Tag Archives: west bardhaman news

West Bardhaman News : ‘এইভাবে কি বেঁচে থাকা যায় বলুন? নির্বাচনের আগে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কাতর আর্জি ওঁদের

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : বাড়ির ছোট সদস্য থেকে শুরু করে বয়স্ক, সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কারোর দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট, কারোর আবার ত্বকের সমস্যা। এক বছর আগেও পরিস্থিতি এতটা জটিল ছিল না। তখনই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আর এক বছর পরে সেই পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর। নির্বাচন পর্বের আগে তাদের আবেদন, দ্রুত ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।

দুর্গাপুর ফরিদপুরের লাউদোহা ব্লকের ঝাঁঝরা গ্রাম। সেখানেই বর্তমানে দূষণের জেরে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ঘরে – বাইরে সব জায়গায় কালির পুরু আস্তরণ। খাবার, জল ইত্যাদি কিছুক্ষণের জন্য আঢাকা অবস্থায় রাখলেই, সেখানে কালির আস্তরণ পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জলাশয়গুলির জল কার্যত কাল হয়ে গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে। আবার জল সংকট দেখা দিয়েছে এলাকায়। তীব্র এই দূষণকে সঙ্গী করে বেঁচে থাকা রীতিমত কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে গ্রামবাসীদের কাছে।

আরও পড়ুন : তীব্র গরমে এ কী কাণ্ড যুবকের! পিচের রাস্তায় ডিম ঢেলে অমলেট, শেষমেশ তৈরি হল কি

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, একবছর আগেই এই দূষণ নিয়ে প্রতিবাদ তারা জানিয়েছিলেন। সে সময় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা এসেছিলেন বলে দাবি। তখন দ্রুত বিদেশ থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের মেশিন আনার জন্য আশ্বাস দিয়েছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার বাস্তবায়ন আর হয়নি। পরিবর্তে এক বছরে ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে দূষণ। কারখানা থেকে দূষণের ফলে এলাকার বাসিন্দারা ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন।

আরও পড়ুন : কোটি টাকার ‘মালিক’ দিলীপ ঘোষ! হলফনামা জমা দিতেই চমকে ওঠা তথ্য প্রকাশ্যে

গ্রামবাসীরা বলছেন, তারা কখনও কারখানা বন্ধ করার পক্ষে নন। কারণ এই কারখানা অনেকের কর্মসংস্থান জুগিয়েছে। অনেকে কাজকর্ম করে খেতে পারছেন। কিন্তু কারখানা চলতে গিয়ে যদি গোটা গ্রামের মানুষজন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তারা কোথায় যাবেন? তারা কিভাবে বেঁচে থাকবেন?

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তাই নির্বাচনের আগে তারা প্রতিশ্রুতি চান, যাতে অতিদ্রুত এই দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ করা হয়। কারণ তীব্র এই দূষণ সঙ্গী করে তাদের জীবনযাত্রা আরও কষ্টকর হয়ে উঠছে।

নয়ন ঘোষ

West Burdwan News : ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ড শহরে! ভরদুপুরের আগুনে পুড়ে ছাই একাধিক বাড়ি, দোকান

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : গত রবিবারের ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটেনি এখনও। তার মধ্যেই আবার নতুন করে ভয়াবহ আগুন আসানসোলে। এবার অগ্নিকাণ্ডের কবলে আসানসোলের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ড। ভর দুপুরে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল প্রায় ২৫ টি বাড়ি ও দোকান। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে। কিন্তু তার আগেই ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

ঠিক কি হয়েছিল? এই বিষয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি এখনও। তবে হঠাৎ করেই আগুন লাগার ঘটনা বুঝতে পারেন স্থানীয়রা। সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, আসানসোলের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের আপার রোডে এই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। যার ফলে প্রায় ২৫ টি ঝুপড়ি বাড়ি এবং দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এই আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, রান্না করার সময় কোনওভাবে অসাবধানতার জেরে এই আগুন লাগে। আর যেহেতু সেখানে বাড়িগুলি গায়ে গায়ে অবস্থিত, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, তাই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে খুব সহজে।

আরও পড়ুন : অন্ডাল-চেন্নাই বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে, সঙ্গে রয়েছে আরও সুখবর!

