Tag Archives: Secuirity

India-Bangladesh Border: ভারত বাংলাদেশ বিথারী সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ! তারপর ‌যা হল ‌যুবকের

উত্তর ২৪ পরগনা : ভারত বাংলাদেশ বিথারী সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লো যুবক। অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসার সময় এক যুবককে আটক করে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ওই অভিযুক্ত যুবককে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ চরম অমানবিকতা, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল এক রেলযাত্রীর

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত অভিজিৎ কুন্ডু অবৈধভাবে সীমান্তের বেড়াজাল টপকিয়ে গত কয়েক দিন আগে বাংলাদেশে গিয়েছিল। একইভাবে গতকাল বিকালে এদেশে আসার সময় বিথারী বিওপির ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা এলাকায় টহল দেওয়ার সময় এক যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ। তার চলাফেরা দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায়। ওই যুবক অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে প্রবেশ করেছে।

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ এর পর তাকে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার বাড়ি হাবরা থানার বাউগাছি এলাকায়। তবে ওই যুবক অবৈধভাবে কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে গিয়েছিল! এর পিছনে আন্তর্জাতিক পাচার চক্র লুকিয়ে আছে কিনা তা পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জুলফিকার মোল্যা

RG Kar Protest: গন্ধরাজের সুগন্ধে বেঁচে থাকবেন তিলোত্তমা! বৃক্ষপ্রেমীদের অভিনব প্রতিবাদ, দেখুন

পশ্চিম বর্ধমান : আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে রাজ্য তথা দেশজুড়ে। এমনকি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও দেখা যাচ্ছে প্রতিবাদ। সকলেই সঠিক বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। এমন অবস্থায় অভিনব প্রতিবাদের ছবি দেখা গেল দুর্গাপুরে। যেখানে একটি গাছের মাধ্যমে অভয়ার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস বৃক্ষপ্রেমী সংগঠনের। যে প্রতিবাদ সকলের নজর কেড়েছে।

দুর্গাপুরের একটি বৃক্ষ প্রেমী সংগঠন গ্রীন ভলান্টিয়ার্স। শহরের সবুজ রক্ষা করতে এই সংগঠনটি নানা রকম পদক্ষেপ করে। আর এই সংগঠনের সদস্যরা সবুজায়নের মাধ্যমে আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নিয়েছেন বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে জানিয়েছেন প্রতিবাদ। গন্ধরাজ ফুলের সুগন্ধে তিলোত্তমার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস করছেন তারা। গন্ধরাজ গাছে মালা পড়িয়ে তিলোত্তমার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদকে সন্মান রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের

এই সংগঠনের সম্পাদক কাজী নিজামউদ্দিন বলছেন, তরুণী চিকিৎসকের ওপর নির্মম অত্যাচার এবং হত্যার ঘটনায় গোটা রাজ্য উত্তাল হয়েছে। সকলে প্রতিবাদ করছেন। কেউ মোমবাতি মিছিল করছেন, কেউ রাত দখলে রাস্তায় নামছেন। তারাও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। কিন্তু তাদের প্রতিবাদের ভাষা অন্য। তারা প্রতিবাদের পাশাপাশি তিলোত্তমার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর একটি ব্যক্তিগত মালিকানার জায়গায় গ্রিন ভলান্টিয়ার্স এর তরফ থেকে ৫০ টি গাছ লাগানো হয়েছে। সেখানেই একটি গাছ লাগানো হয়েছে অভয়ার স্মৃতিতে। এখানে গন্ধরাজ গাছের ফুলে সুগন্ধে তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। মালা পরিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। নামকরণ করা হয়েছে তিলোত্তমা স্মৃতি উদ্যান।

নয়ন ঘোষ

Bangla Video: বাঁকুড়ার কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদকে সন্মান রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের

