দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : বাড়ির ছোট সদস্য থেকে শুরু করে বয়স্ক, সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কারোর দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট, কারোর আবার ত্বকের সমস্যা। এক বছর আগেও পরিস্থিতি এতটা জটিল ছিল না। তখনই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আর এক বছর পরে সেই পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর। নির্বাচন পর্বের আগে তাদের আবেদন, দ্রুত ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।
দুর্গাপুর ফরিদপুরের লাউদোহা ব্লকের ঝাঁঝরা গ্রাম। সেখানেই বর্তমানে দূষণের জেরে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ঘরে – বাইরে সব জায়গায় কালির পুরু আস্তরণ। খাবার, জল ইত্যাদি কিছুক্ষণের জন্য আঢাকা অবস্থায় রাখলেই, সেখানে কালির আস্তরণ পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জলাশয়গুলির জল কার্যত কাল হয়ে গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে। আবার জল সংকট দেখা দিয়েছে এলাকায়। তীব্র এই দূষণকে সঙ্গী করে বেঁচে থাকা রীতিমত কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে গ্রামবাসীদের কাছে।
আরও পড়ুন : তীব্র গরমে এ কী কাণ্ড যুবকের! পিচের রাস্তায় ডিম ঢেলে অমলেট, শেষমেশ তৈরি হল কি
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, একবছর আগেই এই দূষণ নিয়ে প্রতিবাদ তারা জানিয়েছিলেন। সে সময় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা এসেছিলেন বলে দাবি। তখন দ্রুত বিদেশ থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের মেশিন আনার জন্য আশ্বাস দিয়েছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার বাস্তবায়ন আর হয়নি। পরিবর্তে এক বছরে ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে দূষণ। কারখানা থেকে দূষণের ফলে এলাকার বাসিন্দারা ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন।
আরও পড়ুন : কোটি টাকার ‘মালিক’ দিলীপ ঘোষ! হলফনামা জমা দিতেই চমকে ওঠা তথ্য প্রকাশ্যে
গ্রামবাসীরা বলছেন, তারা কখনও কারখানা বন্ধ করার পক্ষে নন। কারণ এই কারখানা অনেকের কর্মসংস্থান জুগিয়েছে। অনেকে কাজকর্ম করে খেতে পারছেন। কিন্তু কারখানা চলতে গিয়ে যদি গোটা গ্রামের মানুষজন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তারা কোথায় যাবেন? তারা কিভাবে বেঁচে থাকবেন?
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাই নির্বাচনের আগে তারা প্রতিশ্রুতি চান, যাতে অতিদ্রুত এই দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ করা হয়। কারণ তীব্র এই দূষণ সঙ্গী করে তাদের জীবনযাত্রা আরও কষ্টকর হয়ে উঠছে।
নয়ন ঘোষ