প্রসঙ্গত, গত রবিবার আসানসোলের ৯০ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ রানীগঞ্জের চিনাকুড়ি সার্কাস ময়দানের অস্থায়ী মার্কেটে আগুন লাগে। যার ফলে প্রায় ৪৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বহু ব্যবসায়ী সর্বস্বান্ত হয়েছেন। আর তার মধ্যেই আবার বড়সড় অগ্নিকাণ্ড শহরে। যার ফলে রীতিমতআতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন শহরের মানুষজন।

বারবার এমন বড় অগ্নিকাণ্ড কেন হচ্ছে, তা ভেবেই অস্থির হচ্ছেন সকলে। অন্যদিকে এদিনের আগুনেও বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হননি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কিন্তু বাড়ি, দোকান ইত্যাদি পুড়ে যাওয়ায় বহু ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তারা রয়েছেন আতঙ্কে।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News : কেউ বলছেন যতদিন পরিশ্রম, ততদিন খাওয়া! কারোর দাবি অন্য, ভোটের মুখে হিসাব কষছে শিল্পতালুক

পানাগড়, পশ্চিম বর্ধমান : আসছে নির্বাচন। পাঁচ বছরে কি পেলেন, আগামী পাঁচ বছর কি পাওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে – এই হিসাব করছেন বহু মানুষ। সেই তালিকাতেই রয়েছে পানাগড় শিল্প তালুক। যেখানে নির্বাচনের আগে শুরু হয়েছে চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকাশ। কি পেলেন তারা, কি তাদের প্রয়োজন, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শ্রমিকরা যেমন চর্চা করছেন, তেমনভাবেই চর্চা চলছে স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ীদের মধ্যেও।

পানাগড় শিল্পতালুক। যা ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে। আসছে নানান কারখানা। তৈরি হচ্ছে বহু কর্মসংস্থান। শুধু স্থানীয় মানুষ বা জেলার মানুষ নন, ভিন জেলা থেকেও বহু শ্রমিক, কর্মচারীরা এখানে এসেছেন কাজের সন্ধানে। কাজও চলছে। কিন্তু কিছু চাওয়া, কিছু না পাওয়া রয়েছে তাদের মধ্যে। শ্রমিক মহলের মূলত বেশ কিছু দাবি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম কাজের স্থায়িত্ব, বেতন বৃদ্ধি ইত্যাদি।

আরও পড়ুন : ‘সমস্যা হলে আমাদের জানান!’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রুটমার্চ জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের

কিছু শ্রমিক বলছেন, যতদিন তারা পরিশ্রম করে যেতে পারবেন, ততদিনই তারা উপার্জন করতে পারবেন। তাই ভোট নিয়ে তাদের খুব বিশেষ মাথাব্যথা নেই। তবে তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। আবার কেউ বলছেন, যদি কর্মসংকটের যুগে কাজের স্থায়িত্ব হয়, তাহলে তা যথেষ্ট। আবার কারোর দাবি যা পরিশ্রম হচ্ছে, সে তুলনায় বেতন পাওয়া যাচ্ছে না। মূল্যবৃদ্ধির এই যুগে বেতন বৃদ্ধির দাবি তুলছেন অনেকে।

পানাগড় শিল্পতালুককে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু মানুষ ব্যবসা শুরু করেছেন। চা, টিফিনের দোকান হয়েছে এলাকায়। যা এখানে কাজ করতে আসা মানুষদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাতে ছোট ব্যবসায়ীদের যেমন দু’পয়সা লাভ হয়, সুবিধা হয় এখানের শ্রমিক, কর্মচারী সকলের। সেই সমস্ত ছোট ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের ব্যবসা চলছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কিন্তু এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য জল এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। তাই তারা চাইছেন, যদি তাদের জন্য জল এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে তা সকলের জন্যই মঙ্গলকর হবে। আর এভাবেই শিল্পতালুকের মোড়ে মোড়ে নির্বাচনের আগে চলছে হিসাব-নিকাশ। চলছে চর্চা।

নয়ন ঘোষ

West Burdwan News : জেলায় নতুন ভোটার প্রায় ৪০ হাজার! বুথমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ শপিংমলে

