বিহারে ভয়ঙ্কর গঙ্গা, গিলে নিল আস্ত একটা বাড়ি

Bihar News: গঙ্গার ভয়ঙ্কর রূপ, মাত্র ২৬ সেকেন্ডে গঙ্গার পেটে তলিয়ে গেল আস্ত বাড়ি

ভাগলপুর: প্রবল বৃষ্টির প্রভাব। ভাগরপুরে গঙ্গার ভয়ঙ্কর রূপ দেখে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। গত কয়েকদিন ধরে ভাগলপুরের সবুর ব্লকের মাসাধু গ্রামে গঙ্গার তীব্র ভাঙন অব্যাহত। গত কয়েক বছরের মতো এবারও গঙ্গা ও কোসি নদীর ভয়ঙ্কর জলোচ্ছ্বাসে ভাগলপুর ও নাভাগাছিয়া এলাকায় রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছে। বাড়ি ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ৷

ভাঙনের প্রভাব মারাত্মক৷ গত তিন দিনে নদী তীরবর্তী গ্রামে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বাড়িঘর গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে৷ এমন পরিস্থিতিতেও প্রশাসন কার্যত উদাস৷ প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদের কাউকেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় দেখা যায়নি বলে খবর৷

আরও পড়ুন : চা ভালোবাসেন? ঝাড়খণ্ডের এই দোকানে রোজ বিক্রি হচ্ছে ১ কুইন্টাল দুধের চা, একবার খেলে প্রেমে পড়ে যাবেন আপনিও

একটি লাইভ ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মাত্র ২৬ সেকেন্ডের মধ্যে তাসের ঘরের মতো একটি কংক্রিটের ঘর কীভাবে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। ব্যাপারটা শুধু একটি বাড়ি কেন্দ্রিক নয়৷ এলাকার শত শত মানুষ আপাতত ঘর বাঁচাতে ব্যস্ত। কিন্তু, নদী ভাঙন প্রক্রিয়ার সামনে তারা কার্যত অসহায়। অনেক ক্ষেত্রে রুদ্র রূপের গঙ্গা গ্রামবাসীদের বাড়িঘর থেকে জিনিসপত্র সরানোর সুযোগও দিচ্ছে না৷ অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থেকে বাড়ি ঘর ভেসে যাওয়া দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারছেন না তাঁরা৷

আরও পড়ুন : এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবে ছাড়পত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, শীতকালীন অধিবেশনেই বিল পেশ?

জেলা প্রশাসন গঙ্গার ভাঙন রোধে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল৷ কিন্তু সেগুলি কাজে আসেনি৷ পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়ছে৷ কথা ছিল এই এলাকায় একটি বাঁধ তৈরি করা হবে৷ তা আর এগোয়নি৷ এর ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷

ভাঙনের এই মর্মান্তিক ঘটনা গ্রামবাসীর জীবনকে বিপর্যস্ত করেছে। প্রতিদিনই মানুষ দেখছে তাদের পাকা ঘরগুলো ভেঙ্গে পড়ছে, কিন্তু তাঁদের সাহায্যের জন্য প্রশাসনের তরফে কোনও ভূমিকাই নেওয়া হচ্ছে না৷