Tag Archives: Flood Alert

Coochbehar News: জল বাড়ছে নদীর! মাটির বাঁধ, আতঙ্কে দিন কাটছে অসম-বাংলা সীমান্তের মানুষের

বক্সিরহাট: গত বছর এলাকায় প্লাবন পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়েছিল কোচবিহারের জনজীবন। চলতি বছর প্রবল বৃষ্টিতে বক্সিরহাটে নদীর জল বেড়েছে আবারও। যদিও এলাকায় একটি মাটির বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনিকভাবে। তবে সেই বাঁধ আদৌ কতটা কার্যকর তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নদীর জলের তোরে যে কোনও সময়ে সেই বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে পারে লোকালয়ে। ফলে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

বাঁধ ভাঙলে ভেসে যাবে এলাকা। জল ঢুকে যাবে ঘরে ঘরে। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চাইছেন স্থানীয় মানুষদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব জানান, “গত বছর এলাকায় প্লাবন পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। তখন বহু মানুষের বাড়ি তলিয়ে গিয়েছিল জলের তলায়। সেই রেশ কাটতে অনেকটা সময় লেগেছে। এখন আবারও ক্রমাগত জল বাড়ছে নদীর। ফলে স্থানীয় মানুষেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।” তিনি জানান, এলাকায় যে নদীর বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই বাঁধ শুধুই মাটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধের দু’পাশে কোনও বাঁশের গার্ড ওয়াল দেওয়া হয়নি। ফলে নদীর জল বাড়লে, জলের ধাক্কায় বাঁধের মাটি নদী গর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এলাকার আর এক বাসিন্দা আয়ুব আলি জানান, তাঁর বাড়ির একেবারেই পাশে চলে এসেছে নদী। ফলে রাতে রীতিমতো চিন্তায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের। বিগত বছরে নদীর জল ঢুকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল গোটা পরিবারকে। চলতি বছরে যদি সেই পরিস্থিতি দেখা দেয়, তবে কী ভাবে দিন কাটাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

আর এক বাসিন্দা বদরুল হকের কথায়, “এলাকায় প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ পরিবার বসবাস করে। বর্তমানে সকলেই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। কী ভাবে দিন কাটবে জানি না। নদীর জল লোকালয়ে ঢুকতে আর মাত্র কিছুটা সময় বাকি।”

আরও পড়ুন- টাকা ফুরিয়েছে, রাখার জায়গাও! তবু কেন শপিং থামাতে পারছেন না এই তরুণী?

প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ চাইছেন তিনিও। যদিও এখনও পর্যন্ত এলাকায় কোনও প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হয়নি। বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই মাটির বাঁধের বেশিরভাগ মাটি নিচে নেমে এসেছে। ফলে এই বাঁধ কতদিন নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে, সেটাই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের। স্থানীয়রা দ্রুত কোনও স্থায়ী ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।

সার্থক পন্ডিত

North Bengal Flood: শহরের বুকে নৌকা! অতি বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি বঙ্গের কোন কোন এলাকায়?

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা অধরা হলেও উত্তরে বৃষ্টির বিরাম নেই। টানা বৃষ্টিতে জল বাড়ছে তিস্তা, করলা, জলঢাকার। সেই জল উপচে ভেসে যাচ্ছে শহর এলাকা। বিপর্যস্ত জনজীবন জলপাইগুড়িতে। রাত থেকেই মুশলধারে বৃষ্টিতে উদ্বেগ বাড়ছে নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। বৃষ্টিতে কেবল নদী তীরবর্তী সমতল নয়, বিপর্যস্ত সিকিম, ভুটানের পাহাড়ি এলাকাও। রাস্তার এখানে সেখানে ধস। যানবাহন চলাচল করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আটকে পড়ছেন পর্যটকরাও।

তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ায় সকালের পর থেকে জলস্তর আরও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দোমোহনি এলাকায় হলুদ এবং বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি জলঢাকা নদীর জল স্তর বেড়ে যাওয়ায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতরও। ধূপগুড়ি পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ডেও ছবিটা উদ্বেগজনক। জল ঢুকে গিয়েছে ঘরের ভেতরে । ভোগান্তির শিকার এলাকার মানুষ। জলে ভাসছে ধূপগুড়ি বাজারও। ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটাগামী জাতীয় সড়কে সুপারমার্কেট মোড় এলাকায় এক হাঁটু জল। সবথেকে বেশি খারাপ অবস্থা ধূপগুড়িতে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। যেখানে প্রায় কুড়িটি বাড়ি জলে ডুবে। ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও জল জমেছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটা অংশ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক অংশে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের দেখা নেই। বেহাল নিকাশের কারণে সমস্যায় সাধারণ মানুষ। যেভাবে বৃষ্টি চলছে তার ফলে অবস্থার অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারও জলমগ্ন। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘন্টায় আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৭৬ মিলিমিটার।