১৯ এপ্রিল বাংলায় প্রথম দফার নির্বাচন। ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট হবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র।
১৯ এপ্রিল বাংলায় প্রথম দফার নির্বাচন। ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট হবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র।
তাই নির্বাচনের আগে অন্যরকম পদক্ষেপ দেখা গেল দুর্গাপুরে নতুন ভোটারদের উৎসাহিত করতে বিশেষ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল জেলা নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের তরফে।
তাই নির্বাচনের আগে অন্যরকম পদক্ষেপ দেখা গেল দুর্গাপুরে নতুন ভোটারদের উৎসাহিত করতে বিশেষ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল জেলা নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের তরফে।
নতুন প্রজন্মকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আকৃষ্ট করতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল দুর্গাপুরের শপিংমলে যেখানে নতুন ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করেছেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক।
নতুন প্রজন্মকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আকৃষ্ট করতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল দুর্গাপুরের শপিংমলে যেখানে নতুন ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করেছেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক।
এই নির্বাচনে প্রকাশ করা হয়েছে ট্যাগলাইন। যেখানে পরিষ্কার ভাষায় লেখা আছে, 'ভোটের পর্ব, দেশের গর্ব'। নতুন ভোটার, যারা প্রথম ভোট দেবেন, তাদের নির্ভয়ে ভোটদানের আবেদন জানানো হয়েছে।
এই নির্বাচনে প্রকাশ করা হয়েছে ট্যাগলাইন। যেখানে পরিষ্কার ভাষায় লেখা আছে, ‘ভোটের পর্ব, দেশের গর্ব’। নতুন ভোটার, যারা প্রথম ভোট দেবেন, তাদের নির্ভয়ে ভোটদানের আবেদন জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, এই লোকসভা নির্বাচনে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী ভোটারদের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৩৮ জন। অর্থাৎ এই বিপুল সংখ্যক নতুন ভোটারকে বুথমুখী করতে এই উদ্যোগ যথেষ্ট কার্যকরী বলে অনেকের মত।
জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, এই লোকসভা নির্বাচনে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী ভোটারদের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৩৮ জন। অর্থাৎ এই বিপুল সংখ্যক নতুন ভোটারকে বুথমুখী করতে এই উদ্যোগ যথেষ্ট কার্যকরী বলে অনেকের মত।

West Bardhaman News : ‘সমস্যা হলে আমাদের জানান!’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রুটমার্চ জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়া। চতুর্থ দফায় ভোট হবে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্র অর্থাৎ আসানসোল এবং বর্ধমান দুর্গাপুরে। এই দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে মে মাসের ১৩ তারিখে। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলি চালাচ্ছে প্রচার। চলছে প্রস্তুতি। প্রশাসনিক মহলেও প্রস্তুতি চরমে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। তবে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চের সময় আসানসোলে ধরা পড়েছে অন্য ছবি। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ভোটারদের মনের সাহস জোগাতে এগিয়ে এসেছেন খোদ জেলা শাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারও।

ভোটারদের কাছে তাদের আবেদন, কোনও সমস্যা থাকলে আমাদের জানান। সমস্যা থাকলে জানান কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে জেলাশাসক এবং কমিশনারের এই রুটমার্চ যে ভোটারদের মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মুহূর্তে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রয়েছে ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যে বাহিনীকে জেলার বিভিন্ন থানার অধীনে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন থানার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় চালাচ্ছে রুটমার্চ।তারা কথা বলছেন ভোটারদের সঙ্গে। চলছে এরিয়া ডমিনেশনের কাজ।

আরও পড়ুন : স্কুলেই আসেন না জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা, সাদা খাতা জমা দিয়ে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের

যাতে নির্বাচনের আগে জেলার শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয়, বা ভোটারদের কোনও সমস্যার মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগাতার বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চকরছে। রুটমার্চ করার সময় জেলাশাসক পোন্নাবলম এস জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তারা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখছেন। স্পর্শকাতর বুথ এলাকাগুলিতে হচ্ছে রুটমার্চ। বিগত নির্বাচনে যে সমস্ত জায়গায় অশান্তি হয়েছিল, সেই সমস্ত জায়গাগুলি ঘুরে দেখা হচ্ছে।

পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলির তরফ থেকে পাওয়া তালিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় এই রুটমার্চকরা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্পর্শকাতর বুথ এলাকাগুলি। তবে ভোটারদের তরফ থেকে এখনও ভোট সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কিন্তু ভোটারদের অভিযোগ জানানোর জন্য কন্ট্রোল রুম প্রস্তুত রয়েছে বলেন জানিয়ে দিয়েছেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক।

নয়ন ঘোষ

West Burdwan News : লালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রচার হাত-শিবিরের! বাম প্রার্থীর প্রচারে জেলা কংগ্রেস সভাপতি

