জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ।

West Bardhaman News : টানা বর্ষণে ভেঙে পড়ল পরিত্যক্ত বাড়ি, মৃত ২! নেপথ্যে কি প্রশাসনের নজরদারির অভাব?

রানীগঞ্জ, পশ্চিম বর্ধমান : মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রানীগঞ্জে। পরিত্যক্ত বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যু দু’জনের। টানা বর্ষণের ফলে ওই বাড়িটি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান স্থানীয়দের। বাড়ি ভেঙে পড়ার পরে তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকাজ। তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিল ধ্বংস স্তুপের নীচে কেউ চাপা পড়ে থাকতে পারেন। সেই আশঙ্কা সত্যি করে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি দেহ।

জানা গিয়েছে, রানীগঞ্জে জাতীয় সড়কের পাশেই ছিল এই পরিত্যক্ত বাড়িটি। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সেই জন ওই বাড়িটি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরিত্যক্ত বাড়িটিকে ভেঙে ফেলা হয়নি।

অন্যদিকে বাড়িটি পরিত্যক্ত হলেও, স্থানীয় কিছু মানুষজনের সেখানে যাতায়াত ছিল বলেই জানা গিয়েছে। তেমনই এদিনও ওই বাড়িটিতে তাঁরা গিয়েছিলেন বলে অনুমান। আর তখনই হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে বাড়িটি{ যার ফল হয়েছে এমন মর্মান্তিক।

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধস, মৃত ২ জন মহিলা, আহত শিশু-সহ আরও তিনজন

স্থানীয়দের অনেকে অভিযোগ করছেন, ভাঙা বাড়িটির থেকে রড, লোহা চুরির লোভে অনেকেই সেখানে ঢুকতেন। রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যাতায়াত করতেন।

আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুনের হুমকি! বেঙ্গালুরুতে রাস্তার উপরেই মহিলার উপরে চড়াও অটোযাত্রী

এই কারণে টানা বর্ষণ উপেক্ষা করেও ওই দু’জন ঢুকেছিলেন বলে অনুমান করছেন তারা। আর সে সময়ই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে বাড়িটি। সেখানে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। ওই জায়গায় আরও কেউ চাপা পড়ে আছেন কি না তা জানতে এখনও ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকার চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যেহেতু ওই পরিত্যক্ত বাড়িটি নিয়ে নিয়েছে তাঁদের ওই বাড়িটি আগেই ভেঙে ফেলা উচিত ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি।

এমনকি ঘটনার পরেও সেখানে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কেউ আসেননি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাঁরা এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে  হাজির হয় পুলিশ। দেহ দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

নয়ন ঘোষ