বাঁকুড়া: খবরের জেরে বিশেষ পুরস্কার পেলেন বাঁকুড়ার কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ অনিমেষ মুখার্জী। একবার নয়, দুইবার নয় পর পর নয়বার রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বাঁকুড়ার এই ছেলে। সৌরভ গাঙ্গুলির হাত থেকে পেয়েছেন ‘বেস্ট অ্যাথলিটের পুরস্কার পেয়েছেন। এবার তাকে স্বীকৃতি দিল এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। লোকাল 18 এর খবর দেখার পরই বাঁকুড়ার জাভেলিন থ্রয়ার অনিমেষ মুখার্জিকে বেছে নেওয়া হয় বাঁকুড়ার ক্রীড়ার মুখ হিসেবে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ জানান, “আমরা লোকাল 18 এ অনিমেষের খবর দেখতে পাই তারপরই সিদ্ধান্ত নিই তাঁকে সন্মান দেওয়ার কথা কারণ সে ইন্ডিভিজুয়াল স্পোর্টস এ যে কাজ করছেন সেটা অনবদ্য। ২০২৪ সালে ইনজুরি নিয়ে গোটা রাজ্য প্রথম। এক্সপোজার পেলে হয়ত গোটা পৃথিবীর সামনে বাংলার নাম উজ্জ্বল করবেন তিনি।

আরও পড়ুন: পুজোর আগে বড়সড় উদ্যোগ নিল বারুইপুর জেলা পুলিশ

জাতীয় স্তরে টপ সিক্সে জায়গা করে নেওয়ার পরও বাকিদের মত ফিনল্যান্ডে গিয়ে ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করার ডাক পাননি অনিমেষ। কি কারণে এমনটা হল তার কোনও উত্তর সে এখনও পায়নি। যদিও থেমে না থেকে খেলাধুলাকে ভালোবেসে নিজে ব্যবসা চালিয়ে, প্রায় প্রতিবছর রাজ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় অনিমেষ।

যদি সবকিছু ঠিকঠাক হত তাহলে হয়ত নিরাজদের সঙ্গে অনিমেষকেও দেখা যেত অলিম্পিকের মঞ্চে। বাঁকুড়ার হয়ে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন অনিমেষ। তারপর বিভিন্ন কারণবশত বাঁকুড়া ছেড়ে মোহনবাগানে যোগ দেন তিনি। ২০২৪ সালের প্রতিযোগিতা এবং বাকি সাত বার জাভ্যালিন থ্রো’তে মোহনবাগানের হয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Bangla Video: আন্তর্জাতিক জলপথে বড় জাহাজ চলাচলেই ভাঙছে নদী বাঁধ! দাবি সুন্দরবনের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আন্তর্জাতিক নদী পথ বেছে নেওয়ার কারণে সুন্দরবনে নদী বাঁধে ধস। হাতেও ভাতে মারা চক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের এই দাবি দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার উপাধ্যক্ষের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সুন্দরবন নদী মাতৃক এলাকা নদীর ধারে সাধারণ মানুষের ঘর ও কৃষি জমি যা নিয়ে তাদের জীবিকা উপার্জন উপনির্ভর করে সুন্দরবনবাসী।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপাধক্ষ্য বলেন সেই সুন্দরবনবাসীর কপালে দিনের পর দিন নেমে আসে সমস্যা এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি আরও দাবি করেন সুন্দরবনের নদীগুলি আন্তর্জাতিক নদী পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরফলে সুন্দরবনের বুকে বড় বড় সিএসসি জাহাজ চলাচল করছে। যার কম্পনে নদী বাঁধ গুলি একের পর এক ধস নামছে ।

আরও পড়ুন: বাসন্তি হাইওয়ে বাঁক ঘুরতে গিয়ে চরম পরিণতি, পথেই শেষ তরতাজা প্রাণ

কেন্দ্রীয় সরকার যদি মনে করতো জাতীয় সড়ক বেছে নিয়ে আন্তর্জাতিক সড়ক হিসেবে মান্যতা দিতে পারতো। কিন্তু তা না করে নদীগুলি বেছে নেওয়ার ফলে এমনই ঘটনা ঘটছে। আগে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ আবার নদীর ধারে মানুষগুলি হাতেও পাতে মারা চক্রান্ত। তেমনই আজ গোসাবা ব্লকের রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাখিরালয় গ্রামে নদী বাঁধে ধস। বাঁধ মেরামতি কাজে শুরু করলেন গ্রামবাসী ও প্রশাসনের লোকজন। হঠাৎই নদী বাঁধ ধসে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তড়িঘড়ি জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেষ মন্ডলের উদ্যোগে জেসিবি দিয়ে নদীর বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে।

সুমন সাহা

Bangla Video: জয়নগরের মোয়া হাবে সুখবর, আসছে ইতালির অত্যাধুনিক প্যাকেজিং মেশিন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রসিদ্ধ জয়নগরের মোয়ার এমনিতেই জগৎজোড়া নাম। তারপর এই জি আই ট্যাগ পাওয়ার পর স্থানীয় মিষ্টিটি আরও নামজাদা হয়ে উঠেছে। মোয়ার প্রসার ঘটাতে উদ্যোগী খোদ রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং মোয়া হাব নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