বামেদের প্রচারে ধরা পড়ল অন্য ছবি। যেখানে লাল পতাকার পাশাপাশি দেখা গেল আরও একটি দলীয় পতাকা। বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রচার কংগ্রেসের।
বামেদের প্রচারে ধরা পড়ল অন্য ছবি। যেখানে লাল পতাকার পাশাপাশি দেখা গেল আরও একটি দলীয় পতাকা। বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রচার কংগ্রেসের।
এদিন দুর্গাপুরের অর্জুন নগরে প্রচার করেছেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী ড. সুকৃতি ঘোষাল। তার সমর্থনে প্রচারে বামেদের পাশাপাশি ময়দানে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে।
এদিন দুর্গাপুরের অর্জুন নগরে প্রচার করেছেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী ড. সুকৃতি ঘোষাল। তার সমর্থনে প্রচারে বামেদের পাশাপাশি ময়দানে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে।
বাম প্রার্থী যখন অর্জুন নগর এলাকায় প্রচার করছিলেন তখন লাল পতাকার মাঝেই দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের দলীয় পতাকা বাম কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে নেমেছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা।
বাম প্রার্থী যখন অর্জুন নগর এলাকায় প্রচার করছিলেন তখন লাল পতাকার মাঝেই দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের দলীয় পতাকা বাম কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে নেমেছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা।
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালের সঙ্গে এই প্রচারে দেখা গিয়েছে জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীকে। এছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী।
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালের সঙ্গে এই প্রচারে দেখা গিয়েছে জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীকে। এছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী।
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালের প্রচারে এই ছবি খুব সহজেই নজর কেড়েছে মানুষের। যেখানে লালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রচার করতে দেখা গেছে হাত শিবিরকে।
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালের প্রচারে এই ছবি খুব সহজেই নজর কেড়েছে মানুষের। যেখানে লালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রচার করতে দেখা গেছে হাত শিবিরকে।

West Bardhaman News : দু’লাখ টাকার অপারেশন হয়ে গেল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে! দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালের বড় সাফল্য

দুর্গাপুর : দু’লাখ টাকার অপারেশন হয়ে গেল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আবার সুস্থভাবে হাঁটাচলা করার ক্ষমতা ফিরে পেয়েছেন রোগী। স্বপ্ন দেখছেন পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার। চিকিৎসক এবং তাঁর টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমে বড় সাফল্য পেয়েছে দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতাল। কারণ প্রথমবার দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালে সফল হয়েছে হাঁটু প্রতিস্থাপন অস্ত্রপোচার।

দুর্গাপুরের শ্যামপুরের বাসিন্দা অনিমা সাহা, বেশ কিছুদিন ধরেই তীব্র হাঁটুর যন্ত্রনা ভোগ করছিলেন। চিকিৎসার জন্য যান দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর হাঁটু প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত ইএসআই হাসপাতালে এই পরিষেবা ছিল না। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয় যাতে সেখানেই হাঁটু প্রতিস্থাপন অস্ত্রপচার করা যায়। সেই মতশুরু হয় পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অবশেষে আসে সাফল্য।

আরও পড়ুন : ইদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়! গরম নিয়ে বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস

এই বিষয়ে ইএসআই হাসপাতালের মেডিকেল সুপার চিকিৎসক দীপাঞ্জন বক্সী জানিয়েছেন, এতদিন হাঁটু প্রতিস্থাপনের মতো অস্ত্রপচার জেলা ইএসআই হাসপাতালগুলিতে হত না। হয় কলকাতা যেতে হত। নয়তো কোনও বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করতে হত। তাতে রোগীদের নানা সমস্যায় পড়তে হত। তাই ইএসআই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় সেখানেই অপারেশন করা হবে। যে অপারেশনে হাসপাতালে পুরো অর্থোপেডিক টিম-সহ সমস্ত চিকিৎসকরা সহযোগিতা করেছেন। আর তার ফলে অনিমা দেবীর হাঁটু প্রতিস্থাপন সফলভাবে করা গিয়েছে।

আরও পড়ুন : পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন? বৃষ্টির সম্ভাবনা কি রয়েছে? দেখে নিন কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের ওয়েদার

