পাঁচমিশালি, হাওড়া Knowledge Story: বিশ্বসেরার তকমা কী সত্যি হারাল বিরাট বটগাছ? শিরোপা উদ্ধারে কী করছে বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ? জানুন Gallery September 18, 2024 Bangla Digital Desk *বিশ্বের বৃহৎ বটগাছের তকমা হারালো বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিশাল বট বৃক্ষ, এবার সেরা শিরোপা উদ্ধারে জোরদার প্রস্তুতি নিয়েছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু উদ্ভিদ উদ্যান কর্তৃপক্ষ। গ্রেট বেনিয়ান ট্রি, বলতে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবস্থিত বটবৃক্ষের কথাই জানেন মানুষ। তবে সম্প্রতিক একটি রিপোর্টে জানা গেছে, বিশ্বের বৃহৎ বটবৃক্ষের তকমা হারিয়েছে এই বটগাছ। প্রতিবেদনঃ রাকেশ মাইতি। সংগৃহীত ছবি। *বর্তমানে এই শিরোপা দখল করেছে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি বটগাছ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জোরচর্চা। স্বাভাবিকভাবে এই খবরে মন খারাপ হাওরা কলকাতা তথা বাংলাবাসীর। সংগৃহীত ছবি। *কেন এমনটি ঘটল, এই খবর কতটা সত্যি। তা নিয়ে যেমন সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। একই সঙ্গে , সে বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু উদ্ভিদ উদ্যান কর্তৃপক্ষ। সংগৃহীত ছবি। *আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু উদ্যানের (বি গার্ডেন) মহান বটবৃক্ষ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে তার মুকুট হারিয়েছে। জানা গিয়েছে, অন্ধ্রের ওই বটগাট আয়তনের দিক থেকে পিছনে ফেলেছে এই বটগাছকে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করতে হাওড়া বোটানিক্যাল গার্ডেন অর্থাৎ আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু উদ্ভিদ উদ্যান কর্তৃপক্ষের একটি দল অন্ধপ্রদেশ পাড়ি দিচ্ছেন। অন্ধপ্রদেশের জঙ্গলে অবস্থিত বিশাল আকারের ওই বট গাছের পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে। সংগৃহীত ছবি। *বিশ্বের বৃহৎ বটগাছ বলতে সাধনভাবে মানুষ হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনের। ১৯৮৪ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয় গ্রেট বটবৃক্ষ। দীর্ঘদিন বৃহৎ বটগাছের তকমা দখল করেছিল হাওড়ার এই বিশাল বটগাছ। সংগৃহীত ছবি। *সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানা যায়, বিশ্ব বিখ্যাত বট গাছের তকমা ছিনিয়ে অন্ধপ্রদেশের একটি বটগাছ। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের অনন্তপুর জেলার থিন্নাম্মাপুরে অবস্থিত একটি দৈত্যাকার বাট গাছ বিশ্বের বৃহৎ বটগাছের তকমা পেয়েছে। সংগৃহীত ছবি। *এ প্রসঙ্গে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু উদ্যানের আধিকারিক ডঃ দেবেন্দ্র সিং বলেন, আয়তনের দিক থেকে ১৯৮৪ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রায় ২৭০ বছরের পুরনো ‘দ্য গ্রেট বনিয়ান ট্রি’ হিসাবে যে মুকুটটি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন নয় বলেই জানা গিয়েছে। অন্ধ্রের বিশাল বাট গাছের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। সংগৃহীত ছবি। *তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র আয়তনের দিক থেকে, যেখানে হাওড়ার পার্কের বিশাল বাট গাছটির ৫০০০-র বেশি শাখা রয়েছে এবং এটি শহুরে এলাকার একটি পার্কে অবস্থিত যেখানে অন্ধ্র প্রদেশে অবস্থিত বিশাল বটগাছটি জঙ্গলে, আর তার শাখা ৫ হাজারের কম। অতএব, আমাদের একটি বৈজ্ঞানিক দল অন্ধ্রপ্রদেশের এই বিশাল বটগাছ সম্পর্কে এলাকা এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ খুব শীঘ্রই রওনা দিচ্ছে। সংগৃহীত ছবি। *তাঁর দাবি, গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এই বাগানের দৈত্যাকার বাট গাছটি পুনরায় প্রবেশ করিয়ে মুকুটটি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ফের আবেদন করব। বর্তমানে, এই গ্রেট বটবৃক্ষটি আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু উদ্যানে ১৯৬৬৭ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত, যেখানে অন্ধ্রপ্রদেশে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম নথিভুক্ত করা বটগাছের ক্ষেত্রফল ২১ হাজার বর্গমিটার। সেই অনুযায়ী যে এলাকা দেখাচ্ছে, তা আমাদের বাগান গাছটি একটি সীমিত বৃত্তে বিস্তৃত। সংগৃহীত ছবি।