এরপরই জয়নগর-মজিলপুরে মোয়া হাবের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ড। সেই কাজ শেষ হয়েছে। খাদি বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, ‘দু’কোটি ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে মোয়া হাবের প্রজেক্ট হয়েছে। দোতলা বাড়ি তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া শুধু বাকি। এছাড়া ইতালি থেকে অত্যাধুনিক প্যাকেজিং মেশিন আনা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: এবার হাত ধরলে হাত ভেঙে দেবে নারীরা! দেখুন কাণ্ড

শোনা যাচ্ছে, চলতি বছর মোয়ার মরসুম শুরুর আগেই উদ্বোধন হয়ে যাবে হাবের। জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার মাঠে সাড়ে চার কাঠা জমিতে এই মোয়া হাব নির্মাণ হয়েছে। এই হাব তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল প্রায় তিনবছর আগে। কিন্তু বারংবার জায়গা বদলের পরিকল্পনা জড়িত হওয়ায় কাজ একপ্রকার থমকে ছিল।

প্রথমে জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও জয়নগর-মজিলপুর ও পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুজিত সরখেলের উদ্যোগে জয়নগরের মিত্রগঞ্জে জায়গা দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেই জায়গা নিয়ে আপত্তি জানায় খাদি বোর্ড। চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার মোয়া হাবের জন্য তিন নম্বর ওয়ার্ডে জায়গা চিহ্নিত করেন। খাদি বোর্ডের কর্তারা সেই জায়গা পরিদর্শন করেন। গত জানুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু হয়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়নগরের বহডুতে সরকারি অনুষ্ঠানে এসে মোয়া হাবের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। খাদি, বোর্ড সূত্রে খবর, একতলায় হয়েছে কমন ফেসিলিটি সেন্টার। সেখানে থাকবে ল্যাবরেটরি, বসবে প্যাকেজিং মেশিন। এর ফলে জয়নগর ও বহডুর কয়েক হাজার মোয়া ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন। মোয়া ব্যবসায়ীরা বলেন, এই বিষয়ে খুব খুশি এই কাজ তাড়াতাড়ি হওয়ায়। প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে মোয়া বিদেশে রফতানি হবে।

সুমন সাহা

Health Checkup Camp: জোরাল সিদ্ধান্ত বাঁকুড়ার এই প্রত্যন্ত গার্লস স্কুলে, কী জানলে অবাক হবেন!

বাঁকুড়া: বয়সন্ধিকালে অনেক সময় মেয়েদের কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যে ব্যাপারগুলো এই সমাজে বাবা-মা’রাও খুব একটা আলোচনা করতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। ডাক্তার দেখানোর ক্ষেত্রেও বিরত থাকে বহু পরিবার। এই চিত্র মূলত আর্থসামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির ক্ষেত্রে দেখা যায়। কিন্তু এই সঙ্কোচ ভবিষ্যতের জন্য অনেক ক্ষতি ডেকে আনে। এ কথা উল্লেখ করে সচেতন করছে প্রত্যন্ত এলাকার একটি স্কুল। বয়ঃসন্ধিকালের রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি করতে একদম প্রত্যন্ত একটি মেয়েদের স্কুলে করা হল এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বাঁকুড়ার সেই স্কুলটির নাম আঁচুরি স্বস্তিক স্মৃতি গার্লস হাই স্কুল।

আরও পড়ুনঃ বিরাট পদক্ষেপ! মদ্যপ ধরতে রাজ্যে এই প্রথমবার অ্যালকোহল ডিটেক্টর বসছে এই হাসপাতালে

বয়সন্ধি বিষয়ক রোগ নিয়ে মেয়েরা যাতে সঙ্কোচ বোধ না করে এবং স্বাস্থ্য সচেতন হয় সেই কারণে বাঁকুড়ার এই বিদ্যালয়ে করা হল হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা। সঙ্গে চোখের এবং বয়সন্ধিকালের বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা হয়। এছাড়াও প্রতি মাসেই আঁচুড়ি স্বস্তিক স্মৃতি গার্লস হাই স্কুলের মেয়েদের জন্য একের পর এক নতুনত্ব কর্মশালা আয়োজন করা হয়। যেমন- আত্মরক্ষার্থে তাইকোন্ডো থেকে শুরু করে মেয়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতা।