প্রসঙ্গত, অনিমা দেবীর হাঁটুর অপারেশন সফলভাবে করেছেন ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসক উদয়ন চৌধুরী এবং তাঁর টিম। তিনি জানিয়েছেন, এই চিকিৎসা করতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু ইএসআই হাসপাতালে তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হল। কলকাতার বাইরে জেলার কোনও ইএসআই হাসপাতালে প্রথমবার সফলভাবে হাঁটু প্রতিস্থাপন করতে পেরে গর্বিত হাসপাতালের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকরা। আগামী দিনেও যাতে রোগীদের এই পরিষেবা দেওয়া যায়, সেদিকেই মনোযোগ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News : চা খেলেন জমিয়ে, আবার ব্যায়াম করলেন! প্রার্থী কীর্তিকে গান শোনালেন প্রাতঃভ্রমণকারী 

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : বেলা একটু বাড়লেই আস্তে আস্তে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছেন না কেউ। তাই সাতসকালে প্রচার সারলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। দুর্গাপুরের মেজর পার্ক এলাকায় এদিন প্রচার করেছেন তিনি। প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়ে সেরেছেন জনসংযোগ। কথা বলেছেন বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে।

এদিন সাত সকালে মেজর পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন কীর্তি আজাদ। সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং দলের অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা। সেখানে গিয়ে চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থীকে। আবার কথার মাঝে তৃণমূল প্রার্থীর মুখ থেকে শোনা গিয়েছে বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে বহু প্রশংসা। কখনও আবার তিনি বিরোধী প্রার্থীকে আক্রমণ শানিয়ে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন : চৈত্রের গরমে নাভিশ্বাস উঠলেও আসানসোলে ভোটের হাওয়ায় তাপ নেই

অন্যদিকে, এদিন কীর্তি আজাদকে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে ফুটবল খেলায় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে। দিলীপ ঘোষের মতএদিন ফুটবল খেলায় মজে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তাছাড়াও তৃণমূল প্রার্থী থেকে এদিন বসন্তের গান শুনিয়েছেন প্রাতঃভ্রমন করতে আসা এক যুবক। সেসবের মাঝেই শরীরের প্রতি যত্ন নিতে দেখা গিয়েছে তাকে। করেছেন ব্যায়াম। আবার প্রাতঃভ্রমণকরতে আসা বহু মানুষের সঙ্গে ছবি তুলেছেন তিনি। তাদের আবদার মিটিয়েছেন।

সব মিলিয়ে এদিন সাত সকালে জমে উঠেছিল তৃণমূলের প্রচার। দুর্গাপুরে প্রচারে বেরিয়ে নানা ভঙ্গিমায় দেখা গিয়েছে কীর্তি আজাদকে। সেখানে জনসংযোগ হয়েছে। তিনি মানুষের আবদার মিটিয়েছেন, ছবি তুলেছেন। আবার কারোর কাছে গান শুনেছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

চা খেতে খেতে জমিয়ে গল্প করেছেন সবার সঙ্গে। তৃণমূল প্রার্থীর এমন নিত্যনতুন নানা ধরনের আচরণ খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষের নজর কাড়ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News : মাতৃগর্ভের দু’মাস কাটল হাসপাতালে! জন্মের পরেই ভয়ংকর সংক্রমণের শিকার যমজ শিশু

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : সময়ের আগেই জন্ম হয়েছে তাদের। মাতৃগর্ভের কাটানো সময়টা তাদের কাটাতে হয়েছে টানা চিকিৎসার মাধ্যমে। জন্মের পর থেকে লাগাতার দু মাসের বেশি সময় যমজ শিশু চিকিৎসাধীন ছিল হাসপাতালে। জন্মের সময় সম্পূর্ণ হয়নি শারীরিক বিকাশ। সম্পূর্ণ হয়নি মস্তিষ্কের বিকাশও। কিন্তু চিকিৎসকের লাগাতার পরিশ্রম, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত নজরদারি, যত্নের ফলে অবশেষে আজ তারা সুস্থ। দুর্গাপুরের সগরভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সৌভিক চক্রবর্তী। তার স্ত্রী আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান নিয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের অনেকটা আগেই তাদের জন্ম হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, ২৮ থেকে ২৯ সপ্তাহের মধ্যে যমজ শিশু দুটির জন্ম হয়।যার মধ্যে একটি পুত্র সন্তান এবং একটি কন্যা সন্তান।