মরশুমে এই প্রথম এত বৃষ্টি হল আলিপুরদুয়ারে। গোটা শহর জলমগ্ন। ভুটানেও অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে কালজানি, রায়ডাক, তোর্সা, ডিমা সহ বিভিন্ন নদীতে। শহরের ১, ৮, ৯, ১৬, ১৩, ৫ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা জল মগ্ন। জলমগ্ন শহরে নৌকা করে করেই চলেছে উদ্ধার কাজ।

 

 

Continuous Rain: টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীর বাঁধ ভেঙে ভাসছে ডুয়ার্স

জলপাইগুড়ি: ফের জলমগ্ন ডুয়ার্স। পাহাড়ে বর্ষার টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল সমতলে। পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে ভাসছে ডুয়ার্স। চরম দুর্ভোগের মুখে জলপাইগুড়ির মানুষ।

আবহাওয়া দফতরের আগাম পূর্বাভাস অনুযায়ী গত শনিবার থেকে লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে সমতল ও পাহাড় জুড়ে। স্বাভাবিকভাবেই ফুঁসছে তিস্তা, করলা, জলঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের সব কটি পাহাড়ি নদী। এদিন লিস নদীর বাঁধ ভেঙে জলপাইগুড়ির অন্তর্গত চান্দা কলোনির বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপর্যয় মোকাবিলা টিম উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে মালবাজারেও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কার্যত ভয়ে ভয়ে দিন কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অনেকেই জাতীয় সড়কের উপর এসে দাঁড়িয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: একটানা বৃষ্টিতে বানভাসি কুমারগ্রাম, রাতের ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের

একেই নদীর গতিপথের পরিবর্তন অন্যদিকে, তিস্তার বুকে পলি জমে উঁচু হয়ে গিয়েছে নদীখাত। স্বাভাবিকভাবেই সব মিলে বিপদ সীমা ছুঁয়ে বইছে তিস্তা নদীর জল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকটি পকলিং মেসিন ও জেসিবি মেসিনের সাহায্যে চ্যানেল কেটে নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বাঁধের ভাঙা অংশে লোহার জাল ও পাথর দিয়ে দ্রুত গতিতে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বাগরাকোট অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি রাজেশ ছেত্রী জানান, নদীর গতিপথ মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। দরকার হলে আরও জেসিবি নামানো হবে।

রাতভর পাহাড় ও সমতল জুড়ে নাগাড়ে বৃষ্টি চলায় পাহাড়ের লিস, ঘিস সহ বিভিন্ন নদীর মধ্য জলধারা দিয়ে সমতল অভিমুখে নেমে আসছে। এতেই লিস নদীতে জলস্ফীতি দেখা দেয়। প্রবল জলস্রোতের ধাক্কায় লিস নদীর জাতীয় সড়ক ও রেললাইনের মাঝে থাকা গাইড বাঁধের প্রায় ২০-২৫ মিটার অংশ ভেঙে মঙ্গলবার সকালে জলস্রোত ঢুকে পড়ে চান্দা কলোনিতে। জাতীয় সড়কের পাশে জল জমে সড়ক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়। অন্যদিকে, তিস্তা নদীর জলোচ্ছাসে আবারও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে মাল ব্লকের টটগাঁও বস্তি।

সুরজিৎ দে

Viral Video: Remal ঘূর্ণিঝড়ের জের…! দুর্যোগে উত্তর-পূর্বে! গায়ে কাঁটা দেওয়া উদ্ধার ইম্ফলে! হাড়হিম ভিডিও

রিমলের তাণ্ডব পিছু ছাড়ছে না! উত্তর-পূর্ব জুড়ে রাক্ষুসে বৃষ্টিতে তোলপাড় পরিস্থিতি। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমে আরও ভয়াবহ হচ্ছে৷ ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পরে বৃষ্টির দাপটে কার্যত ভাসিয়ে দিচ্ছে উত্তরের জেলা ও রাজ্যগুলি৷ আর তাই নিয়েই তীব্র শঙ্কটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ৷ ভয়াবহ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের উত্তরেও। আবহাওয়া দফতরের কমলা সতর্কতা জারি করেছে জলপাইগুড়ি জেলায়। ভুটান পাহাড় ও সিকিম পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। আর যার জেরে হুহু করে জল বাড়তে শুরু করেছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে। এমনই ছবি ধরা পরল ধূপগুড়ি জলঢাকা নদীতে। ধুপগুড়ি ব্লকের গোদেয়ার কুটি এলাকায় জলঢাকা নদীতে প্রবল বর্ষণেৃর ফলে শুকনা নদীতে ও জল বাড়তে শুরু করেছে। আর তাতেই আতঙ্ক বাড়ছে৷ এরই মধ্যে উদ্বেগজনক বন্যা পরিস্থিতিতে উদ্ধারের রোমহর্ষক ছবি উঠে এল ভাইরাল ভিডিওতে।