প্লাবিত এলাকা

Flood Situation: প্লাবিত একাধিক গ্রাম! জলে নেমে এলাকা পরিদর্শন করলেন সভাপতি, দেখুন

উত্তর ২৪ পরগনা: টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির পর ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার বনগাঁ মহকুমার বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জল ঢুকে যায় সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে জলে আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জলে নেমে এলাকা ঘুরলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী।

আরও পড়ুন: কৃষি জমি জলের তলায়! বাড়িতেও জমে রয়েছে জল, চিন্তায় বহু মানুষ

এদিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছাড়াও ছিলেন গাইঘাটা বিডিও, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। গাইঘাটা সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদেঘাটা ব্রীজ সংলগ্ন জলমগ্ন এলকা পরিদর্শন করেন তারা। পরবর্তীতে রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরন্দরপুর ইএফ পি স্কুলের ত্রাণ শিবিরে যান। সেখানে গিয়ে ত্রাণ শিবিরের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন প্রশাসনের এই বিশেষ দল। তবে সেখানে পর্যাপ্ত সরকারি তরফে খাওয়ার মিলছে কিনা জিজ্ঞাসা করতেই, ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া অসহায় মানুষেরা জানিয়ে দেন তারা পারছেন না কোন সরকারি খাবার। এরপরই জেলা সভাধিপতি বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রধানকে দ্রুত তাদের খাবার দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরই পাশাপাশি বন্যা কবলিত সাধারন মানুষজন খাল সংস্কার ও মাথা গোঁজার আশ্রয় হিসেবে ত্রিপলের দাবি জানান জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীকে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে খাবারের বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিতেই খুশি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন।

এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানান, মুখ্যমন্ত্রী বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করলাম। এলাকার মানুষ খাল সংস্কারের দাবি জানিয়েছে, ত্রিপলের দাবি জানিয়েছে। দ্রুত কি করে সমাধান করা যায় সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। জলমগ্ন এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি। পরিদর্শনের শেষে অসহায় মানুষদের সব রকম ভাবে পরিষেবা দেওয়ার জন্য গাইঘাটা বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠকও করেন জেলা সভাধিপতি।

রুদ্র নারায়ন রায়