকারী বাগান হিসেবে কাজু বাগান পছন্দ করে সকলেই। কিন্তু হাতি কাজু গাছের মূল খেতে ভালোবাসায় ভয়ে কেউ কাজু বাগান করার সাহস পায়নি। কাজু বাগানের পরিবর্তে তৈরি করছে পটাশ বাগান। বিঘার পর বিঘা জমিতে লাগানো হয়েছে ইউক্যালিপটাসচারা।

আরও পড়ুন : গোটা বছর অপেক্ষা আর পুজো এলেই ডাক পড়ে ,পরিবার ছেড়ে ‘ওরা’ দিন কাটায় মন্ডপে রোজগারের আশায়

আঙ্গারনালি গ্রামের বাসিন্দা সুশীল কুমার মাহাতো বলেন,”প্রতিনিয়ত খাবারের সন্ধানে চাষের জমিতে হানা দিচ্ছে হাতি ঠাকুর। ফসল তছনছ করে দিচ্ছে। যদিও কিছু বাঁচছে এই জায়গাটা উঁচু হওয়ার কারণে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলেও ফসল মারা যায়। তাই জমি গুলি দীর্ঘদিন ধরে পতিত পড়ে রয়েছে। জমি গুলি যেন না পতিত হয়ে যায় তার জন্য ইউক্যালিপটাসবাগান তৈরি করা হচ্ছে”।

আরও পড়ুন : দক্ষিণে ছুটতে হবে না! ঘরের কাছেই কফি চাষ! স্বাদও নিন অনায়াসে, কোথায় গেলে পাবেন

দলমার দাঁতল হাতি খাবারের সন্ধানে আস্তানা গেড়েছে জঙ্গলমহলে । সারা বছর কোনও না কোনও ফসলের চাষ হয় ঝাড়গ্রাম জেলার প্রতিটা প্রান্তে। কিন্তু এইভাবে চাষের পরিবর্তে বাগান তৈরি করে দেওয়া হলে ভবিষ্যতে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে দলমার দাঁতালদের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

সংকটে পড়তে পারে হাতি এবং মানুষ উভয়ই।

বুদ্ধদেব বেরা