যাদের জন্মের সময় ওজন ছিল এক কেজির কম। তাছাড়াও শারীরিক ও মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণ হয়নি। আর এর মধ্যেই প্রিম্যাচিউরড ওই শিশু দুটি ভয়ংকর সংক্রমনের শিকার হয়। দুর্গাপুরের একটি নার্সিংহোমে জন্ম নেওয়া ওই শিশু দুটিকে এরপর স্থানান্তর করা হয় দুর্গাপুরেরই একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে ওই শিশু দুটির চিকিৎসা শুরু করেন শিশু বিশেষজ্ঞ সীতাংশু চ্যাটার্জি। তিনি টানা দুই মাস ধরে ওই শিশু দুটির চিকিৎসা করেছেন। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, যেহেতু সময়ের আগে শিশু দুটির জন্ম হয়েছিল, ফলে তারা সংক্রমণের শিকার হয়েছিল।

আরও পড়ুন : পড়ুয়াদের পুষ্টি যোগাতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় চেষ্টা, বিদ্যালয়ে হচ্ছে মাশরুম চাষ

হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর ফের তাদের অন্য ইনফেকশন ধরা পড়ে। যার ফলে শিশু দুটির জীবন সংশয় দেখা দিয়েছিল। ওই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, সংক্রমণ ধরা পড়ার পর চিকিৎসা করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। অ্যান্টিবায়োটিক বা ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রেও নানা রকম প্রতিবন্ধকতা ছিল। তবে শেষমেষ সেই শিশু দুটিকে সুস্থ করা গিয়েছে। তাছাড়াও শিশু দুটির জন্মের সময় চোখের সমস্যা দেখা গিয়েছিল।

যার জন্য দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ইনজেকশন। বর্তমানে শিশু দুটি সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। যে কারণে যমজ শিশু দুটিকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

জীবন সংশয়ে থাকা এই দুটি শিশুর প্রাণ বাঁচাতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেমন খুশি, তেমনই খুশি শিশু দুটির পরিবারও।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News : পড়ুয়াদের পুষ্টি যোগাতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় চেষ্টা, বিদ্যালয়ে হচ্ছে মাশরুম চাষ

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : পড়ুয়াদের মুখে তুলে দিতে হবে পুষ্টিকর খাবার। তার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় উদ্যোগ। যা জানলে আপনার মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য। কারণ পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষকরা চালিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তর প্রয়াস। শিক্ষাদানের পাশাপাশি পড়ুয়াদের মুখে পুষ্টি তুলে দিতেও তারা পিছিয়ে নেই। চিত্তরঞ্জনের ছয়’এর পল্লী নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। যেখানে পড়ুয়াদের জন্য বড় উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা উদ্যোগ নিয়ে করছেন মাশরুম চাষ। বিদ্যালয়ে এই মাশরুম চাষ করছেন তারা। যদিও এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না। সহজ ছিল না পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। তবে শেষমেষ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য পার্শ্ব শিক্ষকরা উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যালয়ে মাশরুম চাষ করছেন। আর সেখান থেকে উৎপন্ন মাশরুম চলে যাচ্ছে মিড ডে মিলের রান্নাঘরে। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন এই উৎপাদিত মাশরুম মিড ডে মিলের খাবারে পাচ্ছে পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন : লাল-সবুজ-গেরুয়া, তিন প্রার্থীই ছুটছেন সবজির বাজারে! কেন? বর্ধমান-দুর্গাপুরে আজব কাণ্ড

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ঝর্ণা মন্ডল জানিয়েছেন, তিনিই প্রথম বিদ্যালয়ের মাশরুম চাষ করার পরিকল্পনা করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে তিনি অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রধান শিক্ষিকার পরিকল্পনার পাশে দাঁড়ান বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা। এরপর তারা নিজেরা মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নেন। সেই প্রশিক্ষণ শেষে বিদ্যালয়ে শুরু হয় মাশরুম উৎপাদন। তবে এই মাশরুম কোনও ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করা হয় না। উৎপাদিত মাশরুম তুলে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবারে।

অন্যদিক এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও ভীষণভাবে খুশি। চিত্তরঞ্জনের এই জুনিয়র বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮০ জনের বেশি পড়ুয়া রয়েছে। তারা বলছে, বিদ্যালয়ে পড়াশোনার গুনগতমান ভাল। বিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে যেমন পঠন পাঠন হয়, তেমনভাবেই মিড ডে মিলেও তাদের মুখে তুলে দেওয়া হয় ভাল খাবার।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কখনও তাদের পাতে থাকে ডিম, কখনও মাংস, আবার কখনও থাকে সয়াবিন। পাশাপাশি সপ্তাহে দু’দিন করে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাতে তুলে দেওয়া হয় মাশরুমের পদ।

নয়ন ঘোষ