প্রধান শিক্ষিকা নন্দিতা সরকার বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে “আয়রন ডে” পালিত হয়েছিল। সহ এদিন মেয়েদের আয়রন ডেফিশিয়েন্সি দূর করতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই কারণেই অ্যানিমিয়া পরীক্ষা এবং হিমোগ্লোবিন টেস্ট করা হল।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Dengue Death: ডেঙ্গিতে ১২ বছরের কিশোরের মৃত্যু, তীব্র আতঙ্ক মেদিনীপুরে

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভয় ধরাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক নাবালকের। গতবছর এই জেলায় প্রথম ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল মেদিনীপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এই বছর সেই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল এক নাবালকের।

ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে নাবালকের এই মৃত্যুর ঘটনা ইতিমধ্যেই ভয় ধরিয়েছে মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দাদের মনে। যদিও এই মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম নজরদারি শুরু করেছে। এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন নমুনা ও নজরদারি চালাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের গঠন করা বিশেষ টিম। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আতঙ্কিত না হয়ে বাসিন্দাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: কেবল লাইন সারানোর সময় রাস্তায় ছিটকে পড়ল যুবক! তারপর…

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এক নাবালককে ভর্তি করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে ডেঙ্গি রিপোর্ট পজেটিভ আসে এবং বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। চলতি মরশুমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এটি জেলায় দ্বিতীয় ও মেদিনীপুর শহরে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। মৃত নাবালকের বয়স ১২ বছর বলে জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, ওই নাবালক প্রথমে টাইফয়েড ও জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছিল। পরে বড়মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ডেঙ্গি রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।

এই বিষয়ে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, খুবই দুঃখজনক খবর। আমরাও আজ সকালে জানতে পেরেছি। আত্মীয়তার সূত্রে, অসুস্থ অবস্থায় ওই নাবালককে ভর্তি করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তার মৃত্যু হয়। এরপর স্বাস্থ্য দফতরের সার্ভেলেন্স টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে, এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে শহরবাসী এবং পুর প্রশাসনকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

রঞ্জন চন্দ

Ganga Erosion: ফের ভাঙনের আতঙ্ক মুর্শিদাবাদে, ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা

মুর্শিদাবাদ: ফের গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে। ভাঙনের কবলে সামসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহরপুর গ্রাম। ইতিমধ্যেই মাটির বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় ফাটল ধরার পাশাপাশি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৫০ মিটার জমি। যে কোনও মুহূর্তে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছাড়ছেন গ্রামবাসীরা। বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

ভাঙনের কবলে পড়েছেন বেশি কয়েকটি পরিবার। এদিকে লাগাতার একে একে বিভিন্ন গ্রাম গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে যেতে থাকায় কার্যত ক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। ভাঙন প্রতিরোধে সরকারকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: জ্যান্ত তক্ষক পাচার করতে গিয়ে বনকর্মীদের হাতে ধৃত ২

মুর্শিদাবাদ জেলার জলন্ত এক সমস্যা গঙ্গা ভাঙন। বিশেষ করে জঙ্গিপুর মহকুমার লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ-২, সুতি-১ ও সামসেরগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাঙনের সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করেছে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি থেকে জমি, বাগান। সেই আতঙ্কের মাঝেই সোমবার রাতে লোহরপুরে বেশ কিছুটা অংশে গঙ্গার পার ধসে যায়। এতেই ভাঙনের আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। অনেকেই ভাঙনের আশঙ্কায় ঘর-বাড়ি ছেড়ে জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয়দের এও দাবি, এলাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধের যে কাজ শুরু হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। এই ভাঙন রোধের কাজ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

ভাঙনে সবকিছু তলিয়ে যেতে পারে আশঙ্কা করেই গ্রামবাসীরা আগে থেকেই বাড়ির জানালার গ্রিল থেকে গেটের শাটার সমস্ত কিছুই ভাঙতে শুরু করেছেন। মহিলা সদস্যরা ঘর থেকে শেষ সহায় সম্বল সড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সময় যত এগোতে থাকে গঙ্গা ভাঙনের রূপও তত ভয়াবহ হতে থাকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গঙ্গা এগিয়ে আসে বাড়িটিকে গিলে খেতে। সেই সময়ে যতটুকু সম্ভব ঘর থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যেতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।

কৌশিক অধিকারী